কমুনিষ্টদের আমলনামা।
লিখেছেন লিখেছেন শেখ মিঠুন ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৭:৪৯:৫০ সন্ধ্যা
কমুনিষ্টদের আমলনামা।
কমুনিষ্টরা মুসলিম সমাজকে খন্ড-বিখন্ড ও ছিন্ন-ভিন্ন করে দেয়। তাদের নিয়ম হলো একটা একক জাতির মধ্য থেকে যে গোষ্ঠিটাকে তারা আলাদা করতে চায় তাদের সম্মানীত কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে তারা বহু পূর্ব থেকে অপবাদের প্রচারণা চালাতে থাকে। অপবাদ যখন দানা বাঁধে তখন থেকেই পুরো গোষ্ঠির বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট কিছু অপবাদ চালায়। এতে করে সেই একক জাতিটার মধ্যে দলাদলির সৃষ্টি হয়। একসময় যখন সমগ্র পরিস্থিতি তাদের অনুকুলে আসে তখন সব দলগুলোর মধ্যে তারা দাঙ্গা বাঁধিয়ে দেয়।
এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তারা মূল লক্ষের দিকে এগোতে থাকে, সেটা হলো অর্থনীতিকে পঙ্গু করা। দাঙ্গা-হাঙ্গামার মধ্যে অর্থনীতিতে ধ্বস নামে। তারা চায় অন্তত: একটা শ্রেণী দারিদ্রের শেষ সীমায় চলে যাক। কারণ দারিদ্রই তাদের পূজী। দরিদ্রদের মধ্যে শ্রেণী বৈষম্যের ধুয়ো তুলে তাদের সমর্থন আদায় করে ও কমুনিষ্টরা শক্তিশালী হয়। বাস্তব পন্থাটা স্বীকার করে নিলে উপরোক্ত বিষয়টা বুঝতে সুবিধা হবে।
যেমন যে কোন এলাকায় দুটি পরিবারের মধ্যে উক্ত পন্থায় শত্র“তা বাধানো সহজ। আর শত্র“তা হয়ে গেলে সম্মানী ব্যক্তিবর্গ সালিশে কেমন বিচার করেন! তারা বলেন, অতীতে যা কিছু হয়ে গেছে সব বিষয় ভুলে যাও, কেউ আর সে কথা ভুলেও কখনো তুলবে না। এখন থেকে উভয়ে এই এই ভাবে চলবে, এরপর কেই অন্যায় করলে এই এই শাস্তি হবে।’ এইভাবে তারা শান্তিপূর্ণ বিচার করে দেন। কিন্তু কমুনিষ্টরা অতীতের বিষাক্ত বিষয়গুলো সামনে এনে শত্র“তা সৃষ্টি করে।
কমুনিষ্টরা ভেদ তৈরি করে একটা অংশকে শক্তিশালী করে তার অধিনায়ক হয়ে বসে। এবং অন্য অংশের শত্র“তাকে জিইয়ে রাখে, কারণ তার মোকাবেলা করার জন্যই সে নেতা হিসেবে টিকে তাকে। আর সুস্থ চিন্তার সৎ ও কল্যাণকামী ব্যক্তিরা অতীতকে ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে এবং অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যায। ঐক্যবদ্ধ করার কারণে কমুনিষ্টরা এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নানা কলঙ্ক ছড়ায় এবং তার ইমেজ নষ্ট করে।
বিষয়: বিবিধ
১১৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন