যাদের কারনে ফাঁসি
লিখেছেন লিখেছেন বাঘা ওসমান ১২ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৩:১৭:৩৩ দুপুর
মুক্তিযুদ্ধ গৌরবের না অপমানের তা আজ সত্যি প্রমানিত হল । সত্য যাচাই ছাড়া নামের কিঞ্চিত মিল থাকার কারনে হয়ত ফাসির রশি আজ আব্দুল কাদের মোল্লার অতি নিকটে ।
তবে দ;খ নেই তাতে আব্দুল কাদের মোল্লার । মঙ্গলবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কাদের মোল্লার সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছেন তার আইনজীবীরা। সাক্ষাতের সময় কাদের মোল্লা তার আইনজীবীদের বলেছেন, ‘আজীবন শহীদি মৃত্যু কামনা করেছি। অনেক আগে ছাত্রজীবনে শহীদ সাইয়েদ কুতুবের শাহাদাতের ইতিহাস বলতে গিয়ে অধ্যাপক গোলাম আযম আমার
গলায় স্নেহের হাত রেখে বলেছিলেন, একদিন এই ফাঁসির দড়ি তোমার গলায়ও পড়তে পারে।’ কাদের মোল্লা আরও বলেন, ‘আমি কোনো অপরাধ করিনি। তোমরা নিশ্চিত থাকো, আমার মাথা উঁচু ছিল, উঁচুই থাকবে। তোমরা কখনও আমার চোখে পানি দেখবে না ইনশাআল্লাহ।’
সত্যি একজন বীরের মত তার এ বানী । কোন সাধারন মানুষের পক্ষে এমন মুহুর্তে মহাসত্যের উপর অবিচল ও অনঢ় থেকে এমন বলা কত কঠিন তা ইসলামের ইতিহাস পড়লে অনুধাবন করা য়ায় ।
বানানো বা ভাড়া করা সাক্ষীর দ্বারা চিত্রায়িত সরকার দলীয় আইনজীবী , বিচারক ও শাহবাগে একত্রিত লুচ্ছা , মাগী সাদৃশ্য বখাটে হিরনচি , সন্ত্রাসী ও আওয়ামী কুত্তার দল আজকের নাটকের কুশীলব ।
এক কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দিলেই তাদের ধারনা বাংলার জমিন পবিত্র হয়ে যাবে । কিন্ত আসল কথা হল তারা যুদ্ধাপরাধীর বিচারের নামে যেভাবে ধর্মীয় আন্দোলনের নেতা কর্মীদের নিধন করা পয়তারা শুরু করেছে ।
তাতে একটা বিষয় পরিস্কার হয়ে গেছে বাংলার জমিন যারা আল্লাহ ও রাসূল (সা এর অনুসারী এবং দীন ইসলামের প্রচার প্রসার কাজে যারা নিয়োজিত তাদের বিপক্ষেই শাহবাগের জারজ সন্তানদেরকে দাড় করিয়ে গোটা জাতিকে দু ভাগে ভাগ করেছে ।
এক দল ইসলামপন্থী অন্য দল ইসলাম বিরোধী । এই বিরোধী শক্তি আজ ইসলামি ঐতিহ্য-সংস্কৃতিকে বিসর্জন দেয়ার কল্পে মুরু করেছে .......
অগ্নিপূজার সাদৃশ্যে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন , মশাল মিছিল , কাধেঁ কাধেঁ মিলে তাতে মাথা নোয়ানো , উঠতি তেতুলদের আকর্ষনীয় দেহভঙ্গির প্রকাশ , বুড়া দামরাদের কামতুর চাহনি , গাই সাদৃশ্য বৃদ্ধাদের নগ্ন উপস্থিতি , নব্য জারজদের প্রাথমিক শিক্ষার অনুশীলন , বেহায়া , দালাল মিডিয়ার বিরতিহীন প্রচার , সুশীল নামের সহকামী ও অক্ষম বুড়া-বুড়িদের যৌন তৃপ্তির তীর্থ স্থান , ব্যশ্যা ও রাতের কামলাদের অশালীন নৃত্বের ব্যাপক মহড়া , প্রশাসনের আন্তরিক পাহাড়া , সরকারের প্যাকেজ প্রনোদনা , চিড়া-গুড় , মুড়ি , বিরিয়ানীসহ নানা খাদ্যের বিতরন , বেসরকারি নানা সংস্থার প্রদানমূলক রকমারি আয়োজন , নারী প্রেমে উন্মাদ স্বল্প সংখ্যক দেশি কবি-সাহিত্যিক-শিল্পীর একত্ততা , পরদেশি মাগীখোর , মদ্যপ , মালু সাদৃশ্য কারো কারো নগ্ন সমর্থন ।
এদেরকে ব্যবহার করেই আব্দুল কাদের মোল্লার মত একজন সম্মানিত রাজনীতিবীদ , মানুষ গড়ার কারিগর অর্থাৎ মহান শিক্ষককে সাজানো নাটকের মধ্যমনি করে ফাসির কাষ্ঠে দাড় করিয়াছে ।
তাই আমি মনে করি মুক্তিযুদ্ধ অপমানে যা জাতিকে বিভক্তি করল । সময় সুযোগ পেলে আমিও সরাসরি এ যুদ্দের বিরোধিত করব , ঘোষনা করব আমি নব্য রাজাকার , আমারও ফাসি দাও ।
এক কাদের মোল্লার ফাসি দিলে হাজার রাজাকারের উন্থান হবে এ বাংলায় । দিতে পারবে ফাসি তোমার আদালত হাসিনা বেগম ।
এমন একটি ক্ষেত্র আজ প্রস্তুত করেছ যেখানে আজ রাজাকার হওয়াটা অনেকের কাছে গৌরবের বিষয় ।
মরতে প্রস্তুত সবাই তুমি কি প্রস্তুত দন্ডাদেশ কার্যকর করতে । সাহস থাকলে টানো রশি কে পড়ে কার গর্তে ।
বিষয়: বিবিধ
২০০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন