{তার থেকে তুমি বড় }
লিখেছেন লিখেছেন বাঘা ওসমান ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০১:৫৮:০২ রাত
যুদ্ধ দেখিনি তবে ইতিহাস পড়েছি । দু:খ হল সে সময়ের নেতা কে বা কার নেতৃত্বে যুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে তা নিয়ে যে ধ্রুমজাল তা সম্ববত কেয়ামত অবধি থাকবে ।
কারণ হল লেখক যে দলের ইতিহাস সে দলের , তাই আমরা যারা শাহবাগ বিরোধী তরুন অর্থ্যাৎ দাড়ি ,টুপি , পায়জামা-পানজাবি ও মেসওয়াক ধারী ,ওদের মত প্রগতিশীলতা এবং উন্নত সংস্কৃতি থেকে দূরে , আমাদের মূলত এই কনফিউশনটা স্বভাবতই একটু বেশি ।
তবে এই কনফিউশনটা আজ দূর হবে যে বন্ধুরা আমার এ লেখায় চোখ বুলাবে ।মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কাদের সিদ্দিকীর ভূমিকা যে কি ছিল তা নতুন করে বলার কিছু নেই ।
কারণ হল পাক হানাদার মুক্ত বাংলা দেখা , যার আজন্ম স্বপ্ন ছিল , লাল-সবুজের পতাকার পতপত শব্দ যার কান শুনতে সদা সর্বদা উৎসুক ছিল , সেই লোকটি হচ্ছে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ।
সরাসরি সক্রিয় অংশগ্রহন করে এনে দিয়েছে আমাদেরকে এ বাংলা । তাই মুক্তিযুদ্ধ কিংবা যুদ্ধ সমকালীন ইতিহাসের ইতিবৃত্ব তার কথাই ফুটে ওঠে এবং তা সর্বজনের কাছে গ্রহনযোগ্যতাও পায় ।
বর্তমানে সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে কে মুক্তিযোদ্ধা আর কে রাজাকার তা তিনি খুব সুন্দর করে বলতে পারেন ।
যা এখানে পুনরাবৃত্তি করা অযথা হবে ।
সেই মহান যোদ্ধা , যার মূল নামের সঙ্গে ১২/১২/১৩ইং তারিখ যে মানুষটাকে ফাঁসির মাধ্যমে হত্যা করা হল তার নামের অপূর্ব একটা মিল রয়েছে ।
আল্লাহর কি লীলা এক কাদের যোদ্দা আর কাদের যুদ্ধাপরাধীর অপরাধে দন্ডিত । যাক এরকম অনেক লীলায় মুসলিম নামের সাহসী বীরদের উপঢৌকন । যা ইসলামের ইতিহাস পড়লে অবগত হওয়া সম্বভ । না বলি সে প্রসংঙ্গে ....... আসা যাক আরেক কথায় :
অসমান্য অবদান রাখার জন্যই বাংলার মানুষের কাছে তিনি বঙ্গবীর নামে পরিচিত । যিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হাসিনার বাবা মুজিবের অন্যতম ঘনিষ্ট লোক ছিলেন ।
কিন্তু পরিতাপের বিষয় এতটা কাছের লোক হয়েও স্থান হয়নি হাসিনার বিশাল নৌকায় । তাই আজ অনেকটাই একা বলা যায় বঙ্গবীর খ্যাত এ মহান মানুষটিকে ।
হাসিনা নেয়নি একথাটা এরকম না বরং বঙ্গবীর নিজেই হাসিনার নৌকা তালাক দিয়ে এসেছেন । যার কারনের শেষ নেই । এগুলো জানতে হলে বঙ্গবীরের বিভিন্ন প্রবন্ধ ভিন্ন ভিন্ন সময়ে অনেক দৈনিক পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে তা পড়ে নিলে হবে ।
দেশ স্বাধীন , মানুষ নতুন স্বপ্ন নিয়ে বাংলাকে গড়ার দৃঢ়প্রত্যয়ে যখন এগিয়ে যাওয়া শুরু হল তখনই গনতন্ত্রের প্রতিদ্দন্দী হল বাকশাল ।
আর ধ্বংস হল স্বপ্ন দেখা ভোর না হতেই । অর্বনীয় নির্যাতনের স্টীম রোলার চালানো হল সাধারন গনমানুষের উপর । থেমে গেল চলতি বাংলার পথ চলা । খর্ব করে দেয়া হল মত প্রকাশের স্বাধীনতা । বন্দী করা হল বিরোধী দলের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে । সরকার প্রসাশনিক শক্তিকে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করে যারা এ বাকশালের বিপক্ষে ছিল তাদেরকে দমন করল ।
তবে বাকশালীর এ ভয়ানক রুপ এক শ্রেনীর মানুষকে প্রতিবাদী করে তোলে , যার ফলেই মহান ১৫ আগষ্ট পেয়েছে জাতি । যা স্বরন করা বা গর্ব করার মত একটা তারিখ ।
ও , বলা হয়নি কি হল ১৫ আগষ্টে , তা হল মুজিব সহ পরিবারে নিহত । কে বা করা এ মহান কাজটি করল তা সে সময় প্রমানিত না হলেও কিন্তু ৪০ বছর পর তা প্রমানিত হয়েছে । আর এ অসাধ্য কাজটি কে করেছে জানেন , ভাগ্যের জোরে অথবা বাংলার মানুষের কপাল পুড়বে যার হাতে সেই হাসিনা সেই সময় বাড়িতে না থাকার কারণে বেচে যান এবং সেই হাসিনায় আজ ক্ষমতাসীন সরকারপ্রধান । এই হাসিনায় খুজে বের করে তার বাবার খনিদের এবং ফাসি দেয়ার পরে ক্ষান্ত হন । শুধু তাই নয় শুরু করে তার বাবার রেখে যাওয়া বাকশালীর অসমাপ্ত কাজ । যা আজ এদেশের মানুষ হাড়ে হাড়ে অনুধাবন করছে ।
মুজিবকে কে মেরেছে আর সে কাকে ফাসির দড়িতে ঝোলালো সারা দুনিয়ার মানুষ তা দেখেছে । যাদেরকে ফাসি দেয়া হয়েছে তারা সবাই এদেশের হয়ে পাক হানাদের বিপক্ষে জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করেছে ।
এ ফাসিতেও তৃপ্তি মেটেনি তার , হত্যা ,খুন যার মাথায় দিবা রাত্রি খেলা করে সে রক্ত না দেখলে ঘুমতে পারে না তাই শুরু করল চিহ্নিত কিছু বামপন্থী ও নাস্তিকদেরকে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত যুদ্ধপোরাধীর বিচার ।
এ ধরাবাহিক নাটক পুরো ৫ বছর ধরে চলল । তবে এ ভাঙ্গা ক্যাসেটের বিষয় যখন সাধারণ মানুষ বুঝতে পারল তখন সরকারের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়তে শুরু করেছে ।
তারপরেও খুনের নেশা এবং শাহবাগী {সো না র ছেংরা-ছেংরিদেরকে } খুশি করার জন্য ফাসি দেয়া হল বাংলাদেশের অন্যতম ব্যক্তিত্ব , ইসলামি আন্দোলনের বিপ্লবী সেনাপতি জনাব আব্দুল কাদের মোল্লাকে । নির্মমতার সকল রুপ প্রর্দশনের মাধ্যমে হত্যা করা হল এ মহান নেতাকে । এরপরের চিত্র , দেয়া হল না সকলকে জানাজা পড়ার অধিকার । জলদি করেই দাফন সম্পন্ন করা হল ।
কিন্ত আচর্যের বিষয় হল পরদিন শুক্রবার সারা দেশে যখন গায়েবানা জানাযা পড়া হল তাতে দেখা গেল হাজারে হাজারে মানুষের ঢল । এতেই প্রমানিত হয় শুধু হাসিনার প্রতিহিংসার শিকার সকলের পরিচিত এ মহান নেতা ।
কারণ হল বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী মহান এ নেতার গায়েবানা জানায়ায় গনমানুষের এ ঢল দেখে বলতে বাধ্য হলেন মুজিবও নেতা , যার জানায়ায় লোক হল হাতেগনা কয়েকজন আর রাজাকারের অপরাধে যাকে ফাসি দেয়া হল তার জানায়ায় লোক হল স্বরণকালে উল্লেখ করার মত ।
বঙ্গবীরের এ লাইনটির অর্থ হল আমার কাছে মুজিবের চেয়েও জনপ্রিয়তা ও গনমানুষের মধ্যমনি ছিলেন জনাব আব্দুল কাদের মোল্লা (রহ ।
তাই বলতে চাই
রাজার মত আকার তোমার , সত্যি মহান নেতা ।
তোমার ফাসি হয়নি আজ - কেটেছে দেশের মাথা ।
কিসের মুজিব , কই হাসিনা
বীর সাহসী কাদের মোল্লা ।
তোমার কারনে গর্বিত মোরা নব্য রাজাকার ।
তোমার রক্ত লাল পতাকায় থাকেবে চিরকাল ।
বিষয়: বিবিধ
১২৩২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন