বাংলা অভিধান (Dictionary) সংশোধন প্রয়োজন
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ মিজানুর রহমান সোহেল ১৫ নভেম্বর, ২০১৩, ০৫:০৪:২১ সকাল
সংবাদ মাধ্যম সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই জরিপ করে দেখেছেন বাংলাদেশের খেটে খাওয়া নিরীহ মানুষগুলো কোন সংঘাত কিংবা অরাজকতা চান না। প্রধান মন্ত্রীর পদত্যাগ পূর্বক একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি বৈধ সরকার দেশ সেবার দ্বায়িত্ব নিয়ে চলমান সংকটের অবসান ঘটান এটাই প্রত্যাশা করেন। দেশের এই নিরীহ জনগোষ্ঠী চায় না কোন যুদ্ধ বিগ্রহ, চায়না কোন অশান্তি। চায় শুধু শান্তি।
দেশে চলছে চরম সংকট। মারামারি, কাটাকাটি, গোলাগুলি, জ্বালাও পোড়াও, ভাংচুর, হত্যা, গুম, গন গ্রেফতার সহ নানা অরাজকতা। দেশের প্রতিটি জনপদ আজ রক্তাক্ত। খেটে খাওয়া নিরহ মানুষগুলোকে কর্মস্থলে যেতে দেয়া হচ্ছে না। বোমা মেরে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে তাদের। দেশের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে চলছে সমান ধ্বংশযজ্ঞ। এমনকি কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী যাদের উপর আগামী বাংলাদেশ নির্ভর করছে, সেই তাদেরকেও পড়াশুনা করতে দেয়া হচ্ছেনা। স্কুলে যেতে বাধা প্রদান করা হচ্ছে, পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। সকল বাধা উপেক্ষা করে শিক্ষায় মনোনিবেশ করতে চাওয়া আগ্রহী শিক্ষার্থীদেরকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। গত কয়েকটি দিন তার সাক্ষ্য বহন করছে। গার্মেন্টস গুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দোকান পাটে আগুন, মানুষের আবাসস্থল বাড়ী ঘর আগুন দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে। এক কথায় মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর সব কটি সংকটাপন্ন। মানুষ আজ আতংকিত, সর্বত্র ভীত সন্ত্রস্ত। যে কোন সময় অপমৃত্যুর আশংকা নিয়ে নিরাপত্তাহীন অমানবিক জীবনযাপন করছে। কোথাও একবিন্দু শান্তি নেই। শুধু অশান্তি।
আর সব জটিলতা, সব ধ্বংশযজ্ঞ, সকল হত্যাযজ্ঞ একটি শর্ত ও রাষ্ট্রের নাগরিকদের চাহিদাকে কেন্দ্র করে। যে দাবী এক হিংস্র, রক্ত পিপাসু নেত্রীর খামখেয়ালীর পদ তলে পিষ্ট। মেয়াদ শেষ, পদত্যাগ করবেন, ক্ষমতা হস্তান্তর হবে, নিরপেক্ষ, নির্দলীয় একটি অস্থায়ী সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠ নির্বাচন হবে। দেশের বেশিরভাগ জনগন যাদেরকে আগামী বাংলাদেশের সেবক মনে করবেন, তারা সরকার গঠন করবে। বাকীরা সরকারী কার্যক্রমের দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখবে। এইতো ফর্মূলা। এখানে জটিলতা কিংবা এই অরাজকতার কি আছে !!! তাহলে কেন এই রক্তের খেলা ? শেখ হাসিনার রক্ত পিঁপাসাই এর কারন। তাঁর পদত্যাগ-ই একমাত্র সমাধান। যা দেশের এই অস্থির পরিস্থিতিকে নিমিষেই শান্ত করে মানুষের মাঝে শান্তি ফিরিয়ে দিতে পারে। কিন্তু না, তিনি তা করবেন না। ইচ্ছে করেই তিনি দেশের এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রেখেছেন। অথচ তিনি অবৈধ ভাবে স্ব-পদ দখলে রেখেও সম্প্রতি এক বক্তৃতায় বল্লেন- আমি প্রধানমন্ত্রী চাইনা, দেশের শান্তি চাই। এই যদি হয় তাঁর শান্তির অর্থ, শান্তির নমুনা, শান্তির সংজ্ঞা, শান্তির ব্যাখ্যা তাহলে তো বাংলা অভিধান ( Dictionary) সংশোধন করে উল্টে দিতে হবে। এবং সেই সাথে পৃথিবীর সকল Dictionary গুলোর এই বিষয়ক শব্দগুলোর বাংলা অর্থের ক্ষেত্রে আনতে হবে পরিবর্তন। কারন এতদিন তো আমরা অভিধান থেকে এগুলোকে অশান্তি হিসেবেই জানতাম। আর মেয়াদোত্তীর্ন প্রধানমন্ত্রী আমাদের নতুন করে শেখালেন দেশের এই বর্তমান পরিস্থিতির নাম শান্তি। বাঙ্গালী জাতির কপালে আরো যে কত কি শেখার বাকী আছে তা পরিবারদ্বয়ের প্রতি মোহ কাঁটিয়ে উঠতে না পারলে সময় –ই নির্ধারন করে দিবে।
সর্বপরি শান্তিকামী শেখ হাসিনাকে বলছি, সুবিধামত সংবিধান সংশোধনের ধারাবাহিকতায় অভিধান সমুহ পরিবর্তন করার উদ্যোগ নিন।
বিষয়: রাজনীতি
১২১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন