ফোনালাপ কি শুনলাম কি পেলাম জনগন শুনে কেমন ধারনা হলো।
লিখেছেন লিখেছেন নাবীল ৩০ অক্টোবর, ২০১৩, ০২:৫৭:২০ রাত
অনেক আশা নিয়ে বুক বেধে ছিলাম,আশায় গুড়ে বালি।অনেক আকাক্ষিত একটি কল ।মৃত টেলিফোন নাটক।
আমি আওয়াজ শুনতে পাই, কিন্তু উনি শুনতে পান না। বোমার আওয়াজে আমার কান নস্ট তার পরেও আমি অনেক শুনি।
কথাটা হচ্ছে আমার প্রধানমন্ত্রী আর বিরোধী দলীয় টেলিফোন নাটক সমাচার।আমার কাছে নাটকই মনে হচ্ছে কার কি ধারনা জানিনা।
এই আলাপে আমরা বা জাতি কি পেলো।এই আলাপ চারিতায় জাতির কি উপকার হলো । উনারা ৫/৬ বছর পরে কথা বলেছেন এর বাইরে আর কি।
আমরা ছেয়েছিলাম গ্রহন যোগ্য একটি সমস্যা সমাধানের রাস্তা তৈরি করা।মনে হচ্ছে সূচনা পর্বেই তাহা হোচড় খেয়েছে।তার কারণ প্রধানমন্ত্রীর ব্যবহার দেখেই বুঝা যায়।উনি যদি আন্তরিক হতেন তাহলে পুরাতন কথার অবতারনা করতেন না।
এই আলোচনার সাথে ১৫ ই আগস্টের জন্ম দিনের কি সম্পর্ক,২১ শে আগস্ট গ্রনেড় হামলার কি সম্পর্ক,পিছনের হত্যা কান্ড় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কথা উঠালেন অবশ্য ম্যাড়াম খালেদা জিয়া সুন্দর উত্তর দিয়েছেন আপনার সময়ের হত্যা কান্ড় কি ভুলে গেছেন।
আপাত দৃস্টিতে মনে হয় এই ফোনালাপ সমস্যা সমাধানে কার্যকর কোন ভুমিকা রাখবেনা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী যে আলোচনায় আন্তরিক না সেটা তার কথায় বুঝা যায় উনি বার বার বলতেছেন উনার মিটিং আছে উনি মিটিংয়ে লেট করা পছন্দ করেন না । দেখেন তো জাতীয় সমস্যা উনার মিটিংয়ের মত গুরুত্ব পূর্ণ না । উনার যদি দলীয় মিটিং এতো গুরুত্ব তাহলে উনি টেলিফোন করলেন কেন।জনগন কে দেখানোর জন্য।
এর পরে আসেন উনি রেকড়িং যন্তপাতি নিয়ে বসেছেন রেকড় করে ক্যাসেড় বিক্রি করবেন তাই না।উনি বিরোধী দলীয় নেত্রী কে জিজ্ঞাসা করলেন আপনার উখানে টিভি বা ক্যামেরা আছে কিনা বিরোধী দলীয় নেত্রী বললেন নাই।এই গুলি দেশের মানুষ শুনেছে এখন দেখতেছে বিভিন্ন চ্যানেলে।
এই সমস্ত কথোপকথন রেকর্ড় করা ন্যায় না অন্যায় এই নিয়ে বিভিন্ন চ্যানেলে টকশোতে সমালোচনা হচ্ছে।এই কথোপকথন রেকর্ড়ের দায়ে প্রক্ষাত প্রথিতযষা সাংবাধিক মাহমুদুর রহমান জেল খানায় ।তার উপর যে অমানুষিক নির্যাতন ছলছে তা আপনারা জানেন।
পাগল নাস্তিক তথ্য মন্ত্রী বলেছেন এই টা জনগন জানার অধিকার রাখে। ভাল কথা তুমি কখনোই হাছিনার ভালো চাওনি তুমিতো বলেছিলে হাছিনা বাচাল।তারপরে হাছিনা তোমাকে মন্ত্রী বানিয়েছে।
টেলিফোনে কে হারলো কে জিতলো সেটা জনগন বিচার করবে।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর যে ব্যাবহার সেটা জনগন ভালো চোখে নে কিনা জানিনা।তিনি বার বারই বিরোধী দলিয় নেত্রী কে আক্রমন করে কথা বলেছেন।কিন্তু বিরোধী দলিয় নেত্রী অত্যন্ত সুকৌশলে সুন্দর ভাবে উত্তর দিয়েছেন।
আপনারা কথোপকথন প্রকাশ করে মহা মস্ত বড় ভুল করেছেন,আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে বদ মেজাজি রুক্ষ স্বভাবের তা আপনারা স্বগৌরবে জাতিকে জানিয়ে দিলেন।আগে যারা গ্রাম গন্জের সাধারণ মানুষ এই নিয়ে যাদের মাথা ব্যাথা ছিলোনা তারা এখন আগ্রহ নিয়ে শুনবে।
সরকার দেশ নেত্রী খালেদা জিয়াকে গায়েল করার জন্য এইটি টিভিতে প্রচার করেছেন প্রকারান্তরে মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মনোভাব প্রকাশ পাচ্ছে।
আপাত দৃস্টিতে মনে হচ্ছে আমার কাছে এই ফোন চালাচালিতে বিরোধীদলিয় নেত্রী ই জয়ি হয়েছেন মনে হচ্ছে।
সুতারাং আমরা সাধারণ নাগরিক রা চাই সুস্থ একটি সমাধান।এই জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।সরকার তত্তাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে সমস্যা সৃস্টি করেছে আর সরকার কে এই সমস্যা সমাধান করতে হবে।
আমরা চাই সুস্থ নির্বাচনের পরিবেশ তা একমাত্র তত্তবাধায়ক সরকারই করতে পারে।
বিষয়: বিবিধ
১০৯৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন