চারদিকে শুধু গনহত্যা
লিখেছেন লিখেছেন নাবীল ২১ আগস্ট, ২০১৩, ০৬:০৭:৩৯ সন্ধ্যা
গনহত্যা আর গনগত্যা
শাফলা চত্বর টু মিশর
৫ ই মে ইতিহাসের জঘন্য তম এক কালো রাত্রি।৫ ই মের এই দিন বা রাত্রি ইতিহাসের কালো অধ্যায় হিসাবে লেখা থাকবে।এমন এক সময় আসবে আওয়ামি লীগের এই গণ হত্যা ইতিহাসের পাতায় স্থান পাবে।
ঢাকা শহরে রাস্তা ঘাটে গাছ কাটা বায়তুল মোকারম মসজিদে আগুন দেওয়া । তারা (লীগ) একবার বলে হেফাজত করাত নিয়ে এসেছিল আর তাদের কথা গুলো যে কোনো ভাবে ইনিয়ে বিনিয়ে প্রকাশ করছে আওয়ামি মিডিয়া।তারা একবার বলল আগুন দেওয়া গাছ কাটা জামাত শিবির করেছে।জনগনকে জামাত ও শিবির সম্পর্কে ভুল ধারনা দেওয়ার জন্য আওয়ামী লিগ কিছু চান্ড়া গুন্ড়াকে পান্জাবি টুপি পরে মাঠে নামিয়েছে এমন কি তার মাঝে হিন্দু ও রয়েছে।তাদের হাতে ছিল করাত তারা গাছ কেটে মসজিদে আগুন দিয়ে হেফাজতের উপর দোষ ছাপিয়ে দিচ্ছে ।
হেফাজত,জামাত ও অন্যান্য ইসলামি দল যারা মাঠে ময়দানে কোরআনের কথা বলে তারা ভুলেও ওই দিন এই সমস্ত কাজ করতে যাইনি। যারা কোরআনের ধারক বাহক তারা কখনো এই নেক্কার জনক কাজ করবে না।তারা এসেছিল শান্তি পূর্ণ অবস্হানের জন্য। আওয়ামি লীগের ইতিহাস হচ্ছে নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা । সেটা আওয়ামি লীগ ভাল করেই পারে ।
শাফলা চত্বরে এসেছিলেন লক্ষ লক্ষ গ্রাম্য ধর্মপ্রান ইমানদার আলেম উলামারা।তাদের কাছে ছিল শুকনা কিছু খাবার ,তাছবিহ,জায়নামাজ।আর এই নিরিহ আলেমদের কে বাংলাদেশের এমন কোন জায়গা নাই যেখানে আওয়ামি নাস্তিক রা বাধা দেয়নাই। যাক শত বাধা বিপত্ত্বি উপক্ষা করে তারা ঢাকায় জড়ো হয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য কি তাতো তারা জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু শেখ হাছিনার নাস্তিক সরকার তাদের কথার জওয়াব না দিয়ে তারা আল্লামা শফির কাছে উপডোকন হিসাবে পাঠিয়েছে বন্য মন্ত্রিকে শফি হুজুর কে হাত করার জন্য।শফি হুজুর তাদের কে বিশ্বাস করলেন না।
শেষ পর্যন্ত মহাসমাবেশ হলো।রাতের অন্ধকারে হাজার হাজার ধর্মপ্রান আলেমদের কে তারা হত্যা করলো।রাতের অন্ধকারে কেউ ঘুমে কেউ নামাজ রত কেউ জিকির রত এই অবস্হায় ছিল।তারা বিদ্যুত বন্ধ করে দিয়ে এই নারকিয় হত্যা কান্ড় চালালো।হত্যার পর পুলিশের ট্রাক বরে রাতের অন্ধকারে ঢাকার আসেপাশে বিভিন্ন নদীতে লাশ গুলি ফেলে দিয়ে আসে।এমন কি যারা আহত ছিল তাদের কে ও নিহতদের সাথে এক সাথে নদীতে বাসিয়ে দেয় পুলিশ। এ কাজ একটানা সকাল পর্যন্ত চলতে থাকে ।পাঠক আপনারাই বিচার করুন আওয়ামী লিগ কত হাজার নিরপরাধ আলেম কে হত্যা করেছে।নদীতে ফেলে দেওয়ার জন্য নেওয়া এক আলেম নারায়নগন্জের রাস্তায় লাফিয়ে পড়েন যখন তার হুশ হয়।সে আলেম বললেন সে দিন কত হাজার হাজার আলেম কে তারা নদীতে ফেলে দিয়েছে।আর এই হত্যা কে নিয়ে আমাদের মুখ্য মন্ত্রী হাছিনা সহ সকল নাস্তিক রা কটুক্তি করছে ।তার জওয়াব তারা কড়া গন্ড়ায় পাবে ইনশা আল্লাহ।এতক্ষন ছোট আকারে লেখতে চেস্টা করলাম বাংলার সাবেক ফেরাউন মুজিবের বেটির বাংলার গনহত্যা।
সেই ফেরাউনের দেশ মিশর ।বহু বছর দরে নাস্তিক দের কবলে পড়ে থাকা মিশর।গন রোষের কারনে কুক্ষ্যাত শয়তান মুবারক বিদায় নেন।জনগনের শতচপুত্য অংশগ্রহনে নিরংকুশ একক সংখ্যা গরিস্টতা লাভ করে মুসলিম ব্রাদার হুড(ইখওয়ানুল মুসলেমিন) যার প্রতিস্ঠাতা কে হত্যা করা হয়েছিল।যখনই ইখওয়ান সরকার গঠন করলো তখন থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমান নাম দারী মুনাফেক সরকার গুলো তা মেনে নিতে খুবই কস্ট হচ্ছিল । মিশরে বিতরে ইহুদী খৃস্টানদের দোসর আল বারাদী,আরব লিগের সাবেক চেয়ারম্যন আমর মুছা সহ আমেরিকার দালাল সেনাবাহিনী প্রধান সিসি ক্যেমরা সহ মিলে মুরসি সরকারেরে বিরুদ্ধে জনগনকে উস্কিয়ে দিল।মুরসি ক্ষমতায় আসার পর কিছু ইসলামী বিধি বিধান আরোপ করেন যাহা প্রাচাত্য ইহুদি বাদি গোস্ঠি গুলো মেনে নিতে পারেনি।শেষ পর্যন্ত তারা মুরসিকে পদত্যাগে বাধ্য করলেন । মুরসি পদত্যাগের পর তাকে টোপ দিলেন তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে যদি সেনাবাহিনীকে সমর্থন দেন। কিন্তু মুরসি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করলেন না।আমাদের শফি হুজুর কে সেই একই কায়দায় সরকার হাত করতে ছেয়েছিল কিন্তু তিনি রাজি হলেন না।দেখুন নাস্তিক দের সব জায়গায় একই কায়দা কৌসল। শেষ পর্যন্ত মিশরে নেমে আসলো শতাব্দির এই নিকৃস্ট তম গন হত্যা।এই গন হত্যায় সমর্থন দিল মুসলিম বিশ্বে যাকে ভাল মানুষ মনে করে খাদেমুল হারামাইন বলে যাকে ডাকে সেই খবিছ সৌদি বাদশা আব্দুল্লাহ।যার নাম শুনলে মানুষ এখন থুথু মারে।শেষ পর্যন্ত প্রকাশ হয়ে গেলো পৃথিবীর মুসলিম নামদারি মুনাফিক দের চরিত্র ।যাক রাখে আল্লায় মারে কে ।আল্লাহ পাক যদি কাউকে হেফাজত করার ইচ্ছা করে পৃথিবীর কোন শক্তি তার ক্ষতি করতে পারবেনা,এই বিশ্বাস আমাদের রাখতে হবে। এই সমস্ত ঝড় তুফান কেটে উঠে একদিন ইনশা আল্লাহ সারা পৃথিবীতে আল্লার দ্বীনের পতাকা উড়বে।
আজ চার দিকে তাকিয়ে দেখুন (বুদ্ধিমান গণ) পূর্ব থেকে পচ্শিম পর্যন্ত মুলসিম দেশ গুলুতে একই অবস্থা । মুসলিম নাম দারী মোনাফিক সরকার গুলো পচ্শিমাদের পা চাটা গোলাম গুলো ইসলামের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে।যুগে যুগে দেখা গিয়েছে ইসলামের গনজাগরণ মুহুর্তে কায়েমি সার্থ বাদী গোস্ঠি গুলো বিভিন্ন ভাবে ইসলাম কে সন্ত্রাসী আক্ষা দিয়েছে । তার পর ও ইসলামের জয়যাত্রা থেমে থাকেনি। আজ দেখুন বাংলাদেশে যেভাবে শান্তি প্রিয় ইসলামকে মোহব্বত কারি আলেম উলামাদের কে জেল জুলুম মামলা দিয়ে পেরেশানি করা হচ্ছে ,রাতের অন্ধকারে হাজার আলেম হত্যা করা হচ্ছে । ঠিক একই কায়দায় মিশরে বাড়ির চাদের উপর থেকে, হেলিকপ্টার থেকে নিরস্র হাজার হাজার ইসলাম প্রিয় জনতাকে হত্যা করে চলছে।একদিন এর বিচার ইনশা আল্লাহ হবেই।বিজয় ইনশা আল্লাহ একদিন আসবেই।চারিদিকে যখন বিজয় আসবে তখন কাফেরের গোস্ঠির দিকে কেউ তাকাবেনা।আল্লাহ তুমি আমাদের সহায় হওউ। আমিন ।।।
বিষয়: বিবিধ
২৭৫৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন