¤শেষ চিঠি¤ [প্রথম অংশের প্রথম]
লিখেছেন লিখেছেন ওমার আল ফারুক ২৮ আগস্ট, ২০১৪, ১১:০৪:০১ রাত
ঠুক! ঠাক! ঠুক! ঠাক!
তাহিরা,দরজা খোল!
স্বামীকে উদ্দেশ্য করে ছালাম
দিয়ে চোখ
মুছতে মুছতে তাহিরা দরজা খুলে
দিলেন.
ফ্রেশ হয়ে খেতে আসুন,এই
বলে তাহিরা চলে গেলেন খাবার
সাজাতে.
রাত বারোটা বেজে গেল অথচ
তুমি না খেয়ে প্রতিদিন আমার
জন্য অপেক্ষা কর কেন?
স্ত্রীকে উদ্দেশ্য
করে বললেন,জামিল.
:আপনাকে ছাড়া আমার
খেতে ইচ্ছে করেনা.
:কাজটা কিন্তু ঠিক
হয়না.না খেয়ে নিজেকে এভাবে
কষ্ট দেয়াটা আদৌ উচিৎ নয়.
:আপনি সেই সকালে বের হন আর
ফিরেন গভীর রাতে,খাওয়া-
গোসল,বিশ্রাম
কিছুইতো ঠিকমতো হয়না,আপনার
জন্য এগুলো বুঝি উচিৎ!
:দেখ তাহিরা,মানুষকে মানুষের
গোলামীর জিঞ্জির হতে মুক্ত
করতে হলে,অসহায় গরীব
দুঃখি মানুষের পাশে দাঁড়াত
হলে এক আল্লাহর সার্বভৌম
প্রতিষ্ঠার
সংগ্রামে যারা নিয়জিত তাদের
খাওয়া,ঘুম,বিশ্রাম,আনন্দ
ফূর্তিকে কুরবানি করতে হয়
দ্বিধাহীন চিত্তে.
:সে সব দ্বীনের পথিকদের
সংগ্রামে আপনাদের
স্ত্রী,কন্যা,মাত্রিবর্গের
অংশগ্রহণ অবশ্যই কাম্য.সামান্য
অপেক্ষা করলাম একত্রে খাওয়ার
জন্য,এটুকুও কী করতে পারিনা?
অথচ আরবের মুসলিম
মায়েরা তাদের মুজাহীদ
পুত্রদের,স্ত্রীরা তাদের
মুজাহীদ স্বামীদের জন্য
নিজেদের সব অধিকার
কুরবানি করতেন.তার তুলনায়
আমরা কোথায়!
:মুচকি হাসি দিয়ে জামিল
বললেন,এজন্যই তোমার জন্য সব
কাজে প্রাণ
খুজে পাই,নিজেকে ভাগ্যবান
মনে হয়,শুকরিয়া জানাই আমার
প্রভুকে.
:লজ্জা রাঙা মুখে তাহিরা প্রসংজ্ঞ
পরিবর্তন করে বললেন,ছেলের
ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু ভাবছেন?
:হঠাৎ এমন প্রশ্ন!
:আমাদের চারপাশের
পরিবেশ,আমাদের
সমাজব্যবস্থা,আমাদের আচার
আচারণ,আমাদের
সংস্কৃতি যেভাবে ধ্বংসের
দ্বারপ্রান্তে উপনিত
সেখানে ছেলের জন্য চিন্তিত
না হওয়াটা পিতা মাতা হিসেবে
কর্তব্যহীনতার কাজ.
:চিন্তিত
অবশ্যই,তাহিরা.
আমাদের
প্রজন্মের জন্য একটি দূষণহীন
বিশ্ব গড়ার জন্যই আমাদের এই
সংগ্রাম. তুমি ওকে সঠিক
ভাবে গড়ে তুলতে পারবে এটুকু
বিশ্বাস আমার রয়েছে.এই ভঙ্গুর
সমাজে বেড়ে ওঠা ছাড়া বিকল্প
এখনো আমরা তৈরী করতে পারিনি
.এর মাঝেই
ওকে বেড়ে উঠতে হবে.শিখতে হবে
কীভাবে অন্যায় অবিচার,জুলুম
নির্যাতন,অশ্লীলতা অনাচারের
বিরুদ্ধে কীভাবে লড়াই
করে বেঁচে থাকতে হয়.ওর
বিকশিত
মনে জাগিয়ে দিতে হবে ন্যায়
অন্যায়ের সঠিক রূপ.যে দায়িত্ব
আমি তোমাকে দিচ্ছি.
:সে কাজ কী কেবল আমার?
:না,কেবল তোমার নয় কিন্তু
তোমাকে দায়িত্ব দিচ্ছি,কেন
তুমি অবশ্যই বুঝো.তাছাড়া দেশের
রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামনের
দিনগুলোতে সম্ভবত
ভালো যাবেনা.
তাহিরা কিছু বলতে চাচ্ছিলেন
কিন্তু ওনার মাথায় দুষ্টামীর
পরশ দিয়ে জামিল বললেন,রাত
অনেক হয়েছে,চলো বিছানায় যাই.
[আপনার অভিমত,ভালো লাগা না লাগা,প্রয়োজনীয় পরামর্শ আমাকে পথ দেখাবে এগিয়ে যেতে.আপনারা সহযোগী হবেন,আশায় রয়েছি.সর্বোপরি আল্লাহর সাহার্য প্রার্থণা করছি.]
বিষয়: সাহিত্য
১১৫৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পরশ দিয়ে জামিল বললেন, রাত অনেক হয়েছে, চলো বিছানায় যাই.
মন্তব্য করতে লগইন করুন