গীবত মারাত্মক অপরাধ!! Praying

লিখেছেন লিখেছেন ব্লগার সাজিদ আল সাহাফ ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৫:১৩:৩৭ বিকাল

ভয়ঙ্কর গুনাহ গীবতকে আমরা খুব সাধারণভাবেই দেখি, তাইতো অহরহ সব শ্রেণীর মুসলমানের মধ্যেই গীবত এর চর্চা ব্যাপক। অথচ এর পরিণতি খুবই খারাপ!!

গীবত মারাত্মক অপরাধ!!

গীবত থেকে আলেম সমাজও নেই বাদ!!!

গীবতে সবকিছু হয় রববাদ!!!

গীবতের পরিনাম কী???

‪#‎গীবত‬ সর্বসম্মতিক্রমে হারাম। ইহাতে কারো দ্বিমত নেই। তবে বৃহৎ স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়ে প্রয়োজন অনুপাতে গীবত করার অনুমতি রয়েছে। যেমন হাদীস বর্ণনাকারী রাবীদের চরিত্র পর্যালোচনা ও দোষ-গুণ আলোচনা এবং উপদেশ প্রদান করা। যেমন জনৈক পাপাচারী ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা)-এর সহিত সাক্ষাৎ করার অনুমতি চাইলে তিনি বলিলেন, তাহাকে আসিতে দাও। এই সমাজপতি লোকটি বড়ই খারাপ। আল্লাহ সুবাহানা তা'আলা গীবতকারীকে খুব কঠোর ভাষায় লান্চনা করেছেন যেমনঃ

|||______ হে মুমিনগণ ! তোমরা বহুবিধ অনুমান হইতে দূরে থাক। কারণ অনুমান কোনো ক্ষেত্রে পাপ এবং তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় সন্ধান করিও না এবং একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা করিও না। তোমাদিগের মধ্যে কি কে তাহার মৃত ভ্রাতার গোশত ভক্ষন করিতে চাহিবে ? বস্তুত তোমরা আল্লাহকে ভয় কর; আল্লাহ তাওবা গ্রহণকারী, পরম দয়ালু। _______ (সূরা হুজুরাত ১২) |||

# আল্লাহ তা'আলা তাহার ঈমানদার বান্দাদিগকে বহুবিধ অনুমান তথা অহেতুক অপবাদ এবং পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন এবং অপরাপর সকল লোকের বিরুদ্ধে অথবা খিয়ানতের অভিযোগ প্রদান হইতে সতত দূরে থাকার আদেশ দিয়েছেন। কারণ এই ধরনের বেশির ভাগই অনুমান ও সন্দেহ প্রবন নিছক পাপের অন্তর্গত।

# আবূ দাউদ (রা)..… আবূ হুরায়রা (রা) হইতে বর্ণনা করেন। বলা হইল, হে আল্লাহর রাসূল? ‪#‎গীবত‬ কাহাকে বলে? তিনি বলিলেনঃ তোমার ভাই সম্বন্ধে তোমার এমন আলোচনা করা যাহা সে অপছন্দ করে। প্রশ্ন করা হইল, আমি যাহা বলিব যদি তাহা আমার ভাইয়ের মধ্যে বর্তমান থাকে তবে? রাসূলুলুল্লাহ (সা) বলিলেন, 'তুমি যাহা বলিবে যদি তাহা তাহার মধ্যে বর্তমান থাকে তবেই তুমি তাহার #গীবত করিলে। আর যদি না থাকে তাহলে তাহা হইবে অপবাদ।

‪#‎হাসসান‬ ইবনে মুখরিক (রা) বলেন,,, জনৈকা মহিলা একদিন হযরত আয়িশা (রা)-এর নিকট আসে। আলোচনা শেষে উঠিয়া রওনা করিলে আয়িশা (রা)-এর হাত দ্বারা ‪#‎রাসূলুল্লাহ‬ (সা)-এর প্রতি ইংগিত করিলেন অর্থাৎ বুঝাইতে চাইলেন যে, মহিলাটি খাটাকৃতির। #রাসূলুল্লাহ (সা) বলিলেন, 'তুমি তাহার গীবত করিলে'।

‪#‎গীবতের‬ ভয়াবহতা বলতে গিয়ে আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ তোমাদের মধ্যে কি কেহ তাহার মৃত ভ্রাতার গোশত ভক্ষন করিতে চাহিবে ??? অর্থাৎ মরা মানুষের গোশত খাওয়াকে স্বভাবত যেমন খুববি অপছন্দনীয় ঠিক তেমনি শরীয়াতের বিধান হিসাবে গীবত করাকেও অপছন্দনীয় হিসাবে # আল্লাহ তা'আলা ঘোষনা করেন।

‪#‎গীবতকারীর‬ ‪#‎তাওবা‬ করার নিয়ম হইল, প্রথমত #গীবত করা ছাড়িতে হইবে। অতঃপর গুনরায় উহা না করার দ্র্র্ঢ় সংকল্প করিবে এবং অন্য কাউকে তাহার সম্পর্কে #গীবত করিতে দেখিলে যথাসম্ভব প্রতিরোধের ব্যবস্থা করাই মুত্তাকীর প্রাধান দায়িত্ব।

# সর্বশেষে নিজেকে আল্লাহর উপর পুরোপরি সঁপে দিতে হবে এবং নিজেকে শয়তানের কুমন্ত্রনা থেকে রক্ষা করে চলতে পারলে ইন-শা-আল্লাহ আমরা দুনিয়া ও আখিরাতে নিশ্চই কামিয়াব হব।

বিষয়: বিবিধ

১৩৫০ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

268934
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৭
ফেরারী মন লিখেছেন : হে আল্লাহ তুমি আমাকে শয়তানের কুমন্ত্রনা থেকে রক্ষা করো এবং দুনিয়া ও আখিরাতে কামিয়াব হওয়ার তৌফিক দাও। Praying আমিন
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৩৬
212780
ব্লগার সাজিদ আল সাহাফ লিখেছেন : আমিন ইয়া রাব্বিল আলামিন!!!!!!
268944
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৯
আফরা লিখেছেন : ভয়ঙ্কর গুনাহ গীবতকে আমরা খুব সাধারণভাবেই দেখি আসলেই অনেক সাধারন কথাই গীবতের মধ্যে পড়ে যেটা আমরা সাধারন ভাবেই বলে ফেলী ।

জাজাকাল্লাহ খায়ের ।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৪১
212784
ব্লগার সাজিদ আল সাহাফ লিখেছেন : ঠিক তাই। অনেক স্পর্শকাতর একটি ইস্যু!!! পরিত্রাণ পাওয়া খুব মুশকিল!!! তবুও চেষ্টা করে যেতে হবে!! জাজাকাল্লাহGood Luck Good Luck Good Luck
268945
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:০২
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের এই কঠিন গুনাহ থেকে হিফাজত করুন! শুকরিয়া ভাই Good Luck
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:০৫
213151
ব্লগার সাজিদ আল সাহাফ লিখেছেন : আমিন! অনেক শুকরিয়া আপনাকে।
268993
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:২৮
পবিত্র লিখেছেন :
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:২২
213741
ব্লগার সাজিদ আল সাহাফ লিখেছেন : _____জাজাকাল্লাহ!
269321
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:০০
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

জাযাকাল্লাহ..

এ দোয়াটি গীবত থেকে বাঁচের জন্য একটি অস্ত্র হতে পারে-
যদি অর্থ ও মর্ম বুঝে পড়া হয় সারা দিনরাতে শতাধিকবার

رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا
الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ
وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلًّا لِّلَّذِينَ آمَنُوا
رَبَّنَا إِنَّكَ رَءُوفٌ رَّحِيمٌ

[সুরা হাশর, আয়াত ১০]
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:২৩
213742
ব্লগার সাজিদ আল সাহাফ লিখেছেন : ____________অনেক অনেক শুকরিয়া আপনাকে। আপনার প্রাণবন্ত ভূমিকাকে অনেক দারুণ লাগে।
273034
১১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৪:৪৪
ভিশু লিখেছেন : হাসসান‬ ইবনে মুখরিক (রা) কর্তৃক বর্ণিত আরো সতর্ককারী, চিন্তার উদ্রেককারী হাদিসটি আগে পড়িনি, শুনিনি। জাযাকাল্লাহ খাইরান কাসীরা... Praying Good Luck Happy Rose
১৩ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩২
217880
ব্লগার সাজিদ আল সাহাফ লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File