যুবতী মেয়েটা

লিখেছেন লিখেছেন সাফওয়ান ৩০ আগস্ট, ২০১৩, ০৪:৪৪:০৯ বিকাল

(১)

একটু ভ্যাতলা ভ্যাতলা মিষ্টি কথা, জন্মতারিখ জানা, আকাইম্মা বিষয় নিয়া আজাইরা প্যাচাল পাড়তে পারা আর ফাস্টফুডের দোকানের বিলটা দিতে পারলেই প্রেমিক হওয়া যায়। পটায়া পটায়া বহুত আকাম করা যায়। চুলগুলা না আঁচড়ালে, একটু 'ক্যাজুয়াল লুক' নিতে পারলে তো পোয়াবারো।

আধযুগ ধরে প্রেম করা পোলারে তাদের বিয়া কবে হবে তা জিজ্ঞাসা করলে কয়, 'মামা অনেক দায়িত্ব মামা। এখন আমি রেডি না, বাসাতেও রেডি না। বিয়ে করলে তো লাইফ পুরা বদলায়া যাবে।'......

বিয়ের প্ল্যান নাই কিন্তু তারা ঠিকই বছর ধইরা রেগুলার ফেসবুকের কমেন্টে কোলন স্টার মেরে কমেন্টিং করে। এই রোমান্সে রোমাঞ্চিত বন্ধুরা তাতে লাইকায়। ঢাকায় রেস্টুরেন্টে বসে, রিকসার হুড তুলে প্রেম করে। ওয়াহ ওয়াহ!! এসব ড্যূড আর চিক্সদের কাছ থেকে নতুন নতুন ঐশী সিরিজের কাহিনী সৃষ্টির অপেক্ষা কেবল... মুক্তি কই?

(২)

"ছেলের বয়স মাত্র ২৭। এখনই কীসের বিয়ে?" -- আহাহা! মাত্র সাতাশ বছর। ছেলে তো শিশুই। আজকাল তো ছেলেরা বড় থাকে যখন তার বয়স ১৭। ক্লাস ইলেভেন-টুয়েলভে পড়ে, তখন তারা বড় থাকে, ফুটপাতে, রিকসায়, পার্কে কলেজ ড্রেসপরা মেয়েদের সাথে শরীরের উত্তাপ ভাগাভাগি করে। যে ছেলে এইসব দেখে টেখে আরো ১০ বছর পার করে ফেলসে, সে শিশু না তো কী? সে তো বড়ই হয় নাই। হইলে কি আর এই দশা হইত? এই সমাজ অনেক অনেক শিশুতে ভরে থাকুক।

এখনকার সময়ের প্রবাদ তাই বদলে গেছে :

If money is lost, everything is lost,

If health is lost, something is lost.

IF CHARACTER IS LOST, NOTHING IS LOST.

(৩)

বোন, সেজেগুজে একটা ছেলের চোখের দৃষ্টি পাওয়া কিন্তু নিজেকে অপমান করা। একটা ছেলে চোখ দিয়ে শরীরটাকে স্ক্যান করতে থাকে, টের তো পাও, তাইনা? অসভ্য সমাজে তোমার আপন ভাইও হয়ত কারো শরীরের দিকে এভাবেই তাকায়। তাই বলে পুরুষরা খারাপ বলে গালি দেবে? ভালো ছেলেও কিন্তু অনেক।

কিছু মেয়ে যেমন শরীরটাকে অন্যের কাছে তুলে ধরে কারো কারো ফ্লার্টিং পাওয়ার আশায়, অমন ছেলেরাও ওটাকেই ভালোবাসে। তাই সেই অভ্যাসের বশেই ভালো মেয়েদেরকেও চোখের শিকার বানায়। এখন তারা যেমন নোংরা, আখিরাতেও এই নোংরাদের আল্লাহ আলাদা করেই পাকড়াও করবেন।

বোন, তুমি সংযত হও। আল্লাহকে ভয় করো। এই শরীরটাকে জাহান্নামের আগুণের কারণ করিয়ো না বোন। আমি তোমাদের কাছে অনুরোধ করি, আল্লাহকে স্মরণ করো, শরীরকে আবৃত রাখো। তোমার ওই কমনীয় চামড়া এখন হয়ত পুরুষের চোখ ঝলসে দিচ্ছে, একসময় আগুণ এসে তা ঝলসে দিবে এমন যেন না হয়।

বিষয়: বিবিধ

২২৭৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File