আমরা কি তাহলে বন্ধুর কাছে বউ বর্গা দেবার দাঁড়প্রান্তে!

লিখেছেন লিখেছেন বাকঝাল ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৭:২৯:১৭ সন্ধ্যা

বাশেঁর কেল্লায় একটা পোষ্ট করে হতাশ হলাম, আমার ছড়াগুলো রাজনৈতিক এবং সেখানে শেয়ার আর লাইক মোটামোটি ভালই পড়ে তবে মাঝের মধ্যে দেখি সিরিয়াস কবিতায় শেয়ার লাইক কোনটাই তেমন সাড়া পাওয়া যায়না, তাতে আমার মন খারাপ হবার কিছু নেই তবে একটা বিষয় শেয়ার করটা জরুরী মনে করি

আমার ছড়াটা ছিল বন্ধুর গান, বিষয় ছিল (বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ১০০ কম্পিউটার দিল ভারত) এটার উপর, আমার ভয় হয় এই বিষয়গুলো যদি আমরা সিরিয়াসলি না নিই বা না বুঝি তাহলে বাশেঁর কেল্লার এই আয়োজন এত পরিশ্রম এত লাইক শেয়ার সবই তার নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে অনেক দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে

বন্ধুর গানে একটা শব্দ আমি ইচ্ছে করেই পরিবর্তন করেছি তা হল "তোর বউরে একটা প্যান্টি গিফ্ট দিতাম চাই" লাইনটা চেইন্জ করে আমি শাড়ি করেছি, এতে আমার মনের আকংখ্যা পূর্ণ হয়নি তবুও আমাকে এটা করতে হল কারণ আমি চাইছিলাম অশালীন বলে কেউ যাতে এড়িয়ে না যায়, যাতে সবার কাছে শালীন হয়েই ছড়াটা চোখে আংগুল দিয়ে বুঝিয়ে দেবে যে, আমার পরম বন্ধু আমার বউ এর দিকে নজর ফেলেছে, আর আমার বউ সাজু করে বন্ধুকে চা খাওয়াচ্ছে, আর বন্ধু শাড়ী গিফ্ট করতে চাইছে আমার বউকে, অথচ এর অন্তর্নীহিত তাৎপর্য আমি বুঝতে পারছিনা, আমি বন্ধুর মহিমা প্রকাশ করছি, বন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, অথচ এদিকে আমার ঘর ভাঙ্গার উপক্রম

এবার আসুন রাষ্ট্রের ছাঁচে বিষয়টা ফেলে একটু ভেবে দেখি। আধুনিক রাষ্ট্রে একটা রাষ্ট্রকে নিজের আন্তবিষয়গুলোর সাথে যেটা প্রথমে আর প্রধানভাবে দেখতে হয় সেটা বহিরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক, সোজা কথায় রাষ্ট্রকে তার শত্রুমিত্র চিনতে হবে, জানতে হবে, বুঝতে হবে, কিন্তু বন্ধুকে বন্ধু বলে প্রকাশ করা আর শত্রুকে শত্রু বলে প্রকাশ যায়না বা যাবেনা এটাই আধুনিক রাষ্ট্র ব্যাবস্থার রাষ্টনীতি, শত্রুকে শত্রু না বললামনা কিন্তু বন্ধুকে বন্ধু কেন বলা যাবেনা সেটা আবার কেন? কেন এজন্য যে, আমি যাকে বন্ধু বলব সেই বন্ধুর শুত্রু নিশ্চয় থাকবে, তার মানে আমার বন্ধুর শত্রুকে আমারও শত্রু বানিয়ে ফেললাম, বন্ধু আর শত্রু নির্বাচন করা যাবে কিন্তু প্রকাশ্যে এসব নিয়ে চেচামেচি করা যাবেনা, এটা একটা উদাহরণ দিলাম রাষ্ট্রের শত্রু মিত্র নির্ণয় আর আমাদের করনিয় কি হওয়া উচিত সেই আলোকে

এবার আসা যাক সরাসরি মুল ঘটনায়, ব্যাক্তি আমি যেমন আমার বন্ধুর সাথে সম্পর্ক এমন পর্যায়ে নেবনা যে, আমার বন্ধু আমার বেডরুমে ঢুকে যাবে, ব্যাক্তি আমি নিশ্চয় সেটা কখনো বরদাস্ত করবনা রাষ্টের বেলায় ও আমাদের সেভাবে ভাবতে হবে, আমার সীমানা, আমার সেনাবাহিনী, আমার সার্বভেৌম্ব এটা একান্তই আমার, এখানে অন্যের প্রবেশ নিষেধ, এখানে কেউ প্রবেশ করতে চাইলে আমি হুংকার দিয়ে উঠব, এখন কথা হল, একটা রাষ্ট্র আর একটা রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীকে একটা গিফ্ট করতেই পারে এটা নিয়ে এতা হুলুস্থুল এর কি আছে

অবশ্যই আছে, তবে হুলুস্থুলটা হতে মনের মধ্যে, যা নগ্নভাবে প্রকাশ করা যাবেন, আমাদের মনে রাখতে হবে ভারত কেন আমাদের সেনাবাহিনীকে গিফ্ট করতে চাইবে? আমাদের সাথে তাদের কিসের এতো দহরম মহরম! মইন ফখরুর ঘোড়া উপহার এর পথ ধরে আসল বর্তমান সরকার, বিডিআর বিদ্রোহ দিয়েই শুরু, ৪৭জন চৌকশ সেনা শহীদ হল, আমরা হারালাম বিডিআর, হয়ে গেল বিজেবি, যাদের বন্দুকের নল আর সীমান্তে নেই, উল্টো আমাদের দিকে, আমাদের ফেলানী ঝুলে গের তারকাটায় আর হাবীবকে পেটানো হল উলংগ করে, আমরা থাকলাম নিশ্চুপ, বানীজ্য, পানি, ট্রানজিট বা ট্রানশিফ্ট এগুলো বাদই দিলাম, এতো কিছুর পরও ভারত আমাদের গিফ্ট করছে শুনতে কি অবাক হবার মতো নয়! আমরা কি তাহলে বন্ধুর কাছে বউ বর্গা দেবার দাঁড়প্রান্তে!

বিষয়গুলো এখন থেকে না ভাবলে সামনে খুব কঠিন হয়ে যাবে আমাদের সার্বভৌমত্ব ধরে রাখার

সম্ভব হলে নিচের লিংকটা দেখুন : ড এম এ মালেক ! - দা পিপল'স ভয়েস এক্সক্লুসিভ

Click this link

বন্ধুর গান Click this link

বিষয়: বিবিধ

২১২২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File