এমন নববর্ষ যেন প্রতিদিন আসে

লিখেছেন লিখেছেন বাঘা ওসমান ২৬ এপ্রিল, ২০১৫, ০৩:৩৩:৩০ দুপুর

বর্ষবরণ এখন যেন আর বর্ষবরণ নেই। তা যেন হয়ে উঠেছে উলঙ্গ উম্মাদনার এক মাধ্যম। কপত কপোতিদের নোংরামি করে স্মরণীয় বরণীয় করে রাখার দিন।

প্রেম ভালোবাসার নামে জোড়ায় জোড়ায় বসে ছেলে-মেয়েদের অনৈতিক আড্ডা দেয়া। রিকশায় করে কীভাবে ছেলে-মেয়েরা জোড়া মিলিয়ে নেশাখোরের মত সময় অতিবাহিত করে। কীভাবে পর পুরুষ-মহিলাদের দিয়ে নিজের শরীরে উল্কি আকার প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হতে হয়। পান্তা-ইলিশের নামে কীভাবে সমাজে বৈষম্য তৈরির রাস্তাকে উন্মুক্ত করে তুলতে হয়। কীভাবে হোলি খেলার নামে রং মাখা-মাখি করা হয়। এক্ষেত্রে মেয়েরা যেন ছেলেদের ছেয়ে এগিয়ে। এর ফলে ঘটেছে

ছাত্রী উত্তক্ত করার অপরাধ চানখারপুলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর, ছবি তুলতে চেষ্টা করায় ছাত্রলীগকর্মীর হাতে সাংবাদিক নাজেহাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ৩০-৩৫ জন ছেলের একটি দল কয়েকজন মেয়েকে বিবস্ত্র করে অন্যায় আবদার পুরনের চেষ্টা, বাধা দিতে গিয়ে আহত কয়েকজন, এক ছাত্রসংগঠনের প্রতিবাদী কর্মসূচি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে বিবস্ত্র করা।

আমরা ভুলিনি ১৯৯৯ সালে এরকম বর্ষবরণে রাত ১২.০১ মিনিটে বাঁধনকে বিবস্ত্র করার কথা। যদিও সংসদে দাঁড়িয়ে তখন জয়নাল হাজারীর মত ব্যক্তি উল্টো বাঁধনেরই বিচার দাবি করেছিলেন। মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে হিংস্র জানোয়ারের ছবি, কার্টুন, ঢোল, তবলা, বাঁশিই যেন আমাদের মূল সংস্কৃতি।

তাই আমি বলি এত রাগ-ঢাক করে আর কিছু না করাই ভাল । সরকারের উচিত শহরের মিনি পার্ক গুলো সংস্কার করে গোটা শহরটাকে একটা সেভ জোন করে দিক যেখানে সোনার ছেলেরা তাদের খেয়াল-খুশি মত প্রতি দিনই নতুন বর্ষ পালন করতে পারবে । আর গার্ডিয়ানদেরকে বলি আপনারা সুর্য ওঠার সাথে সাথে আপনার উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েকে সুন্দর করে সাজিয়ে ছেড়ে দিন । আর নিশ্চিন্তে ঘরে বসে স্টার জলসা দেখতে থাকেন । যখন আপনার ছেলে কিংবা মেয়ে ঘরে ফিরবে তখন মনে করে কিছু প্রতিরোধকের ব্যবস্থা করে দিবেন । না হলে আগামীতে সে আর এই দিন পালন করে মজা পাবে না । নিরাপত্তা বাহিনীকে এ সময় সরকার এ অফারের আওতায় আনতে পারে তা হল যদি কাউকে কোন অপ্রীতিকর অবস্থায় আটকাতে পারে তাহলে ঐ মাল তার । তাতে করে নিরাপত্তা বাহিনী আরো মনযোগ দিয়ে এ কর্তব্য পালনে উৎসাহী হবে ।

আর এসবের যারা বিরোধীতা করে , তাদের কে মানবধিকার লঙ্ঘনের দায়ে যাবত জীবন কারাদন্ড দেয়া যেতে পারে । তাতে করে গনজাগরনের পীর-মুরিদরা বেজায় খুশি হবে । আমার কথা গুলো অনেকের কাছে খারাপ মনে হতে পারে কিন্তু আমি বলে ফেললাম । সরি ------------যারা এর পক্ষে বা বিপক্ষে নিজেরদের কে দাড় করিছেন ।

বিষয়: বিবিধ

১২৮০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

316964
২৬ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০৩:৫২
হতভাগা লিখেছেন : নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষন দূর্নিবার ।

১ লা বৈশাখ আর ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে এর মাত্রা ব্যাপক হারে বেড়ে যায় ।

এখানে যারা মেতে উঠে সজাগ হতে হবে সেসব ফ্যামিলিকে - তারা কি আসলেই চায় যে তাদের সন্তানেরা বখে যাক ।

পিতা মাতার বেসিক ভাল না হলে সন্তানদেরকে সঠিক জ্ঞান দেবার যোগ্যতা তাদের থাকে না ।

আর এখানে যারা মৌজমাস্তি করতে ও দিতে যায় তারা এর কনসিক্যুয়েন্স কি বোঝে না ?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File