মুল্যায়নঃউপজেলা নির্বাচন ২০১৪
লিখেছেন লিখেছেন নাবীল ০২ এপ্রিল, ২০১৪, ১২:৩৪:২১ রাত
মুল্যায়নঃ - উপজেলা নির্বাচন ২০১৪
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা নির্বাচনে সন্তোষ জনক ফলাফল করেছে যাহা উল্যেখ করার মত । উপজেলা নির্বাচন সুস্হ হলে ফলাফল আরো অনেক বেশি হতো এবং আরো বেশি পদে জয়লাব করতো।
এই উপজেলা নির্বাচনে সরকারী দল সহিংসতায় একক ভাবে অংশ নিয়েছে। জাতীয় নির্বাচন থেকে ও উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতা বেশি হয়েছে।এমন কি পুলিশ কে দিয়েও তারা জাল ভোট দিয়েছে।
বাংলাদেশে নতুন করে সুন্দর একটি পদ্ধতি দেখলাম হাছিনার অধীনে নির্বাচন।
এর পরে ও কি আমরা বলবো দলীয় সরকারের অধীনে নি্বাচন সুস্থ হয়,সুস্থ নির্বাচনের এই কি নমুনা।
কোন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুস্থ হবেনা।
যদি সুস্থ নির্বাচন হতো তাহলে জামাতের চেয়ারম্যানদের সংখ্যা আরো অনেক বেশি হতো।যদিও তারা সিমিত সংক্ষক উপজেলায় প্রার্থি দিয়েছে।
আমার জানামতে মাত্র ৭ টিতে বিএনপি ছাড় দিয়েছে,আবার কোন কোন জায়গায় বিএনপির বিদ্রোহী পার্থি ও ছিলো।তার পরেও তারা নানা প্রতিকুলতার মাঝে বিজয়ী হয়েছেন।
এই জন্য দেশবাসীর ভালবাসার জন্য আমরা দেশ বাসির কাছে কৃতজ্ঞ।
যদি সব জায়গায় কনটেস্ট করতো তাহলে ১৯ দলের কাছে আওয়ামী লীগের পাত্তাই থাকতোনা।যাহা ভোটে অনুমান করা যায়।এমন কি উপজেলা নির্বাচনে জামাত ২য় স্থানে থাকতো । আওয়ামীরা থাকতো ৩য় সারিতে।আওয়ামী সরকার সেইটা বুঝতে পেরে ভোটের কেন্দ্র দখল শুরু করে।শান্তিপ্রিয় জনগনের ভোটের অধিকারে বার বার হস্তক্ষেপ করছে।
এই হচ্ছে আওয়ামীদের অধীনে সুস্থ ভোটের অসুস্থ নমুনা।
জামাতের নির্বাচিত প্রার্থিদের একটা হিসাব দেওয়া হলো।
১৯ শে ফেব্রুয়ারী ১ম দফা নির্বাচন:
চেয়ারম্যান ২৬ টিতে অংশ নিয়ে ১৩ জন নির্বাচিত।
ভাইস চেয়ারম্যান ২৩ জন নির্বাচিত।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ১০ জন নির্বাচিত।
২৭ শে ফেব্রুয়ারী ২য় দফা নির্বাচন:
চেয়ারম্যান পদে ৮ জন নির্বাচিত ।
ভাইস চেয়ারম্যান ৩৫ জন নির্বাচিত ।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৯ জন নির্বাচিত।
১৫ ই মার্চ ৩য় দফা নির্বাচন:
চেয়ারম্যান ২০ টিতে অংশ নিয়ে ৮ টিতে নির্বাচিত।
ভাইস চেয়ারম্যান ৪৫ টিতে অংশ নিয়ে ২৩ টিতে নির্বাচিত।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৮ টিতে অংশ নিয়ে ৫ টিতে নির্বাচিত।
২৩ শে মার্চ ৪র্থ দফা নির্বাচনঃ-
চেয়ারম্যান পদে ১৫ টিতে অংশ নিয়ে ৫ টি নির্বাচিত।
ভাইস চেয়ারম্যান ৫৩ টিতে অংশ নিয়ে ২২ টি তে বিজয়ী।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ১২ টি তে অংশ নিয়ে ৫ টি তে বিজয়ী।
৩১ মার্চ ৫ম দফা নির্বাচনঃ-
চেয়ারম্যান পদে ১৭ টিতে অংশ নিয়ে ৫ টিতে নির্বাচিত।
ভাইস চেয়ারম্যান ৫১ টিতে ২১ টি তে নির্বাচিত।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ১৯ টিতে ৫ জন নির্বাচিত।
মোট চেয়ারম্যান ৩৯ জন
ভাইস চেয়ারম্যান ১২৪ জন
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৩৪ জন
তবে বেশির ভাগ উপজেলাই বিএনপি র প্রার্থিরা অংশ গ্রহন করে। কেউ কাউকে ছাড় দে নাই।এর বিতরে জামাতের এই বিজয়।
একটি যুদ্ধ অপরাধী দলের এই সাফল্য দেখে ভারতপন্থি,মস্কোপন্থিদের মাথা খারাপ।হায় হায় সব নিয়ে গেলো এই জামাতিরা ।জামাতিরা উপজেলায় জিতলে তো এই এলাকায় আমরা চুরি করতে পারবোনা গমের ট্রাক লুট করতে পারবোনা।আমরা তো আগের অভ্যাস সহজে ছাড়তে পারবোনা।স্বাধীনতার পরে হিন্দুদের জমি তো আমরাই দখল করেছিলাম।গত ১৫ দিন আগে আমার দলের লোকই তো হিন্দুদের বাড়ী দখল করেছে।আমরা তো এই গুলি করতে হবে, না হলে আমার গুন্ড়ারা খাইবে কি।এত ঠেকালাম এত কিছু করলাম জনগন তো আমাদের কথা মানলোনা।জনগন তার পরে ও তো জামাতের পিছু ছাড়েনা।
এর পর সরকারী দল ভয়ঙ্কর এক খেলায় মেতেছে।এখন তারা জামাতের নেতাদের গুম করে হত্যা করে নদীতে পেলে দিচ্ছে।এই খেলার শেষ কি একদিন হবেনা।
কাদের দৃস্টিতে জামাত যুদ্ধ অপরাধী দল।
আওয়ামী নাস্তিক বামপন্থী রাম পন্থীদের মতে যুদ্ধ অপরাধী জামাত,যুগে যুগে কিছু পা চাটা মোনাফেক কুকুর আলেম থাকে যারা নাস্তিক দের সাথে সুর মিলিয়ে জামাতের বিরোধীতা করে যাচ্ছে। জামাত নেতাদের বিরুদ্ধে যে সাক্ষি উপস্থাপন করা হয়েছে সব গুলি বানোয়াট মিথ্যা অনেক সাক্ষির জন্ম হয় নাই যুদ্ধের সময়।
সাক্ষ দেওয়ার জন্য সক্ষীকে টাকা দেওয়া হচ্ছে এই গুলি কি মিথ্যা ।অবশ্য মিথ্যা বাদিরা সত্যকে কখনোই স্বীকার করেনা।
সাক্ষীকে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে কিভাবে কথা বলবে।
এই গুলি দেশের মানুষ দেখেছে,শুনেছে এবং পত্র পত্রিকায় পড়েছে।দেশের মানুষ বোকা নয় ক্ষমতার লিপ্সা কারিরা বোকা।জনগন বন্ধুকের নলের জওয়াব বেলটের মাধ্যমে দেওয়ার চেস্টা করে কিন্তু ক্ষমতা সীনদের কু নজরের কারণে সন্ত্রাসীরা বাধা সৃষ্টি করে জার করণে জনগন নিরুপায়।তা না হলে জনগনের হাতের থাপ্পরে নেতা দের বত্তিশ টা দাত পেলে দিতো জনগন।
বাংলাদেশের জনগন জামাত কে একটি আদর্শ বাদী দল হিসাবে চিনে এবং জানে। শুধু স্বাধীনতা যুদ্ধের মিথ্যা অপবাদ ছাড়া জামাতের নেত্ববৃন্দের কোন বদনাম দেশর মানুষর নজরে নাই।
সসর্বশেষ কথাঃ- আওয়ামী লীগ যদি ভোট চুরি না করতো থাহলে বিএনপি জামাতের কাছে আওয়ামী লীগের পাত্তাই থাকতোনা।
আওয়ামী লীগের অধীনে যে নির্বাচন সুস্থ হবেনা এইটাই প্রমান।
দেশের মানুষ ভাল ভাবেই জানে যে কোন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব না।
প্রিয় দেশবাসি কে শুভেচ্ছা জানাই, শত প্রতিকুলতার মাঝে ও জামাতের ভাইদের পাশ্বে দাড়ানোর জন্য।
যদি হিসাবে ভুল হয় তথ্য কারেক্ট করে দিবেন।
বিষয়: বিবিধ
১৫৪০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন