পরীক্ষা চলাকালীন সময় জামাতে নামাজ আদায় করলেন পরীক্ষার্থীরা
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ মিজানুর রহমান সোহেল ০৯ নভেম্বর, ২০১৩, ০৮:৪৮:০০ রাত
পরীক্ষা চলাকালীন সময় জামাতে নামাজ আদায় করলেন পরীক্ষার্থীরা
বোর্ড পরীক্ষা চলাকালীন নামাজের জামাতে অংশ গ্রহন করে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা প্রমান করল সবার আগে আল্লাহর হুকুম তারপরে দুনিয়া। আর এটাই হল সর্বোত্তম জিহাদ। আর এই জিহাদে অংশ নিয়ে স্থাপন করল এক বিরল দৃষ্টান্ত।
গতকাল ৮ নভেম্বর শুক্রবার সারা দেশে জেএসসি, জেডিসি পরীক্ষা চলাকালীন সময় বরিশালের ঝালকাঠি জেলার এন এস কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে পবিত্র জুম্মার দিন শুক্রবার পরীক্ষার সময় সূচী করার প্রতিবাদে বৃহষ্পতিবার উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন সর্বজন শ্রদ্ধেয় হযরত মাওলানা মুহাম্মদ আযীযুর রহমান নেছারাবাদী কায়েদ সাহেব হুজুর (রঃ) প্রতিষ্ঠিত ঝালকাঠী এন এস কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (হযরত কায়েদ সাহেব হুজুর রহঃ এর একমাত্র পুত্র) আলহাজ্ব মাওঃ মুহাঃ খলিলুর রহমান নেছারাবাদী এক বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন সরকার ইসলাম বোঝেনা, নামাজ বুঝে না, তাই তাদের কাছে ইসলামের, নামাজের কোন গুরুত্ব নেই। তিনি পরীক্ষার এ সময়সূচী পরিবর্তন করার অনুরোধ জানান সরকারের প্রতি। এ বিষয় কোন সাড়া না পেয়ে শুক্রবার সকাল থেকে কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন যেন অন্তত পরীক্ষা চলাকালীন সময় আসরের জামাতের জন্য সময় বর্ধিত করে দেয়া হয়। কিন্তু কেউ তাঁর ফোন রিসিভ করেননি। পরীক্ষার কারনে কোন অবস্থাতেই নামাজ ত্যাগ করার সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি জরুরী বৈঠক ডেকে পরীক্ষা চলাকালীন সময় উভয় নামাজের জামাত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
বেলা ২ ঘটিকার সময় পরীক্ষা আরম্ভ হওয়ায়, মূল ক্যাম্পাসের অদুরে অবস্থিত ঝালকাঠী এন এস কামিল মাদ্রাসার ৪র্থ ক্যাম্পাস মহিলা মাদ্রাসায় স্থাপিত পরীক্ষা কেন্দ্র সংলগ্ন মহিলা মাদ্রাসা জামে মসজিদে জুমার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয় ১২ টা ৪৫ মিনিটে। (ক্যাম্পাসের মূল মসজিদে পূর্বের নিয়মে যথা সময় জামাত হয়) এরপর পরীক্ষা চলাকালীন সময় আসরের ওয়াক্ত হলে পরীক্ষা কেন্দ্র মাঠে আবারও নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীরা লেখা বন্ধ করে আসরের নামাজের জামাতে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে স্বেচ্ছায় অংশগ্রহন করেন। ছাত্রীদের নামাজের জন্যও ছিল আলাদা ব্যবস্থা। এ সময় পুলিশ সহ সকল কর্মকর্তা কর্মচারী যথাক্রমে নামাজ আদায় করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান পরীক্ষার নির্দিষ্ট সময় থেকে আল্লাহর মহান হুকুম আদায়ে কিছু সময় ব্যয় করেছি, আশা করি আমাদের ফলাফলে এর কোন খারাপ প্রভাব পড়বেনা বরং আল্লাহর রহমতে পরীক্ষা সহজ হয়ে যাবে। পরকালের কল্যান ই আসল কল্যান।
বিষয়: বিবিধ
১৪০৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন