পর্নোগ্রাফির থাবা এই সমাজে অনেক গভীরে ঢুকে গেছে
লিখেছেন লিখেছেন সাফওয়ান ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:৩৫:২২ দুপুর
পর্নোগ্রাফির থাবা এই সমাজে কত গভীরে ঢুকে গেছে তা কল্পনাতীত। একদিকে নামাজি ছেলেমেয়ের সংখ্যা খুবই নগন্য, অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিজাব ব্যান করেছে; অন্যদিকে 'শাহবাগী মুসলিমদের' মতন নামকাওয়াস্তে মুসলিমে ছেয়ে গেছে। এরা থাবাবাবার মতন নিকৃষ্টের জানাজা পড়েছে, রাসূলের (সা) পরিবারকে নিয়ে লেখা কুরূচিময় বিকৃত ব্লগগুলোকে তারা স্বাভাবিক চোখে(!) দেখে-- আসলে এদের বোধ মরে গেছে । এমন বিকৃত রূচি আর অসুস্থ মানসিকতায় গড়ে উঠছে 'সেক্যুলার' শিক্ষায় সেকুলার কালচারের বাংলাদেশ। আমাদের সমাজে শরীরস্বর্বস্ব ছেলেমেয়েদের তাই এখন বাম্পার ফলন।
ছোট ছেলেমেয়েরা মোবাইল ফোন, টাবলেট আর কম্পিউটারে কী করে? গেম খেলে? কতক্ষণ? বাবামায়েরা খোঁজ রাখে কি? সেদিন দেখলাম একটা রিকসায় ঘোমটা পরা সাধারণ বাঙালি মায়ের পাশে বসে স্কুলগামী ছেলে মোবাইলে ফেসবুক চালাচ্ছে, দূর থেকেও তার মোবাইল স্ক্রিণে স্বল্পবসনা মেয়েদের ছবি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। মা তার পুত্র সন্তানকে পাশে নিয়ে বসে আছেন যখন তার ছেলে চোখ দিয়ে মেয়েদের গিলে খাচ্ছে... ক'দিন পর তার তৃষ্ণা বেড়ে যাবে, তখন কি আর শুধু বান্ধবীদের ফটোতেই সে সন্তুষ্ট থাকবে? তার নেই শিক্ষা, নেই সঠিক নিয়াতে বিয়ের সম্ভাবনা, তাহলে পাপাচারের ভবিষ্যত ছাড়া আর কিছু রইলো কি? থাকেও না, এরা কিছুদিন পরেই প্রেম-ডেটিং ইত্যাদিতে আনন্দ খুঁজে নেয়। বল্গাহীন জীবনের সীমাহীন যন্ত্রণা যার জীবনের সমাপ্তি।
সাইবার ক্যাফেতে গেলে প্রায় সবসময় ব্রাউজার হিস্টরিতে দেখতে পাওয়া যায় পর্নোগ্রাফি সাইটের নাম। গুগলে বাংলায় কিছু চাপতে গেলে ভেসে ওঠে নোংরা সব সার্চ কী-ওয়ার্ড। এগুলো বলেই দেয় এই দেশের উঠতি এবং বয়ষ্ক গোষ্ঠীর চিন্তার মাঝে কী পরিমাণ কদর্যতা মিশে গেছে। শহরে হাইস্কুলে পড়া মেয়েদের মাঝে খুব কমই বয়ফ্রেন্ড না থাকাতেই মুক্তি খুঁজে পায়। পর্নোগ্রাফি এদের মোবাইলে খুব সহজেই ঢুকে পড়ে। অভিভাবকরা হয়ত জানে না, জানলেও কিছু বলে না। অদ্ভুত বিচিত্রতায় ভরপুর এই সমাজ এখন।
প্রেম নামক সম্পর্কটা আগেও হারাম ছিলো, এখনো আছে। এখন ছেলেমেয়েরা প্রেম করলেই তাতে শরীর জড়িয়ে নেয়। প্রেম করে 'ছ্যাকা খেয়ে কেউ কান্নাকাটি করে, অন্যেরা 'শরীরের পাপ' ঝেড়ে ফেলে এগিয়ে যায় নতুন পাপে, আবার কেউ কেউ গলায় দড়ি দিয়ে পটল তুলে নেয়। ছোট ছোট ছেলেমেয়ে, ফোনে অপরিচিতদের সাথে আলাপে মাস্তি করে। নাটক আর টেলিভিশন বলে দিচ্ছে তাদের প্রেম করতে হবে, প্রতিটি বিলবোর্ড বলে দিচ্ছে তাদের প্রেম করতে হবে।
এগুলো শেষ করা সম্ভব নয় রাতারাতি। নোংরামি, পাপাচার, ধর্মহীন, ইসলাম বিদ্বেষের এই কুৎসিত সমাজে একমাত্র আল্লাহর ভয়, আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা এনে দিতে পারে নতুন প্রাণ, নতুন সতেজতা, নতুন এক সুন্দর পৃথিবী..
বিষয়: বিবিধ
২৯৭৭ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লহুআকবার। এর পর থেকে সাইবার ক্যাফেতে যাইনা। যুব সমাজ আজ সত্যি ভিষন বিপদের মাঝে । আর এই যুব সমাজকে যারা ঠিক করবে তারাইতো একসময় এরখম ছিলো বা এখনও ওরখমি আছে। তাহলে তাদের বাচ্চা কাচ্চা কেমনে ভালো হবে
আমার স্বরণ আছে আমি ছোট বেলায় একদিন কেরামবোর্ড খেলতে গেছিলাম সে জন্য আব্বা যে মাইর দিছে আজ পর্যন্ত ভুলিনাই।
মাইরের দাগ এখন আছে মনেহয়
এখন তো তুলাদিয়ে বাচ্চা কাচ্চা পালে
আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করুন আমীন।
====
জাজাকাল্লাহুখায়রান।
মাইরের দাগ এখন আছে মনেহয়
ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
জাযাকাল্লাহ..
বিদ্বেষের এই কুৎসিত সমাজে একমাত্র
আল্লাহর ভয়, আল্লাহর
প্রতি ভালোবাসা এনে দিতে পারে নতুন
প্রাণ, নতুন সতেজতা, নতুন এক সুন্দর
পৃথিবী..
জাজাকাল্লাহু খায়রান।
মন্তব্য করতে লগইন করুন