দরকার - আরেকটি ১৫ই আগষ্ট

লিখেছেন লিখেছেন বাঘা ওসমান ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৬:০১:২৬ সকাল

সংলাপ-সমঝোতা কিংবা বিদেশী কূটনৈতিকদের দফদফানি সমকালীন বাংলাদেশের এ পরিস্থিতি শান্ত করতে যথেষ্ঠ নয় । দেখিনি , তবে পড়েছি এবং শুনেছি১৯৭১ পরবর্তী সময়ে নাকি এদেশ এমন ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল ।

কারণ ছিল বাকশাল । মানুষ বেচে থাকবে কিন্ত থাকবে না স্বাধীনতা । প্রকাশ করা যাবে না বাকশালী গংদের কোন অপকর্মের ফিরিস্তি । ওদের সমর্থন পুষ্ট ছাড়া বাকি মিডিয়া করে দেয়া হয়েছিল বন্ধ । এক কথায় বাক স্বাধীনতা কথিত সেই নেতার হস্তগত ছিল । সে চাইলে কেউ কিছু বলতে পারত না চাইলে সেটা সম্বভ হত না ।

ভারতীয় দালাল হিসেবে কাজ করত সেই নেতা । মালুদের সাথে পরার্মশ করেই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের নামে হাজারো বাংঙ্গালী হত্যা করেছে ঐ নেতা ।আর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে এর পিছনের শক্তি ছিল ভারতীয় মালুরা ।

তবে শত চেষ্ঠা করেও সেই নেতা বাকশালী তন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি । কারণ বাঙ্গালী মরতে যখন শিখেছিল তাই মারতেও শিখেছে । ফলে তৎকালীন নামকরা কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা যারা এ দেশ স্বাধীন করেছিল গনতন্ত্রের প্রকৃত সুখ লাভের আশায় , তারাই ঐ বাকশালীর গোষ্ঠীকে খতম করার মহৎ প্লান করে ।

ফলশ্রুতিতে কালক্ষেপন না করেই দেশের সাধারন মানুষকে প্রকৃত স্বাধীনতা দানের উদ্দেশ্যই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ঠ আরেক বার স্বাধীন হয় সোনার বাংলাদেশ । অর্থ্যাৎ সে দিনই বাকশালীর ইতিহাস রুদ্ধ করা হয় ।

তবে কপাল পোড়া বাঙ্গালী । এত কিছুর পড়েও বেচে যায় বাকশালীর দুই জারজ সন্তান । যার একজন আজকের ক্ষমতাসীন হাসিনা বেওয়া ।

খুনি বাবার আদর্শে বড় হওয়া এই কাল নাগিনী তার বাবার পথেই হাটছে । ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে অশান্ত করে তুলছে গোটা দেশ ও জাতিকে । নির্বিচারে সাধারন মানুষকে খুন করছে বাবার মত । নিজ স্বার্থ উদ্ধার আর ভারতীয় মালুদের খুশি করাই তার একমাত্র কাজ । চলতি ৫ বছরে দানবীরের মত যা খুশি তাই দিয়েছে ভারতেকে । বাবার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করাই নাকি তার প্রথম কাজ ।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে গোটা প্রশাসনকে গোপালগজ্ঞীয় বানিয়ে যথেচ্ছা সাধারণ মানুষের জীবনকে বিষিয়ে তুলেছে ।

দলীয় গুন্ডাদের হাতে স্থানীয় ক্ষমতা হস্তান্তর করে গরীর-দুঃখী মানুষদের মৌলিক অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে ।

বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সত্য প্রকাশে নির্ভীক কয়েকটি মিডিয়া।

নিষিদ্ধ করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে সকল সভা-সমাবেশ । পুলিশ-র্যাব-বিজিবি-সেনাবাহিনীসহ সকল সামরিক-বেসামরিক বাহিনীকে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে গুলি করে মারার নিদের্শ দিচ্ছে সরকার দলীয় নৌকার মাঝিরা ।

আর এমন পরিস্থিতি গোটা দেশ যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে । যদিও এই অপশক্তির বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি আন্দোলন অব্যহত রেখেছে তথাপিও এদেশ কি জালিম হাসিনার কবল থেকে মুক্ত হবে ।

তাই এদেশের কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিক , সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ , কলামিষ্ট , লেখক-কবি-সাহিত্যিক সহ নবীন-প্রবীন গবেষকগন মনে করেন এ থেকে উত্তরণের একটি মাত্র উপায় খোলা আছে । তা হল আরেকটি ১৫ আগষ্ট ।

সেটা যে কোন মাসের হতে পারে । তবেই রক্ষা পাবে এ জাতি ।

তাই আমরা যারা নবীন তারা অধীর আগ্রহে বসে আছি কবে আসবে সেই ১৫ আগষ্ট ।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টে আনন্দ মিছিল করতে পারিনি তবে নতুন ১৫ আগষ্টে মিছিলের অগ্রভাগে থাকব আমরা । নতুন করে স্বাধীন হবে এ দেশ । তাই ১৫ আগষ্টের প্রতীক্ষায় আমরা শাহবাগ বিরোধীরা ।

বিষয়: বিবিধ

১৩১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File