ভালোবাসা দিবসে আপনি যা যা করতে পারেন
লিখেছেন লিখেছেন সাফওয়ান ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৩:৩৯:২৭ দুপুর
ভ্যালেন্টাইন ডে নামের ব্যভিচার ও বেহায়াপনা দিবসে আপনি যা করতে পারেন:
- যেসব জায়াগাতে এইসব নির্লজ্জতা হতে থাকে, সেসব জায়গায় থাকলে আপনি নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই নিঃশঙ্কোচে দূরে থাকা প্রথম কাজ। সম্ভব হলে বাইরে বের হবেন না বা ঐসব এলাকায় যাবেন না যেখানে কামের কেনাবেচা হয় বা উন্মুক্তভাবে নির্লজ্জতার প্রদর্শনী হয়।
- টেলিভিশন থেকে দূরে থাকুন। সমস্ত বাণিজ্যিক প্রোডাক্টই এখন মূলত কাম বিক্রি করে পণ্যের আগে। তাই তাদের প্রচারণাও হবে অসুস্থ ও জঘন্য। যতদিন এইসব সংস্কৃতি উলটে দিতে না পারছেন, দূরে থাকাই শ্রেয়।
- নিজেকে এবং পরিবারকে আগুণ থেকে বাঁচানোর নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ। তাই আপনার পরিবার পরিজনকে এইসব নিকৃষ্ট সংস্কৃতি থেকে রক্ষা করুন।
- প্রচুর দু'আ করুন আপনার জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনী এবং সন্তান-সন্ততিদের জন্য। বিশেষ করে যারা অবিবাহিত, আল্লাহর কাছে দু'আ করুন যেন আল্লাহ আপনার সঙ্গীটিকে এই নগ্নতা-বেহায়াপনার চারপাশ থেকে দূরে রাখেন।
- সারাক্ষণ আল্লাহকে স্মরণ করুন। আল্লাহর কাছে সাহায্য চান যেন তিনি আপনাকে রক্ষা করেন যাবতীয় অন্যায়-পাপাচার-কামাচারের হাত থেকে। আল্লাহ আপনাকে কেমন করে রক্ষা করবেন তা আপনি একসময় খেয়াল করে অবাক হয়ে যাবেন।
- ব্যাভিচারের ধারে-কাছেও না যেতে আদেশ দিয়েছেন আল্লাহ। গাইর-মাহরাম কারো সাথে আলাপ আপনার অন্তরকে গ্রাস করে ফেলতে পারে। আপনি তখন নামাজেও হয়ত কারো কথা স্মরণ করতে শুরু করতে পারেন। তাই, অন্তরকে কেবল আল্লাহর জন্যই রাখুন। অন্তরকে সুরক্ষিত রাখতে আপনার জন্য গাইর মাহরাম নারী অথবা পুরুষদের কাছ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
- শয়তান মূলত সুঁই হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বের হয় অন্তরে, মনে। তাই নিজেকে কোন প্রকার ছাড় দিবেন না শয়তানের ওয়াসওয়াসা কানে ঢুকার জন্য।
- সবশেষে মনে রাখবেন। এইরকম নোংরামির সমাজে যারা নিজেদের চরিত্রকে সুরক্ষিত করে চলবে, আল্লাহ তাদের প্রতি তার রাহমাতের স্রোতধারা বইয়ে দিবেন। হয়ত এটুকু চেষ্টা আপনার হিদায়াতের কারণ হতে পারে। আল্লাহ আপনাকে চরিত্রবান জীবনসঙ্গী দান করবেন এবং আখিরাতেও আপনি সার্বিকভাবে মুক্তি লাভ করবেন। তাই ন্যুনতম চেষ্টাটুকু করে হলেও জাহান্নামের আগুণ থেকে দূরে থাকুন।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন নির্লজ্জতা, বেহায়াপনা, পাপাচার, সীমালঙ্ঘন থেকে এবং আমাদেরকে জান্নাতের পথে পরিচালিত করুন। আল্লাহ আমাদের উত্তম চরিত্র অর্জনের তাওফিক দান করুন যা তিনি ভালোবাসেন।
বিষয়: বিবিধ
১০৪১ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন