মিসওয়াকের ফজিলত
লিখেছেন লিখেছেন বেদূঈন পথিক ০১ নভেম্বর, ২০১৩, ১২:২২:২৭ রাত
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর হবে এই আশঙ্কা না হলে আমি তাদেরকে প্রত্যেক নামাযের সময় মিসওয়াক করার আদেশ দিতাম (অর্থাৎ মিসওয়াক করা অপরিহার্য করে দিতাম)। (মুসলিম)
হযরত আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, জিবরীল আ. যখনই আমার নিকট আসতেন আমাকে মিসওয়াকের তাকীদ করতেন। এমনকি আমার আশঙ্কা হতে লাগল যে, অত্যধিক মিসওয়াকের কারণে আমি নিজের মাড়ি না ছিলে ফেলি। (মুসনাদে আহমাদ)
আরেক হাদীসে আছে, বান্দা যখন মিসওয়াক করে নামাযের জন্য দাঁড়ায় তখন ফেরেশতা তার পিছনে দাঁড়িয়ে যান এবং মনোযোগের সাথে তার তিলাওয়াত শুনতে থাকেন। এরপর তার অত্যন্ত নিকটবর্তী হন এমনকি তার মুখের উপর নিজের মুখ রাখেন। ফলে কুরআনে পাকের শব্দ নামাজীর ভিতর থেকে বের হয়ে সোজা ফেরেশতার পেটের ভিতর চলে যায় এবং এইভাবে সে ফেরেশতাদের নিকট প্রিয় হয়ে যায়। অতএব কুরআনে কারীমের তিলাওয়াতের জন্য নিজেদের মুখ পরিষ্কার রাখ, অর্থাৎ মিসওয়াকের ইহতেমাম কর। (বাযযার-মাজমাউয যাওয়াইদ)
হযরত আয়েশা রা. হতে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, মিসওয়াক করে দুই রাকাত মিসওয়াক ব্যতীত সত্তর রাকাত হতে উত্তম। (বাযযার, মাজমা)
বিষয়: বিবিধ
১৪৩২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন