এক ইমানদীপ্ত কাহিনী
লিখেছেন লিখেছেন পথ হারা পথিক ২২ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৪:৫৮:৫৭ বিকাল
Imam Ruhul Amin
এক অপরুপা কাশ্মিরি মুসলিম মেয়েকে দেখে এক হিন্দু ছেলের
খুব পছন্দ হলো। সে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালো। মেয়ে পক্ষ স্পষ্ট
জানিয়ে দিল কোন বিধর্মীর
সাথে তারা মেয়ে বিয়ে দেবে না। ছেলেটা অস্থির
হয়ে একে ধরে ওকে ধরে বলে- "আমাকে মুসলমান বানিয়ে দাও" । এক জনের দয়া হলো -- মসজিদে নিয়ে কলেমা পড়িয়ে দিলেন।
ছেলে গেল মেয়ের বাড়ীতে -- মুসলমান হয়েছি এবার দাও।
মেয়ের বাবা বললেন আগে তোমাকে ছয় মাস পর্যবেক্ষন
করে দেখি-- যদি দেখি দেওয়ার মত দিবো ইনশা আল্লাহ।
মেয়ের পরিবার খুব ধর্ম পরায়ন। ছয় মাস পর।
ছেলে বলল এবার দাও। মেয়ের বাবা বললেন চল আজমির যাই
তোমার ইমানের পরীক্ষা হবে। আজমীরে খাজা বাবার
মাজারে এল সবাই। মাজারের খাদেমরা নগদ
টাকা নানা ধরনের নজরানার এক বিশাল লিস্ট ধরিয়ে দিল।
ছেলে তাও যোগাড় করে দিল। এরপর তাকে মাজারের কাছে নিয়ে ঢাকনা দিয়ে কয়েক জন খাদেম সহ ঢাকা হলো ।
ঢাকনার নীচে ছেলেকে জোর
করে মাজারে সিজদা করানো হলো।
বেরিয়ে এসে খাদেমরা জানালেন সে এখন মুসলমান
হয়েছে খাজা বাবা খুব খুশী হয়েছেন। খাজা বাবা খুশী কিন্তু
ছেলেটার মুখ কালো। মেয়ের বাবা উৎফুল্ল হয়ে বললেন ''এসো, আর কোন বাধা নেই তুমি হবে আমার জামাতা''। ছেলে বলল ''
জনাব , আপনার মেয়েকে দেখে পাগল হয়েছিলাম সত্য
তাকে না পেলে আমার দুনিয়া বৃথা মনে হয়েছিল-- তাই পিতৃ-
পুরুষের ধর্মও নির্দ্বিধায় ত্যাগ করেছিলাম। আমি ছিলাম
মুর্তি পুজক আপনারা আমাকে বানালেন মাজার পুজক। কিন্তু
আমার গুরু যিনি আমাকে ইসলামে দিক্ষা দিয়েছেন তিনি আমাকে শিখিয়েছেন এক আল্লাহ
ছাড়া কারো কাছে মাথা না নোয়াতে --
মাথা নোয়ালে আমি আল্লাহর দৃষ্টিতে অভিশপ্ত হয়ে যাবো --
আপনার মেয়ের থেকেও এখন আল্লাহকে খুশী রাখাই আমার
কাছে বেশী গুরুত্ববহ। আমি চলে যাচ্ছি। আপনাদের মেয়ের
জন্য আমার আর কোনো আগ্রহ নাই--খুঁজলে আরেক জন শিরকী কাউকে পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ ।
ফেইসবুকে আমি
http://www.facebook.com/md.y.ali921
বিষয়: বিয়ের গল্প
২০২৪ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তাই আসুন, আমরা সবাই তাওহীদকে জেনে বুঝে নিজেকে গড়ার চেষ্টা করি।
আমাদের অবস্থা আসলে এখন এমনই
মন্তব্য করতে লগইন করুন