আমার ক্রিকেট
লিখেছেন লিখেছেন sadhin ০৯ নভেম্বর, ২০১৫, ০৩:৪১:০০ দুপুর
খুব ছোট বেলা।তখনো স্কুল যাওয়ার বয়স হয়নি।হাফ প্যান্ট পরে ঘুরে বেড়াতাম।সেসময় টেনিস বল জাতীয় এ্যারোপ্লেন বল, আর তোক্তার ব্যাট দিয়ে ক্রিকেট জগতে প্রবেশ করি।তারপর রাবার ডিউস বল হাতে করি।বিলের ধান উঠে যাওয়ার পর পরই কোদাল,ঝুড়ি,পিটনি নিয়ে মাঠ তৈরী করতাম। এ পাড়া ওই পাড়া খেলা জমত ভালোই।পুরষ্কার আয়না-চিরুনি।মজার ব্যাপার হলো কোনদিন খেলা শেষ হতনা।মারামারি দিয়ে খেলা শেষ।মারামারিতে আমি আবার ভালো ছিলাম।বর্ষার সময় আমাদের উঠানে খেলতাম।দাদা তাড়িয়ে দিলে মুন্নাদের উঠানে।
তারপর থ্রি স্টার বলে খেলা শুরু করলাম।সারাদিন ক্রিকেট ছাড়া কোন চিন্তা আসতোনা।রাতেও।২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় ঘরে বসে অনেক রাত অব্দি সালাহউদ্দীন, খালিদ, আমি হরিকেন জ্বলিয়ে রেডিও তে খেলা শুনতাম খোদা বক্স ম্রিধার কন্ঠে।মাঝেমাঝে রাতেও গ্রামের লোকদের বাড়িতে BTV তে খেলা দেখতে যাইতাম আমরা।আমাদের ক্রিকেট টিম চালাতে কত যে আব্বুর পকেট হতে টাকা মেরে দিছি তার ইয়াত্তা নেয়।গ্রামে ভালো মাঠ আমরাই বানাতাম তাই অন্য গ্রামের ছেলেরা রাতে এসে মাঠ কুপিয়ে যেত,পায়খানা করে যেত।
আমরা ধরার জন্য তদবির করতাম।সন্দেহজনক করোর ধরতে পারলে সেই ধোলাই। ক্রিকেট খেলায় যত মারামারি করতাম বাড়িতে নালিশ দিত।বিচারে কান মলা,কান ধরে উঠবেস এসব করতে বলত,তখন আমি গালিগালাজ করা শুরু করতাম।
আমার কোন সময় ইচ্ছা জাগেনি ভালো ক্রিকেটার হতে হবে।এখনো না।
শৈশব -কৈশর-তারুন্য পেরিয়ে ঢাকায় চলে আসলাম।এখনো ক্রিকেট খেলি টেপ টেনিস দিয়ে তবে বেশি পারিনা।ডান হাতে বল আর বাম হাতে ব্যাট অল্পসল্প পারি।তবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ম্যাচ দেখা এখন বড্ড নেশা।ইস্টেডিয়ামে গিয়েছিলাম ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে ও নিউজিল্যান্ডের বাংলা ওয়াশ দেখতে।২০১২সালে এশিয়া কাপে ভারত,শ্রিলংঙ্কা দের হারানোর পর ঢাকায় মিছিল দিতাম।টিভিতে,এফ এম এ বাংলাদেশের খেলা দেখি শুনি আর ভালো খেললে চিল্লা চেল্লি করি এটা আমার বদ অভ্যাস।আর বিশ্বকাপের আসোরে বাংলাদেশের পতকা টানানোর মত পাগলামি আছেই।
এখনো ছোটবেলার মত বিলের ধান তোলার পর ঢাকা থেকে বাড়িতে যাই। আমি আমার শৈশবের উদ্দীপনা এখনো ধরে রাখতে ব্যাস্ত।
বিষয়: বিবিধ
১২২৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন