সন্তান লালন-পালনে পিতা-মাতার করণীয়
লিখেছেন লিখেছেন জাতগোক্ষুর ১০ আগস্ট, ২০১৩, ০৭:৪৪:৪২ সন্ধ্যা
ন্তান লালন-পালনে পিতা-মাতার করণীয় প্রতিটি মানুষই বিবাহিত জীবনে প্রবেশের পর সন্তান কামনা করেন। অধিকাংশ দম্পতিই হন সন্তানের গর্বিত পিতা-মাতা। কিন্তু মনে রাখতে হবে শুধু সন্তান জন্ম দিয়ে পিতা-মাতা হওয়াই যথেষ্ট নয়। সবাইকে হতে হবে দায়িত্বশীল পিতা বা মাতা। অন্যথায় দুনিয়াতে যেমন রয়েছে ভোগান্তি, আখিরাতেও রয়েছে তেমনি অশান্তি এবং অপেক্ষমান নিচ্ছিদ্র জবাবদিহিতা। কারণ, সন্তান হলো পিতা-মাতার কাছে প্রদত্ত আল্লাহর আমানত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «كُلُّكُمْ رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مَسْؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ. الإِمَامُ رَاعٍ وَمَسْؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ, وَالرَّجُلُ رَاعٍ فِي أَهْلِهِ وَهْوَ مَسْؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ, وَالْمَرْأَةُ رَاعِيَةٌ فِي بَيْتِ زَوْجِهَا وَمَسْؤُولَةٌ عَنْ رَعِيَّتِهَا وَالْخَادِمُ رَاعٍ فِي مَالِ سَيِّدِهِ وَمَسْؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ وَكُلُّكُمْ رَاعٍ وَمَسْؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ». ‘তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল আর সবাই তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে। ইমাম একজন দায়িত্বশীল; তিনি তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন। পুরুষ দায়িত্বশীল তার পরিবারের; সে জিজ্ঞাসিত হবে তার দায়িত্ব সম্পর্কে। মহিলা দায়িত্বশীল তার স্বামীর গৃহের (তার সম্পদ ও সন্তানের); সে জিজ্ঞাসিত হবে তার দায়িত্ব সম্পর্কে। ভৃত্যও একজন দায়িত্বশীল, সে জিজ্ঞাসিত হবে তার মুনিবের সম্পদ সম্পর্কে। (এককথায়) তোমরা সবাই দায়িত্বশীল আর সবাই জিজ্ঞাসিত হবে সে দায়িত্ব সম্পর্কে।’ [সহীহ বুখারী : ৭১৩৮; তিরমিযী : ১৭০৫]
অনেক পিতা-মাতাই হয়তো বলবেন, কে বলেছে আমরা নিজ সন্তানের ব্যাপারে দায়িত্ববান নই, ছেলে-মেয়েদের প্রতি নিজ কর্তব্য সম্পর্কে সজাগ ও সতর্ক নই? উত্তরে বলা হবে, আমরা বেখবর নই বটে। তবে যথাযথ দায়িত্ববান নই আমরা। আরও বাস্তব কথা হলো, আমরা নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিফহাল নই। কেউ হয়তো প্রিয় এই সন্তানদের স্রষ্টা আল্লাহর হুকুম মতো জীবন পরিচালনাই করি না আর যারা করি, তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে অবগতই নই। তাই দেখা যায়, আমরা শুধু সন্তানের দৈহিক চাহিদার তত্ত্বাবধান করি। তার আত্মিক চাহিদার প্রতি কোনো ভ্রুক্ষেপ করি না। অথচ এর গুরুত্ব প্রথমোক্তটির চেয়ে বেশি বৈ কম নয়। দৈহিক চাহিদাকে পরিতৃপ্তি দিতে পারে কেবল আত্মা। পক্ষান্তরে দৈহিক চাহিদার অপূর্ণতা সত্ত্বেও আত্মা পারে সুখী হতে। ইসলাম তাই শিশুর উভয় চাহিদার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে। পিতা-মাতাকে উভয় দিক তত্ত্বাবধান করতে নির্দেশ ও নির্দেশনা দিয়েছে। সন্তানকে আত্মিকভাবে ঋব্ধ ও ঔশ্বর্যমণ্ডিত করার ইঙ্গিত পাই আমরা আল্লাহ তা‘আলা নির্দেশে।
পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ قُوٓاْ أَنفُسَكُمۡ وَأَهۡلِيكُمۡ نَارٗا وَقُودُهَا ٱلنَّاسُ وَٱلۡحِجَارَةُ﴾ [التحريم : 6] ‘হে ঈমানদারগণ, তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন হতে বাঁচাও, যার জ্বালানি হবে মানুষ ও পাথর।’ {সূরা আত-তাহরীম, আয়াত : ০৬} এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন, ‘অর্থাৎ, তাদেরকে আদব শিক্ষা দাও এবং ইলম শেখাও।’ [তাফসীর ইবন কাসীর, উল্লেখিত আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য]
এদিকে বৈষয়িক শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ধর্মীয় তথা নৈতিক শিক্ষাদানের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «مُرُوا أَوْلاَدَكُمْ بِالصَّلاَةِ وَهُمْ أَبْنَاءُ سَبْعِ سِنِينَ وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا وَهُمْ أَبْنَاءُ عَشْرِ سِنِينَ وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ فِى الْمَضَاجِعِ». ‘তোমাদের সন্তানদের সাত বছর হলে তাদের সালাতের নির্দেশ দাও, তাদের বয়স দশ বছর হলে এ জন্য তাদের প্রহার করো এবং তাদের পরস্পরে বিছানা পৃথক করে দাও।’ [আবূ দাউদ : ৪৯৫; মুসনাদ আহমদ : ৬৬৮৯]
প্রখ্যাত দার্শনিক ইমাম গাজালী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, اعلم أن الطريق في رياضة الصبيان من أهم الأمور وأوكدها، والصبي أمانة عند والديه، وقلبه الطاهر جوهرة نفيسة خالية عن كل نقش وصورة، وهو قابل لكل مانقش ومائل إلى كل مايمال إليه، فإن عوِد الخير وعلمه نشأ عليه وسعد في الدنيا والآخرة، وشاركه في ثوابه أبوه وكل معلمٍ له ومؤدب، وإن عوِد الشر وأهمل إهمال البهائم شقى وهلك وكان الوزر في رقبة القيِم عليه والوالي له،.. ‘জেনে রাখ, শিশু প্রতিপালন পদ্ধতি একটি অতি গুরত্বপূর্ণ বিষয়। আর সন্তান তার পিতা-মাতার কাছে আমানত স্বরূপ। তার পবিত্র অন্তর অমূল্য মাণিক্য, যে কোনো নকশা বা ছবি থেকে যা মুক্ত। ফলে তা যে কোনো নকশা গ্রহণে প্রস্তুত এবং তাকে যার প্রতিই ধাবিত করা হবে সে দিকেই সে ধাবিত হয়। তাই তাকে ভালোয় অভ্যস্ত করা হলে, সুশিক্ষায় প্রতিপালন করলে, সেভাবেই সে গড়ে উঠবে। ইহকালে ও পরকালে সে সুখী হবে। তার নেকীতে তার পিতা-মাতা এবং তার প্রত্যেক শিক্ষক ও শিষ্টাচারদানকারীই অংশীদার হবেন। পক্ষান্তরে তাকে খারাপে অভ্যস্ত করা হলে, তাকে পশুর ন্যায় অবহেলা করা হলে, সে হবে হতভাগ্য ও ধ্বংসপ্রাপ্ত। আর এর দায় বর্তাবে তার কর্তা ও অভিভাবকের ওপর।’ [ইহয়াউ উলুমিদ্দীন : ৩/৬২]
সন্তানকে রক্ষা করার উপায় হলো, তার পিতা-মাতা তাকে শিষ্টাচার সম্পন্ন, সভ্য ও উত্তম চরিত্রের অধিকারী বানাবে এবং তাকে অসৎ সঙ্গ থেকে বিরত রাখবে। তার মাঝে বুদ্ধির উন্মেষ লক্ষ্য করা মাত্র উত্তমরূপে তাকে পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান করতে শুরু করবে। বুদ্ধির এ উন্মেষের সূচনা লাজুকতার প্রাথমিক প্রকাশের মাধ্যমে। কারণ, যখন সে লজ্জা পায়, সলাজ হয় এবং কোনো কিছু বর্জন করে, তা কেবল তার ওপর জ্ঞানের আলো পড়ার কারণেই করে। আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে এটি তার জন্য একটি উপহার এবং সুসংবাদতুল্য, যা স্বভাবের সুস্থতা ও হৃদয়ের স্বচ্ছতা প্রমাণ করে। এটি পরিণত বয়সে তার বুদ্ধির পূর্ণতারও ইঙ্গিত প্রদান করে।
সুতরাং শিশুর লাজুকতাকে উপেক্ষা করা সমীচীন নয়। বরং তাকে সুশিক্ষিত ও মার্জিতভাবে গড়ে তুলতে এ লাজুকতা ও বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগানো উচিত। প্রতিপালনের প্রাথমিক অবস্থায় যদি শিশুর প্রতি অযত্ন ও অনাদর দেখানো হয়, তবে প্রায় ক্ষেত্রেই সে অসৎ স্বভাব নিয়ে বেড়ে ওঠে। মিথ্যুক, হিংসুক, নিন্দুক ও তস্কর হিসেবে এবং অনর্থক কথা, অট্টহাসি, কূটচাল ও অশ্লীল আচরণে অভ্যস্ত হয়ে বড় হয়। শিশুকে এসব বদ অভ্যাস থেকে বাঁচানো সম্ভব আদব ও শিষ্টাচার শেখানোর মাধ্যমে। তাকে পাঠাতে হবে দীনী শিক্ষালয়ে। সেখানে সে কুরআন-হাদীস শিখবে। পূর্বসুরী বুযুর্গ ও মনীষীদের শিক্ষণীয় ঘটনাবলী ও জীবনালেখ্য সম্পর্কে জানবে। এতে করে তার কচি মনে নেককার ও মনীষীদের প্রতি ভক্তি ও শ্রদ্ধা জন্ম নেবে।
শিশুর কোনো সুন্দর আচরণ বা প্রশংসনীয় কাজ চোখে পড়লে, তার প্রশংসা করতে হবে। তাকে খুশি করার মতো কিছু পুরস্কার দিতে হবে।মানুষের সামনে করতে হবে তার প্রশংসা। এর ব্যত্যয় ঘটিয়ে যখন সে কিছু করবে যখন প্রথমবারের মতো, তখন তা উপেক্ষা করতে হবে। গোপন রাখতে হবে; অন্যের সামনে প্রকাশ করা যাবে না। বিশেষত বাচ্চাটিই যখন চাইবে সেটিকে গোপন রাখতে। অন্যের কাছ থেকে আড়াল করতে। যদি দ্বিতীয়বার এ কাজের পুনরাবৃত্তি করে, তবে তাকে গোপনেই শাসাতে হবে। বলে দিতে হবে, এমন কাজ তুমি দ্বিতীয়বার করা থেকে বিরত থাকবে। অন্যথায় মানুষের সামনে তোমাকে লজ্জা দেয়া হবে।
তাকে শাসন করার সময় কখনো অতিরিক্ত শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। এতে করে তার পক্ষে ভর্ৎসনা ও তিরস্কার শোনা এবং মন্দ বিশেষণ হজম করা সহনীয় হয়ে উঠবে। তার অন্তরে কথার প্রভাব হ্রাস পাবে। তার হৃদয়ে কথার প্রভাব যে কোনো মূল্যে বজায় রাখতে হবে। তাকে কেবল মাঝেমধ্যেই ভর্ৎসনা করা যাবে। মা তাকে বাবার ভয় দেখাবেন। মন্দ কাজ থেকে ধমকাবেন।
বাচ্চাকে দিনের কিছু সময় হাঁটা-চলা ও খেলাধূলায় অভ্যস্ত করবেন। তাকে যাতে অলসতা না পেয়ে বসে। বাবা-মা’র কিছু নিয়ে তাকে সঙ্গী-সাথী বা বন্ধু-বান্ধবের সামনে বড়াই করতে নিষেধ করবেন। তাকে বরং বিনয়, ওঠাবসার সাথীদের সম্মান এবং তাদের সঙ্গে কথাবার্তায় কোমলতার স্বভাবে গড়ে তুলবেন। তাকে শেখাবেন- ত্যাগেই সম্মান; গ্রহণে নয়। মানুষের জিনিস নেয়া নিন্দনীয়। তা এমনকি নিচুতা ও হীনতার পরিচায়ক। যদি গরিব ঘরের সন্তান হয় তবে তাকে শেখাতে হবে পরের জিনিস নেয়া এবং পরের সম্পদে লোভ করা অবমাননা ও লাঞ্ছনাকর। শুনতে খারাপ লাগলেও তা মূলত সারমেয় স্বভাব। কুকুরের স্বভাব, মাত্র একটি লোকমার অপেক্ষায় পর দুয়ারে সে জিহ্বা নাড়াতে থাকে।
তাকে অভ্যস্ত করাবেন যাতে সে সবার সামনে থুথু না ফেলে।
অন্যদের উপস্থিতিতে হাই না তোলে।
অন্যদের দিকে পিঠ দিয়ে না বসে।
কারো পায়ের ওপর নিজের পা না রাখে।
থুতির নিচে হাতের তালু না রাখে এবং কাঁধে হেলান দিয়ে মাথা না রাখে। কারণ, তা অলসতার আলামত। তাকে সভার আদব শিক্ষা দেবেন।
বেশি কথা বলা থেকে বারণ করবেন। এটি যে এক ধরনের বেয়াদবী, তাও তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে।
কথা সত্য হোক বা মিথ্যা, তা নিয়ে তাকে মাথা ছুয়ে কসম করতে নিষেধ করবেন। যাতে শৈশব থেকেই তার এ বদ অভ্যাস গড়ে না ওঠে।
শিশুকে আরও নিষেধ করবেন বড়দের সামনে কথার সূচনা করতে।
অভ্যস্ত করবেন সে যেন তাদের প্রশ্নের শুধু জবাব দেয়। যতটুকু জিজ্ঞেস করা হয় কেবল ততটুকু বলে। তাঁরা কথা বললে মনোযোগসহ শোনে।
বড় কেউ এলে তার সম্মানে উঠে জায়গা খালি করে দেয়। তাদের সামনে যেন না বসে।
তাকে আরও বিরত রাখবেন বাজে কথা ও অশ্লীল বাক্যোচ্চারণ থেকে। অন্যকে গালমন্দ করা ও অভিশাপ দেয়া থেকে। যার মুখ থেকে হরদম গালি উচ্চারিত হয়, তার সঙ্গ ত্যাগ করতে বলবেন। কারণ, তা খারাপ সঙ্গীদের থেকে তার মাঝে না ঢুকে পারে না। বাচ্চাদের আদব-কায়দাওয়ালা ও শিষ্ট-ভদ্র বানানোর প্রধান উপায়ই হলো তাকে কুসঙ্গ থেকে দূরে রাখা। তাকে পিতামাতা, শিক্ষক, গুরুজন এবং আত্মীয়-অনাত্মীয়, চেনা-অচেনা সব মুরুব্বীকে মান্য করার আদব শেখাবেন।
যখন সে ভালো-মন্দ বোঝার বয়সে উপনীত হবে, তার নামায তরকের অপরাধ ক্ষমা করবেন না।
রমযান মাসে যে কয়দিন পারে সাওম পালন করতে নির্দেশ দেবেন।
বলাবাহুল্য, পরিচর্যা যা করার প্রতিটি জিনিসের প্রাথমিক পর্যায়েই তা করতে হয়। শিশুকে মূলত ভালো-মন্দ উভয় চরিত্রের মিশ্রণে সৃষ্টি করা হয়েছে। তার পিতামাতাই তাকে ভালো-মন্দের যে কোনোটির দিকে ধাবিত করেন। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «كُلُّ مَوْلُودٍ يُولَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ ، أَوْ يُنَصِّرَانِهِ ، أَوْ يُمَجِّسَانِه ». ‘প্রতিটি শিশু (ইসলাম) ফিতরাতের ওপর জন্মগ্রহণ করে। তার পিতামাতাই তাকে ইহুদী বানায়, খ্রিস্টান বানায় অথবা অগ্নিপূজক বানায়।’ [সহীহ বুখারী : ১২৯২; ইবন হিব্বান : ১২৯; বাইহাকী : ১১৯১৮]
অতএব আল্লাহর এ আমানত সম্পর্কে আমাদের সজাগ ও আরও বেশি দায়িত্ববান হতে হবে। সন্তানদের বাহ্যিক প্রয়োজন পূরণের সঙ্গে সঙ্গে আত্মিক খোরাকের প্রতিও নজর রাখতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সবাইকে তার নির্দেশ মতো সন্তান মানুষ করার তাওফীক দান করুন। ﴿رَبَّنَا هَبۡ لَنَا مِنۡ أَزۡوَٰجِنَا وَذُرِّيَّٰتِنَا قُرَّةَ أَعۡيُنٖ وَٱجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِينَ إِمَامًا﴾ [الفرقان : 74] ‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন’। {সূরা আল-ফুরকান, আয়াত : ৭৪} আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১১২০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন