বিয়ের আলাপ যখন আগাতে থাকবে তখন যা করবেন
লিখেছেন লিখেছেন সাফওয়ান ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৯:১৯:০৫ রাত
আমাদের উচিত আল্লাহর সাথে নিজেদের সম্পর্ককে গভীর করার চেষ্টা করা। বিয়ে এই ক্ষেত্রে একটা ভালো উপলক্ষ হতে পারে। আপনার বিয়ের আলাপ যখন আগাতে থাকবে, কিংবা আপনি যখন নিয়াত করছেন বিয়ের জন্য, আপনি নফল ইবাদাতের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন।
আল্লাহর কাছেই সাহায্য চান, মানুষের কাছে না চেয়ে। আল্লাহ সমগ্র সৃষ্টির মালিক, তার হাতেই সমস্ত সম্পদ। তিনি যদি আপনার জন্য কল্যাণ চান, তবে কেউ ঠেকাতে পারবে না। তিনি যদি না চান, তবে কেউ দিতে পারবে না। তাই আপনার সমস্ত চাওয়া হোক আল্লাহর কাছে।
নফল ইবাদাতের আগে তো ফরজ। যদি এমন হয়ে থাকে যে আপনার ফরজ ইবাদাতগুলোতে আপনি নিয়মিত নন, তবে শীঘ্রই নিয়মিত হোন। আল্লাহর কাছে বান্দা যেকোন সময়েই চাইতে পারে। তবে যারা তার আদেশকে মেনে চলে, তারা তার নিকটবর্তী। তাই নামাজে নিয়মিত হওয়া বাঞ্ছনীয়।
বিয়ের সময়টা হোক আপনার অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি আমলে পূর্ণ, বেশি ঈমানে পূর্ণ। আর এই বেশি বেশি জিনিসগুলো যেন মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত কেবল বৃদ্ধিই পায়। ঈমানে এবং আমলে আপনি আল্লাহর আরো নৈকট্য লাভ করুন।
আপনার বিয়ে যখন এগিয়ে আসবে
আল্লাহ যখন আপনার জন্য চাইবেন, তখন বাধা-বিপত্তিগুলো সহজ হয়ে যেতে থাকে। খটকাগুলো দূর হয়েও সবকিছু এগিয়ে যেতে থাকে...
মানুষের হাতে কোন ক্ষমতা নেই প্রকৃতপক্ষে। তার কাছেই সাহায্য চান, যিনি সবাইকে সাহায্য করেন। তার কাছেই ভালোবাসার ভিক্ষা করুন, যিনি ভালোবাসাকে সবার হৃদয়ে জাগরূক রাখেন।
এমন কারো জন্য দোয়া করুন, এমন কাউকে জীবনের সঙ্গী হিসেবে চান, যাকে আল্লাহ ভালোবাসেন, যিনি আল্লাহকে ভালোবাসেন; আর নিজেও তেমনি এক ভালোবাসাময় হতে চেষ্টা করুন। ভালোবাসার কেন্দ্র হোক আল্লাহ...
আল্লাহ তো ওয়াদুদ... প্রেমময়। তিনি চাইলে খুব সাদামাটা মানুষকে ভালোবেসে এবং সাদামাটা মানুষটার ভালোবাসা পেয়ে অন্তরে আনন্দের স্রোত বইবে আপনার, চোখ হবে শীতল, প্রশান্তিভরা মন... ইনশাআল্লাহ।
বিয়ের জন্য যখন ইস্তিখারা করবেন তা এক অদ্ভুত সুন্দর ব্যাপার
ইস্তিখারা, বিয়ে হোক বা অন্য সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেই হোক, আল্লাহর কাছে চাওয়ার একটা অদ্ভুত ডাইমেনশান আছে। আপনি একটা বিষয় নিয়ে হয়ত চিন্তা করছেন কোন দিকে আগাবেন, কী করবেন --সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার উপায় বুঝতে পারছেন না। এমন অবস্থাতে পৃথিবীর প্রতিটা মানুষই পড়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে। কিন্তু মুসলমদের বিষয়টা আলাদা। সে আল্লাহর কাছে রাতের বেলা তাহাজ্জুদে কাঁদে আর বলতে থাকে আল্লাহ এই বিষয়ে যদি দুনিয়া ও আখিরাতে আমার কল্যাণ থাকতে তাহলে আমার জন্য একে সহজ করে দেন। আর যদি আপনি এতে আমার কল্যাণ মনে না করেন তাহলে একে আমার থেকে দূরে সরিয়ে দেন...
বিষয়টা এমন না যে যা নিয়ে/যাকে নিয়ে আলাপ হচ্ছে সে/তা কম আকর্ষণীয় বা কম ভালো। বরং, আপনি দু'আ করবেন এতে আপনার জন্য কল্যাণময়তার জন্য। আর আল্লাহর কাছে এই দু'আ আপনি করবেন নামাজ পড়ে... মনে রাখবেন, আপনাকে ক্রমাগত আল্লাহর কাছে ইস্তিখারার নামাজ আদায় করে দোয়া করতে থাকা উচিত। যদি আল্লাহ সব 'খাপে-খাপ' মিলিয়ে সহজ করে দিতে থাকেন, আপনার পছন্দ-অপছন্দ, সংশয় ছাপিয়ে কাজটা যেদিকে সহজ হয়, সেদিকেই পাল মেলে দেয়ার একটা ব্যাপার... এভাবে হয়ত আপনি যা পাবেন, তাতেই আল্লাহ আপনার জন্য কল্যাণ রেখেছেন। আল্লাহ গায়েবের খবর জানেন, আমরা কিছুই জানিনা, আমরা কিছুই বুঝিনা।
অনেক সময় অনেক অনাকর্ষণীয় বস্তুর মোড়কে অনেক ভালো জিনিস থাকে, অনেক সময় তার বিপরীতটাও হয়। আল্লাহর উপরে নির্ভর যারা করে, তারা ইনশা আল্লাহ সহজ পথটর সন্ধান পাবে। এইটুকু হলো বান্দার উপলব্ধি...
স্কলারদের আলাপ পড়তে এই লিঙ্ক দেখুন :
http://learningdeen.wordpress.com/2012/07/22/istikhara/
বিষয়: বিবিধ
১২৮৩ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অফটপিকঃ ভাইয়া আমাকে বিয়ের দাওয়াত দিয়ে আমার ৩জন ভাই বিয়ে করে রেখে দিছেন
আপনি আমাকে দাওয়াত দিন তাহলে আপনারো তাড়াতাড়ি বিয়ে হয়ে যাবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন