চুপা মালু নাস্তিকদের ধুতি খোলব!!

লিখেছেন লিখেছেন বেদূঈন পথিক ২০ অক্টোবর, ২০১৩, ১১:০১:২৭ রাত

নবী (স: ) ও

মা আয়েশার বিয়ের

সময় মা আয়েশার

বয়স ছিলো ৬ বছর " ।

এই পোষ্টে তাদের

ধুতি খোলা হলো।

প্রথমেই

বলি শিশু বিবাহ যে

ইসলামে নিষিদ্ধ

এটা জানতে যারা আগ্

কোরআনের ৪:৬ ,

৪:২১ , ৩০:২১ ও ২৫:৭৪

আয়াতগুলো পড়ে দেখতে

এই আয়াতগুলোর

বিস্তারিত ব্যাখ্যায়

গেলাম না , কারন

নাস্তিকরা কোরানে ব

করে না। যেহেতু

নাস্তিকরুপি ছুপা হিন্

এই অভিযোগের

ভিত্তি হলো বুখারী ব

একটি হাদীস , তাই

হাদীস থেকেই

প্রমানের

চেষ্টা করব যে উক্ত

হাদীসট ছিল ভূয়া।

এবং এরা সেই ভ্রান্ত

হাদিসটি প্রচার

করে থাকে।

→ এই হাদীসটির

বর্ননাকারীদের শেষ

ব্যাক্তি হিশাম বিন

উর্ওয়া তার বাপের

কাছ

থেকে হাদীসটি শুনেছ

হাদীসটি মূলত আহাদ

হাদীস। হিশাম তার

জীবনের প্রথম ৭১

বছর

মদিনায় কাটালেও

মদিনার কেউ এই

হাদীসটি শোনেনি ,

এমনকি তার বিখ্যাত

ছাত্র

মালিক বিন আনাস ও

এই হাদীসের উল্লেখ

করেন

নি। হিশামের শেষ

জীবন কাটে ইরাকে ।

একারনেই

এই হাদীসের

বর্ননাকারী বাকি স

ইরাকি।

ইয়াকুব ইবনে শায়বাহ

বলেছেন , “হিশামের

সকল

হাদীস বিশ্বাসযোগ্য ,

শুধুমাত্র

ইরাকিরা যেগুলো বর্ন

মালিক বিন আনাস ,

যিনি হিশামের ছাত্র

ছিলেন ,

তিনি হিশামের

ইরাকিদের

মাধ্যমে বর্নীত

হাদীসগুলোকে সন্দেহ

করেন।

(সুত্র – তেহজিবুল

তেহজিব , লেখক-

ইবনে হাজার

আল আশকানি।

বইটি হাদীস

বর্ননাকারীদের

বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে লিখিত।

ফলে উক্ত

হাদিসটি ভুল

প্রমাণিত হয়। এবার

আয়েশা সিদ্দিকার

বয়স নিয়ে বলা যাক।

→ বুখারীর কিতাবুল

তাফসিরে একটি হাদী

পাওয়া যায় ,

যেখানে আয়েশা নিজে

নাযিলের সময়

কিশোরি মেয়ে ‘যারিয়া

‘সিবিয়াহ’ নয়)

হিসাবে দাবী করেছেন

উল্লেখ্য, সূরা ৫৪

হিজরীপূর্ব ৯

সালে মক্কায়

অবতীর্ন হয়।

আয়েশার সাথে নবীর

বিয়ে হয় ২য়

হিজরীতে। এখন

সূরা ৫৪ নাযিলের

সময় আয়েশার বয়স ৫

বছর ও হয় (যেহেতু

তার এই

ঘটনা স্মরন

আছে এবং এর

নিচে হলে তাকে কিশো

বলা উচিৎ

ছিল) তাহলে বিয়ের

সময় আয়েশার বয়স

৫+৯+২=১৬ বছর

ন্যুনতম ছিল।

দাম্পত্য জীবন শুরু

হয় আরো ২ বছর পরে।

→ অনেক হাদীসের

বর্ননায় পাওয়া যায়

আয়েশা ওহুদের

যুদ্ধে নবীর

সফরসঙ্গী ছিলেন।

ওহুদের

যুদ্ধে ছেলে মেয়ে নির্

বছরের

নিচে কাউকে যুদ্ধে নে

নি। ওহুদের যুদ্ধ ২য়

হিজরীর

নিকটবর্তী কোন এক

সময় সংঘটিত হয়। এর

অর্থ দাড়ায় আয়েশার

বয়স বিয়ের সময় ১৫

বছরের বেশি ছিল।

→ ঐতিহাসিকগন

মহিলা সাহাবি ‘আসমা

বয়স

সম্পর্কে একমত।

আসমা , আয়েশার বড়

বোন ও

বয়সে আয়েশার

থেকে ১০ বছরের বড়।

তাকরিবুল

তেহজিব ও আল-

বিদায়াহ ওয়াল

নিহায়াহ বই

দুটিতে বর্নীত

হয়েছে যে , আসমা ৭৩

হিজরী সালে ১০০

বছর বয়সে মারা যান।

এর অর্থ

দাড়ায় , হিজরতের

সময় আসমার বয়স

ছিল ২৭ বছর।

আয়েশা যেহেতু

আসমার চেয়ে ১০

বছরের ছোট ,

তাহলে হিজরতের

সময় আয়েশার বয়স

ছিল ১৭ বছর।

আয়েশার বিয়ে হয় ২য়

হিজরীতে । এই

হিসাবে আয়েশার

বয়স বিয়ের সময় হয়

১৯ বছর।

→ সবচেয়ে বড়ো বিষয়

হলো যে , আবুবকরের

৪ সন্তানের সকলেই

ইসলামপূর্ব ৬১০

সালের আগেই

জন্মগ্রহন করেন।

আয়েশার বিয়ে হয়

৬২৪ সাল বা ২য়

হিজরীতে। এর

মানে দাড়ায় বিয়ের

সময় আয়েশার বয়স

ন্যুন্নতম ১৪ বছর

ছিল। (Tarikhu’l-umam

wa’l-mamlu’k, Al-Tabari,

Vol 4, Pg 50)

→ ঐতিহাসিক

ইবনে হিশামের

বর্ননামতে আয়েশা উ

ইবনে আল-

খাত্তাবের বেশ

কিছু আগে ইসলাম

ধর্ম গ্রহন করেন। এর

অর্থ দাড়ায়

আয়েশা ৬১০ সালের

কাছাকাছি সময়ে ইস

ধর্ম

গ্রহন করেন । এখন

যদি ধরা যায়

তিনি বুঝে শুনে ইসলা

ধর্ম গ্রহন করেছেন ,

তাহলে তখন তার

বয়স ছিল ৭-৮ বছর।

এই

হিসাবে আয়েশার

বয়স বিয়ের সময় ২০

বছরের

উপরে হয়। (Al-Sirah al-

Nabawiyyah, Ibn Hisham,

vol 1, Pg 227 – 234 and

295)

এইরুপ আরো অনেক

হাদীস

বা ঐতিহাসিকের

উদ্ধৃতি দিয়ে প্রমান

করা যায় যে আয়েশার

বয়স

বিয়ের সময় ৬-৭ বছর

ছিল না।

বিষয়: বিবিধ

১৫৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File