জুতা-দর্শন
লিখেছেন লিখেছেন অবুঝ ছেলে ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১২:০৪:১২ রাত
কোথায় যেন গিয়ে খুব হন্যে হয়ে খুজছিলাম তোমাকে।খুজতে খুজতে তোমাকে তো পেলাম না,পেলাম একটা ঘড়ি।ঘড়িটা হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখে মনে হলো কাজে লাগতে পারে তাই রেখে দিলাম পকেটে।
তারপর আবার তোমাকে খুজছি,খুজতে খুজতে খুজতে তোমাকে তো পেলাম না,পেলাম একটা ইয়া বড় বস্তা।বস্তাটা খুলে দেখি অনেকগুলো জুতা।
আরে আশ্চর্য..! সারাজীবনে আমি যতগুলো জুতা ব্যাবহার করেছি সবগুলো আছে বস্তাটার মধ্যে।যেসব হারিয়ে গেছে,যেসব ছিড়ে গেছে সব।তাও আবার ঝকঝকে নতুন।
দু এক জোড়া নিতে ইচ্ছে হলো।খুজছি কোনটা নেওয়া যায়,এমনসময় পকেটে রাখা ঘড়িটার অ্যালার্ম বেজে উঠলো,সাথে ভাইব্রেশনও হচ্ছে।আজব তো..! ঘড়িতে আবার ভাইব্রেশনও হয়..!!? মেজাজ খারাপ লাগলো।ফিরে পাওয়া পুরাতন জুতাগুলো থেকে বিনামূল্যে দু এক জোড়া নিয়ে যাওয়ার জন্য খুজছিলাম এর মাঝে ব্যাঘাত ঘটালো ঘড়িটা।আপদটা পকেট থেকে বের করে অ্যালার্ম সুইচটা অফ করলাম।
কিন্তু একি ! অ্যালার্ম তো এখনো বাজছেই..! বিরক্ত হয়ে ব্যাটারি খুলে ফেললাম।তাও দেখি বাজতেই আছে।রাগের চোটে ঘড়িটাকে খুলে টুকরা টুকরা করে ফেললাম।অবাক হয়ে দেখি ঘড়িটার প্রতিটা খন্ড উপখন্ড থেকে অ্যালার্ম ভেসে আসছে।
খুব রাগ করে টুকরোগুলোকে পিষে ফেলতে চাইলাম।কিন্তু পারলাম না,পা'টা কোথায় যেন আটকে গেলো।জোরে ঝাড়া দিয়ে ছুটাতে চাইলাম কিন্তু ছুটলো তো না বরং অনবরত ঝাকি খেতেই থাকলো।ভালো করে চোখ মেললাম কিসে আটকেছে দেখার জন্য।
দেখি,মা আমার পা ধরে ঝাকাচ্ছে আর বলছে,ওঠ বাবা অনেক বেলা হয়েছে আর কতো ঘুমাবি....
আর বালিশের পাশে মোবাইলটার অ্যালার্ম এখনো বেজেই চলেছে,সাথে ভাইব্রেশনও।
এতোক্ষনে ঘড়িতে ভাইব্রেশন হওয়ার রহস্যটা বুঝে আসলো।কিন্তু এত্তোগুলা জুতা একটাও নিতে পারলাম না।
খুব আফসোস করতে করতে বিছানা ছাড়লাম.....
বিষয়: সাহিত্য
৯৯৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন