গার্ভেজে বস্তা বন্দী লাশ গুলো কি শাপলা চত্বরে নিহত হেফাজত কর্মীদের???
লিখেছেন লিখেছেন বেদূঈন পথিক ২৩ আগস্ট, ২০১৩, ০৯:০৩:১৪ রাত
ঢাকা শহরের মাতুয়াইল গার্ভেজ সেন্টারে বস্তা বন্দী বেশ কিছু মানুষের লাশের হাড়গুড় পাওয়া গেছে।
কয়েক জন টুকাই সিটিকর্পারশনের ময়লার স্তুপের মধ্যে কগজ কুড়াতে গিয়ে,মুখ বন্ধ চার পাচঁটি বস্তা দেখতে পায়।
বস্তার মুখ গুলো খুলে মানুষের লাশের হাড়গুড় দেখে বয় পেয়ে যায়।
পরে তাদের ভাঙ্গারির মালিক কে ঘটনাটি বলে।ভাঙ্গারির মালিক বিষয়টি শুনে থানায় ইনর্ফম করেন।
ভাঙ্গারির মালিক বলেন পাচঁটি বস্তায় কম পক্ষে ১৮ থেকে ১৯টি লাশ হবে!!
এখন কথা হলো,এতো গুলো লাশ সিটিকর্পারশনের ময়লার স্তুপের মাঝে এক সাথে আসল কোথা থেকে??
কোন সন্ত্রাসী গ্রুপ কি এই কাজ করেছে? না ভাই মানতে পার লামনা।
কারণ এক সাথে এতো গুলো লাশ কখনই কোন সন্ত্রাসী গ্রুপ মিলিত করতে পারবেনা বা করবে ও না।
তাই সন্ধেহ টা যায় সরকারের দিকে! বাংলাদেশে আওয়ামী সরকার গত সাড়ে চার বছর বিরোধী মতের উপর যতো গণহত্যা চালিয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে যঘন্য গণহত্যা চালিয়েছে মতিঝিলে হেফাজত কর্মমীদের উপর।
বাতি নিবিয়ে মধ্য রাতে গণহত্যা।তার পর লাশ গুলো সিটিকর্পারশনের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া! ওয়াসার পানি দিয়ে শহিদের রক্ত রাত পোয়াবার আগেই পরিস্কার করে ফেলা! এস সবই মিডিয়া প্রচার হয়েছে। কিন্তু সরকার বাহাদূর সব সময়ই অসীকার করে গেছেন। লাশ গুলো হদিস ও পাওয়া যায় নি।
মানব অধিকার সংস্থা ''অধোকার'' তথ্য প্রকাশ করেছিল যে শাপলা চত্বরে সরকারি বাহিনির হাতে হেফাজতের ৬১জন কর্মী নিহত হয়ে ছিল।
এখন একটি গল্প বল,তার পর আমার লেখার ইতি টানবো।
গল্পটি হলো,
এক দিন এক লোক অন্য এক লোকে খুন করছিল।একটি জনবিচ্ছিন্য জায়গায়। একে তো জনবিচ্ছিন্য জায়গা আরেক তো খুন করার সময় বড় বড় ফোটাঁয় বৃষ্টি হচ্ছিল।
যে লোকে খুন করেছিল সে লোক মরে যেতে যেতে বলছিল,
আমি মরে যাচ্ছি,আমার লাশটা ও তুই পুতে ফেলবে! রক্তের দাগ গুলো ও বৃষ্টি পানি ধুয়ে নিয়ে যাবে।
আমাকে যে তুই খুন করেছিস তার কোন প্রমান থাকবে না ।
কিন্তু একট কথা মনে রাকিস,কোন প্রমান না থাকলে ও এই বৃষ্টি একদিন সাক্ষী দেবে তুই আমাকে খুন করেছিলে!
তার কথা শুনে খুনি হাসছিল।
কিছু দিন পরে, এক দিন বড় বড় ফোটাঁয় বৃষ্টি হচ্ছিল, বৃষ্টির ফোটাঁ দেখে ঐ খুনি খুব হাসছিল।
তার হাসি দেখে তার স্ত্রী জিজ্ঞাস করল বৃষ্টি দেখে হাসছ কেন??
বেছারা স্ত্রী কে বিশ্বাস করে খুনের সব ঘটনা খুলে বলল!
ঘটনা শুনার পর স্বামী কে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিল।
বৃষ্টি এই যুগে সাক্ষী দেবেনা কিন্তু ডিএনএন টেষ্ট আরো নিখুত ভাবে সাক্ষী দেবে।
মতিঝিলে শাপলা চত্বরে নিহত কারো লাশ হলে অবশ্যই এর পরিচয় মেলা সম্ভব।
কিন্তু সরকার বাহাদুর এই কাজটি করবেনা।
আমাদের কে অপেক্ষা করতে হবে কোন বড় বড় ফোটাঁর বৃষ্টির!!
বিষয়: রাজনীতি
২৪১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন