A Love Story

লিখেছেন লিখেছেন আলীনূর ফাহাদ ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০১:১৫:১৫ দুপুর

ছেলেটির বয়স অল্প। ঝক ঝকে গায়ের রঙ। সমুজ্জল মুখমন্ডল,দীর্ঘ চোখের পালক। খুব সুন্দর করে কথা বলে। ব্যক্তিত্যে এক ধরনের গাম্ভীর্য রয়েছে। খুব বেশিই আকর্ষণীয়।



ব্যাবসার উদ্দেশ্যে তিনি ছেলেটিকে কিছু মূলধন দিয়ে পাঠিয়ে ছিলেন সিরিয়ায়। ব্যাবসা করে এসে মুলধন সহ এত মুনাফা কেউ কখনও তার হাতে তুলে দেয় নি। দাসি মাইসারাও ছেলেটির প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

মাইসারার প্রশংসার কারনে হোক আর অন্য যেই কারনেই হোক, ছেলেটার প্রতি তার শ্রদ্ধা দিনে দিনে বারতে থাকে এবং তাকে পাওয়ার ইচ্ছাটাও তার মনে দানা বেধে উঠতে থাকে।

যদিও ছেলেটার চেয়ে তার বয়স অনেক বেশি। এর আগে বড় বড় সরদার, নেতা ও প্রধানগন অনেকেই তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে । তিনি কোনটিই মঞ্জুর করেন নি কিন্তু কেন জানি এই ছেলেটার জন্যে তার মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে।

তিনি তার এই ব্যকুলতা তার বান্ধবি নাফীসা বিনতে মুনাব্বিহ এর কাছে প্রকাশ করলেন এবং নাফীসা বিনতে মুনাব্বিহকে অনুরোধ করলেন ছেলেটার সাথে কথা বলতে। তার বান্ধবি নাফিসা ছেলেটার সাথে কথা বলল। মজার ব্যাপার বয়সের এত পার্থক্য থাকা সত্যেও , ছেলেটি বিয়ে করতে রাজি হল।

এরপর পরিবারের বয়জ্যেষ্ঠদের উপস্থিতিতে এক সুভক্ষনে তাদের বিয়ে হয়।

সেই সুদর্শন বুদ্ধিদিপ্ত ছেলেটি হল আব্দুল্লাহর পুত্র মুহাম্মাদ (সাঃ) যিনি বিবাহের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ভালোবাসার এক নতুন অধ্যায় শুরু করলেন , তার থেকে প্রায় ১৫ বছরের বড় খাদিজা বিনতে খাওয়াইলিদ (রাঃ) এর সাথে।

মুহাম্মাদ (সাঃ) খাদিজা (রাঃ) কে এতটাই ভালো বাসতেন যে খাদিজা (রাঃ) এর মৃত্যুর অনেক পরেও তাকে স্মরন করে রাসুলুল্লাহ(সাঃ) কিছুটা নসটালজিক হয়ে যেতেন। তার হৃদয়ে খাদিজা (রাঃ) এর জন্যে ভালোবাসা ছিল অটুট।

[খাদিজা (রাঃ)কে রাসুলুল্লহা (সাঃ) কি পরিমান ভালোবাসতেন তার একটা উদাহরন মা আইশা (রাঃ) এর হাদিস থেকেই পাওয়া যায়।

আইশা (রাঃ) বলেনঃ “ রাসুলুল্লাহ(সাঃ) খাদিজা (রাঃ) কে খুব কমই মনে না করে বা তার প্রশংসা না করে ঘর থেকে বের হতেন।

একদিন তিনি (সাঃ) তার (খাদিজা (রাঃ)) সম্পর্কে কথা বললেন এবং এই জন্যে আমি খুবই ঈর্ষান্নিত হলাম এবং তাকে বললামঃ “সে কি একজন বৃদ্ধ মহিলা ছিল না যাকে আল্লাহ বদলে দিয়ে আপনাকে আরো ভালো নারী দিয়েছে!!!”

সে (সাঃ) প্রচন্ড রেগে গেলেন এবং বললেনঃ না!!! আল্লাহর শপদ। আল্লাহ তাকে কোন ভালো নারীর পরিবর্তে বদলে দেয় নি। কারন সে আমাকে বিশ্বাস করত যখন মানুষ আমাকে অবিশ্বাস করেছিল। সে আমাকে আগলে রেখেছিল তার সম্পদ দিয়ে যখন লোকেরা অর্থদিয়ে আমাকে বঞ্চিত করেছিল।

আল্লাহর অনুগ্রহে আমার সন্তানেরা জন্মেছে তারই গর্ভে যেখানে অন্য নারীদের গর্ভে আমার সন্তান দেয়া হয় নি।

আইশা (রাঃ) বললেঃ এবং আমি মনে মনে বললাম। আর কখনই আমি তার সম্ভন্ধে আর এইরকম অসন্তোষ জনক কথা বলব না।” (এই হাদিসটি women around the messenger বইটি থেকে নেওয়া হয়েছে)]

মরালঃ বয়স নয়, বরং ভালোবাসাটাই হইল আসল কথা।

এখন বোঝা গেল তো What Is Love!!!

ফেইসবুক

বিষয়: বিবিধ

১৯৬৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File