আবার আসছে পরাধীনতা...
লিখেছেন লিখেছেন অবুঝ ছেলে ২৫ নভেম্বর, ২০১৩, ১০:৪৩:৫১ রাত
সিকিম ।
এক সময়ের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। কিন্তু এখন ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য।
প্রথমেই সিকিম সম্পর্কে কিছু কথা বলি। সিকিম ভারতের উত্তরদিকে অবস্থিত তিব্বতের পার্শবর্তী একটি রাষ্ট্র। রাজতন্ত্রের ভিত্তিতে দেশটির শাসন কার্যক্রম চলে। দেশের প্রধান হন রাজা। আঠারোশো শতকের শেষদিকে সিকিম স্বাধীনতা লাভ করে।
অনেক আগে থেকেই সিকিম দখলের লোভ ছিলো আগ্রাসনবাদী ভারতের। কারন সিকিমও ছিলো বাংলাদেশের মত ভারতের নিকটবর্তী একটি দেশ। ভারতের চারিদিকে তাকালে দেখতে পাবেন তারা তাদের সীমান্তবর্তী দেশগুলোর উপর আগ্রাসন চালাতে সিদ্ধহস্ত। যার উৎকৃষ্ট প্রমান সিকিম এবং কাশ্মীর। বর্তমানে বাংলাদেশকেও তারা কব্জা করতে চাচ্ছে এবং সে অনুযায়ী কাজ করেও যাচ্ছে।
এবার আসি কিভাবে সিকিম দখল করে ভারত।
ইতিহাস সাক্ষী,প্রতিটা দেশ দখল করতে চাইলেই দখলবাজরা সর্বপ্রথম সেই দেশে নিজেদের পা চাটা একজন গাদ্দার নিয়োগ করে। যেমন ইংরেজরা সৃষ্টি করেছিলো মীর জাফর,তেমনি ভারতও একটি গাদ্দার নিয়োগ করে সিকিমে। সেই গাদ্দারের নাম "লেনদুপ দর্জি" । সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস নামে ভারতের সৃষ্টি করা একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানমন্ত্রী ছিলো সে।
১৯৭৪ সালে সিকিমের রাজা চোগওয়ালের অধীনে অনুষ্ঠিত একটি পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীত্ব লাভ করে এই গাদ্দার। নির্বাচনে জিতে ভারতীয় চক্রান্তমতে ১৯৭৫ সালে লেনদুপ একটি গনভোটের সিদ্ধান্ত নেন যার বিষয় ছিলো রাজতন্ত্র বিলোপ হবে কিনা। ততোদিনে সিকিমে ভারতীয় সেনাবাহিনী ঘাটি গেড়ে ফেলেছে লেনদুপের সাহায্যে। ভোটের দিন তারা জনগনকে বন্দুকের মুখে "হ্যাঁ" ভোট দিতে বাধ্য করে। পুরা ঘটনা সাজানোই ছিলো। পরেরদিন সকালে গনভোটের রায় অনুযায়ী ভারতের মদদপুষ্ট সিকিম সেনাবাহিনীকে সাথে নিয়ে রাজপ্রাসাদে আক্রমন করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। দখল করে নেয় প্রাসাদ এবং ক্ষমতা। কিছুদিনের মধ্যেই সিকিম ভারতের পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ হয় এবং পরিনত হয় ভারতের অঙ্গরাজ্যে..!
আমাদের বর্তমান প্রজন্ম ভারতের এই আগ্রাসী ইতিহাস খুব কমই জানে। কারন তাদেরকে জানতে দেওয়া হয়নি। অপসংস্কৃতির মূলা তাদের নাকের সামনে ঝুলিয়ে তাদেরকে ভারতপ্রেমী বানিয়ে ফেলা হয়েছে।
ভারত চায় বাংলাদেশকেও সিকিমের মতই দখল করতে। তাই বাংলাদেশেও তারা গড়ে তুলেছে তাদের তাঁবেদার গোষ্ঠী।
বলাইবাহূল্য,বাংলাদেশের তাবেদার গোষ্ঠী আওয়ামীলীগ ও "লেনদুপ দর্জি" রুপী শেখ হাসিনার কর্মকান্ড বিশ্লেষন করলে স্পষ্টই বোঝা যায় বাংলাদেশও সিকিমের পথেই হাটছে। তাই সময় থাকতে তাদের রুখতে হবে। আবার পারধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হওয়ার আগেই ওই গাদ্দারদেরকে শায়েস্তা করে বিদায় করতে হবে।
পরিশেষে একটা কথা, " স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা অনেক কঠিন"...
বিষয়: রাজনীতি
১৪২৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন