পহেলা বৈশাখ নিয়ে কিছু কথা
লিখেছেন লিখেছেন অবুঝ ছেলে ১৩ এপ্রিল, ২০১৪, ১১:১৯:২২ রাত
আজ সারাদিন পহেলা বৈশাখ নিয়ে অনেক অনেক শিক্ষনীয় পোষ্ট পড়লাম।
পক্ষে কোনো পোষ্ট চোখে পড়েনি,যা দেখলাম সব বিপক্ষেই। অনলাইনটা এখন তরুনদের মত প্রকাশের মোটামুটি স্বাধীন একটা স্থান। এখানে তরুনদের মতামতের প্রতিফলনই বেশী ঘটে। তাই আশার বিষয় এটাই যে,তরুনরাও ধীরেধীরে অপসাংস্কৃতির বিরুদ্ধে জেগে উঠছে। আশা করা যায় একসময় সকল অপসাংস্কৃতির বিপক্ষেই এমন প্রতিবাদ হবে।
পরসমাচার,
পহেলা বৈশাখ হিন্দু সংস্কৃতি থেকে আসা একটি অপসাংস্কৃতি।
ধরলাম, বাঙ্গালী হিসেবে আমাদের বাংলা নববর্ষ পালন করাটা মানায়,কিন্তু তা হিন্দুয়ানী রীতিনীতিতে কেন..?? বাঙ্গালী মানেই তো হিন্দু নয়..!!
বাংলা বর্ষের প্রবর্তক ফতেহউল্লাহ সিরাজী ও সংস্কারক ডঃ মুহাঃ শহীদুল্লাহ উভয়েই মুসলিম ছিলেন। মুসলমানদের প্রবর্তিত বাংলা নববর্ষকে হিন্দুয়ীক সংস্কৃতিতে উদযাপন করা কোনোভাবেই যৌক্তিক হতে পারেনা।
বলা হয় " বাঙ্গালী সংস্কৃতির সঙ্গে আবহমান কাল থেকেই জড়িয়ে আছে পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খেয়ে বর্ষবরণ করার রীতি " যারা এ কথা বলেন তাদের কাছে প্রশ্ন,যে সন বা বর্ষের সৃষ্টিই ১৬ শতকের শেষ দিকে তা আবহমান কাল থেকে কিভাবে বাঙ্গালীর সংস্কৃতির সাথে জড়িয়ে থাকতে পারে...?? সম্রাট আকবরের এই বাংলা সন প্রচলন করার আগে কিভাবে তারা পহেলা বৈশাখে বর্ষবরন করতো..?
স্মরণ রাখা প্রয়োজন,হিন্দু সংস্কৃতি ও বাঙ্গালী সংস্কৃতি এক নয়,কারন বাঙ্গালী মানেই হিন্দু নয়। পহেলা বৈশাখে হিন্দুদের মত পান্তা-ইলিশ খেয়ে,পূজা করে,মুখে জানোয়ারের মুখোশ লাগিয়ে,লাল সাদা পোশাক পড়ে বর্ষবরন করাটা কখনোই একজন মুসলিম-বাঙ্গালীর সংস্কৃতি হতে পারেনা। মুসলিমদের নির্মান করা সনের বর্ষবরন হিন্দুদের রীতিতে হওয়া, এর চেয়ে বড় পরিতাপের বিষয় কি হতে পারে..! এখনো কি মুসলিম মনীষীদের এই বিষয়ে চিন্তা করার সময় হয়নি!!!
পরিশেষে,
হে বাঙ্গালী !
আর কতদিন হুজুগে চলবে?
এবার একটু জানো,নিজেদের স্বকীয়তাকে ফিরিয়ে আনো, লাল-সাদার নোংরামিকে বর্জন করো !
বিষয়: বিবিধ
১৫৫৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন