তিলকে তাল বানানোর চক্রান্ত

লিখেছেন লিখেছেন নাবীল ১০ অক্টোবর, ২০১৩, ০৯:৪৭:১৪ রাত

যে দিন ঘটনা টি ঘটেছে সে দিন থেকে মনে মনে চিন্তা করছি কিছু একটু লিখবো । কিন্তু শরীর টা সুস্থ না তাই লিখতে মন বসেনা।

আল হামদুলিল্লাহ আজ একটু সুস্থ লাগছে ।

ঘটনাটা লাল খান বাজার মুফতি ইজহারুল ইসলামের মাদ্রাসাকে নিয়ে। মাদ্রাসা টা দেশের নাম করা একটি মাদ্রাসা এবং মুফতি ইজহারুল ইসলাম সাহেব একজন বহু বড় মাপের আলেম ।মাদ্রাসা ছাত্রদের বক্তব্য হলো কম্পিউটারে চার্জার বাস্ট হওয়ার পরপরই আই পি এস বাস্ট হয়ে আগুন ধরে যায় । এবং আসবাব পত্র বই খাতা পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

ঘটনা এত টুকুই ।সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিস আসে তারা অনেক্ষন পর্যন্ত মাদ্রাসায় অবস্থান করে বলে যে এখানে গোলা বারুদের কোন গন্ধ নাই ।

ঘটনাটা সকাল সকাল ১১ টায় বিকাল ৫ টায় পুলিশ র্যাব এসে সেখানে গ্রেনেড় আবিস্কার করলেন। ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা গ্রেনেড় খুজে পায় নাই যাহা অন্যরা পাইলেন।

এর ফাকে ছাত্রগীগ আগে থেকেই ব্যানার বানিয়ে রেখেছে মাদ্রাসা বন্ধের দাবিতে । তা যদি না হয় এতো জলদি ব্যানার কিভাবে বানালো ।

মাদ্রাসায় র্যাব পুলিশ তাজা গ্রেনেড় পাইলো ঐ গ্রনেড় বাস্ট হলে তো মাদ্রাসার চাদ দেওয়াল পর্যন্ত উড়ে যাওয়ার কথা।কই দেওয়ালের তো কিছুই হলোনা।

তাহলে এই গ্রেনেড় পুলিশ নিয়ে এসেছে এক জায়গায় রেখে সাংবাদিক দিয়ে প্রচার করেছে।

মুফতি সাহেবের বাসায় তল্লাসি । সেখানে তারা আবিস্কার করলো ১৫/১৬ বোতল এসিড় লংকা কান্ড় ।মুফতি সাব এসিড় দিয়ে কি করবেন ।এসিড় দিয়ে তার কি কাজ, এসিড় দিয়ে কি তার ফ্যামেলি তরকারি পাক করে নাকি আস্ত একটা পাগলের কান্ড়। মুফতি সাব এতো বড় অবুঝ নাকি তিনি তার বাসায় এসিড় রাখবেন।

পর্দার অন্তরালে র্যাব পুলিশের নাটক। পুলিশ এগুলি নিজেরা নিয়ে এসেছে এটা দেশের মানুষ বিশ্বাস করে।

আমার ব্যক্তি গত বিশ্বাস এগুর পিছে কুলাঙ্গার পোলার চক্রান্ত।

হলুদ মিড়িয়া কার্যকলাফ বেশির ভাগ চ্যানেলের সত্বাধিকারী এবং সাংবাধিক রা নাস্তিক ।

তারা ফলাও করে প্রচার শুরু করলো মাদ্রাসায় জঙ্গি তৈরি হয় কিভাবে মাদ্রাসা বন্দ করা যায় সেই চক্রান্ত।

বাস্তবে ও তাই হলো উপরের অজুহাত দেখিয়ে কুলাঙ্গার পুলিশ দেশের প্রাচিন তম একটি প্রতিস্ঠান বন্ধ করে দিলো ।

এবং মাদ্রাসা মসজিদে নামাজ আজান বন্ধ করে দিলো যুদ্ধের সময়তো এমন ঘটনা দেশে ঘটে নাই ।ইতিহাস এই আওয়ামি লীগ কে কখনো ক্ষমা করবেনা এবং আজিবন তোমরা ক্ষমতায় ও থাকবেনা ইসলামী জনতা একদিন তোমাদের বিচার করবেই।

তার ২/৩ দিন পরের ঘটনা টা ঢাকায় সেটা হলো ৭১ টিভির সম্প্রচার কেন্দ্রে গেনেড় বানানো অবস্থায় বিস্পোরণ । ঘটনা সব সময় চাপা থাকেনা।

৭১ টিভি তো চ্যনেল, তারা কার জন্য বোমা বানাচ্ছে

নিচ্শয় বিরোধীদের প্রোগ্রামে মারার জন্য,কই শিখ হাছিনার পুলিশ তো চ্যানেল টি বন্ধ করে নাই । পুলিশের দৈত নীতি।কারণ এই চ্যানেল গুলু হলুদ সাংবাদিকতায় ব্যাস্ত।এই চ্যানেল গুলি দিয়ে সরকারের লাভ হচ্ছে।

এক সফল ধর্ম ব্যাবসায়ির কাহিনী। মনে হয় ৮৬/৮৭ সালের কথা জিনি নিজেকে ইসলামের খাদেম মনে করেন । বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সে তার এলাকায় গেলেন তার বাড়ির প্বার্শে মসজিদের উপর একটি নারিকেল গাছ ছিলো জনাবা হাছিনার কাছে কাছে মুসল্লিদের অভিযোগ ছিলো গাছটি মসজিদের সমস্যা হয় কেটে পেলার জন্য কিন্তু উনি রাজি হলেন না উনি বললেন মসজিদ ভেঙ্গে পেলতে মুসল্লিরা তো হতবাক । একটা গাছের কি মায়া। এই হলো ইসলামের সেবকের নমুনা।

(সচেতন দেশবাসি ও আলেম সমাজ )

আপনাদের কে আমাদের কে সতর্ক থাকতে হবে। আওয়ামি পুলিশ এই অজুহাতে জয়ের পরিকল্পনা অনুস্বারে এগুচ্ছে ।তারা দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসায় তল্লাসি শুরু করেছে । তল্লাসির সময় আপনারা সাথে ক্যামরা ওয়ালা মোবাইল রাখবেন বা ভিড়িও করে রাখবেন পুলিশ আপনার মাদ্রাসায় অস্র রেখে আপনাকে ফাসাবে।খুব সতর্ক থাকবেন তারা পুলিশ কে দিয়ে নাস্তিক জয়ের চমকের দিকে এগুচ্ছে। তাদের চক্রান্ত কে আমাদের নস্যাত করতে হবে।

সর্বশেষ বলতে চাই

রাব্বুল আলামিন তার কালামে হাকিমে বর্ণনা করেছেন,তারা চায় তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লার নূরকে নির্বাপিত করতে,আল্লাহ তার নূরকে প্রজ্জলিত করবেন। আর কাফের রা যতই অস্বীকার করুক ,যত চক্রান্ত করুক কোন কাম হবেনা।

সুতারাং মাদ্রাসা বন্ধের চক্রান্ত এই বাংলাদেশে কখনো সম্ভব হবেনা।

আওয়ামি লীগ যেই আগুন নিয়ে খেলতে যাচ্ছে এই আগুনে তারাই পুড়ে ছারখার হবে ইনশা আল্লাহ।

বার আওলিয়ার এই বাংলাদেশ,শাহজালালের এই বাংলাদেশে নাস্তিকদের আস্ফালন সহ্য করা হবেনা

মায়াছ্ছালাম।।।

বিষয়: বিবিধ

১১৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File