একজন যৌন কর্মীর নেতা হওয়ার মর্মান্তিক ইাতহাস
লিখেছেন লিখেছেন বাঘা ওসমান ১২ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০২:৩৬:৫৪ রাত
শাহবাগের দূর্গা রানী তিনি। একই সঙ্গে নামকরা একজননর্তকী। যৌন-অসচেতন। দক্ষিনের মেয়ে, যদিও বেড়ে ওঠা ঢাকার বিখ্যাত মাগী পাড়ায়। তিনি আপনাদের পরিচিত কালী আক্তার। শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের সেরা মাগী । এই সুবাদে অল্প সময়ে বাংলাদেশের সকল ইউনিয়নের সরকার দলীয় কেন্দ্রীয় নেতাদের বিছানার সঙ্গী হওয়ার অপূর্ব সুযোগ লাভ করেছেন। তাই বিজয়ের মাসে শাহবাগী তরুণের জন্য নিয়ে এসেছেন নতুন খেলার অভাবণীয় অফার । ঠিক এমন একটি অফার চলাকালীন সময়ে আমাদের প্রতিনিধি তার সাক্ষাতকারের জন্য যোগাযোগ করলে অবশেষ শত ব্যস্ততার মধ্যে 16 ডিসেম্বর ঢাকায় মাগী ইউনিয়নের কার্যালয়ে কথা হয় কালী আক্তারের সঙ্গে।
[১]যেভাবে এলেন এ পাড়ায় ?
আমি এ পাড়ায় এসেছি আমার বেনামী কাকা মুরগী চোরা ও ওনার বন্ধুদের হাত ধরে। 2001 সাল থেকে হালকা ভাবে আমি এ পেশায় যুক্ত ছিলাম। যখন আমার কোন স্থায়ী আবাসিক ব্যবস্থা ছিলনা তখন বস্তিতে থেকে বহুত কষ্ট করে এ পেশায় আজকে নিজের অবস্থান প্রতিষ্ঠিত করেছি । এরপর 2011 সালে আমি পুরোদমে এ পেশার সঙ্গে যুক্ত হই। এর আগে অনেক কষ্ট শিকার করতে হয়েছে যেমন একজনের কথা বলে আমাকে নিয়ে গিয়ে 10 জনে …….. তারপর টাকা না দিয়ে খালি হাতে ফেরত পাঠিয়েছে । এত কষ্টের পরেও আমি এ পেশায় থেকেছি। আমার মাও এ পেশার সঙ্গে যুক্ত। ফলে, তারও একটা বড় প্রভাব আছে আমার মধ্যে।
[২]কেউ এ পেশায় আসতে চায় না। ব্যতিক্রম আপনি ,বস্তির মাগী থেকে সুশীল মাগী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্টা করতে আন্দোলন করলেন কেন?
শুরুতে সাধারণ মাগীদের ব্যানারে কাজ করতাম। পরে একটা সময়ে মনে হলো, এ পেশাকে ঐতিহ্যমন্ডিত করতে হলে স্টাইল পরিবর্তন করা প্রয়োজন। আমি নিজেকে দিয়েই বুঝেছি। যেমন ধরুন, ২০০৯ সালে আমি যেভাবে ইজ্জত আদান-প্রদান করতাম বা রাতে কামলা দিতাম, ২০১১ সালে স্টাইল পরিবর্তন করার কারনে দেখলাম, আমার সহ্য করার ক্ষমতা বেড়েছে। তবে বিষয়ে একটা কথা বলার আছে।
[৩]শুরু হোক বলা:
অনেকে মনে করেন, বর্তমান সময়ে শুধু আমার মত বস্তির মেয়েরা এ পেশার সঙ্গে যুক্ত হন । কিন্ত এখনো বাংলাদেশর প্রতিটি ইউনিয়নে খোজ করলে দেখা যাবে অনেক ভালো পরিবারের মেয়েরাও এ পেশায় আছে । মাগী পাড়ায় বর্তমানে আমি সর্বোচ্চ পুরুষখেকো নারী। তবে শাহবাগ আন্দোলনের কারণে এখানের ছেলেদেরকে সময় দেয়ার ফলে আমার অনেক দামি খদ্দর হাতছাড়া হয়ে গেছে । তবে আশা করছি, অতি সত্বর আমি ওই খদ্দ্দেরকে ফিরে আনতে পারব।
[৪]ভাল মেয়েরা কেন এ পেশায় আসছেন না?
এর জন্য ভালদের দোষ দেওয়া যাবে না। আমাদের পরিবার সংস্কৃতি ব্যাপকভাবে ঘরকুনো ও ধর্ম অনুশীলনে আচ্ছন্ন। নব্বই-পরবর্তী সরকারগুলোর সময়েই শিক্ষাঙ্গন থেকেই ধর্মীয় অনুশীলন ব্যপক ভাবে শুরু হয়েছে । সব কটি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের ছাত্রীরা হিজাব পড়া শুরু করেছে যার ফলে পরিবারের কড়া নজরদাড়ি এড়িয়ে মেয়েরা এ পথে আসতে পারছে না ।
তার মানে কি আপনি হাল ছাড়ছেন?
একদমই না। এ সময়ের তরুণীদের পরিবার থেকে যতই বাধা দেয়া হোক কেন তারা একদিন এ পেশায় নামবে । যদি আমাদের মুরগী চোরা কাকাদের মত অন্য কাকারা এগিয়ে আসে ।প্রমান স্বরুপ দেখেন শাহবাগ আন্দোলনে তরুণীদের যে স্বতঃস্ফূর্ততাই অংশগ্রহন এটাই বলে দিয়েছে, তাঁরা এখন আর আবদ্ধ থাকবে না ।বাধার প্রাচীর মোকাবিলা করেই আবাল-বৃদ্ধ-তরুণদেরকে তারা সুখ দেয়ার জন্য তারা অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
[৫]এ দেশ নিয়ে কী ভাবেন?
১৯৭১ সালে শুধু ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু আমরা দেখেছি, আমাদের সেই ইজ্জতকে আজ নগন্য মূল্যে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতার প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ লুটে-পুটে খাচ্ছে । তবে এখন চাওয়া হলো, স্বাধীনতার সময় যেমন ন্যায্য মূল্যে আমাদের ইজ্জতের বিনিময় সাধিত হয়েছে ঠিক তেমন ব্যবস্থা আজ করতে হবে । মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ইজ্জত বেচাকেনা করতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে ব্যাপক সাংস্কৃতিক পরিবর্তন না এলে আমরা অন্ধকারেই থেকে যাব। সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের হাতিয়ারই হচ্ছে মাগীবাজী।
[৬]সচেতন মাগী হিসেবে সরকারদলীয় ও বিরোধদলীয় নেতার কাছে আপনি কী চান?
এখানে আমার চাওয়া হল। বর্তমানে দেশে যে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে, যৌন পিপাসায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ মরে হচ্ছে । এ সবের একটা নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতি প্রবর্তন করা ।যাতে বাংলাদেশের কোন পুরুষ কিংবা নারী যৌন জ্বালায় না কাতরায় । তবে যাতে কেউ অবৈধ উপায়ে এ ব্যবস্থায় হাত মাড়তে না পারে সে দিকে দুই দলের প্রধানদের কাছে আমার আকুল আবেদন ।
[৭]দেশ এখন মাগী সংকটের মধ্য দিয়ে চলেছে। একজন তরুণ যৌন কর্মী হিসেবে আপনার কী মনে হয়? এই সংকট থেকে উত্তরণের উপায় আছে?
আমি মনে করি, একতরফা ভাবে মেয়েদেরকে আবদ্ধ করার প্লান কোন সমস্যার সমাধান হতে পারে না ।কারণেএই সব মেয়েদেরকে এ পেশায় প্রকাশ্যে না আসতে তারা ঘরে সহকামিতায় লিপ্ত হবে যেটা সকলের জন্য লজ্জাস্কর । তাই দেশের স্বার্থে উন্মু্ক্ত পরিবেশে এ পেশার কাজক্রম পরিচালনার সার্বিক ব্যবস্থা করলেই এ সংকট থেকে উত্তরন সম্বব ।
[৮]কেন মাগী হওয়ার আম্বিশন ?
লেংটা থেকেই ভাবতাম, মানুষের জন্য কাজ করব , মানুষ আমার সব কিছু দিয়ে দেব কেননা, মানুষের না পাওয়ার কষ্ট আমাকে ভাবাত। কিন্তু কীভাবে করব, কোথায় গিয়ে করব, কিভাবে শুরু করব সেটি বুঝতে পারতাম না। কিন্ত সবসময় প্লান থাকত মানুষকে সুখ দিতেই হবে। আর এ জন্যই সাড়ে সাত বছর বয়েসেই বাড়ির চাকরকে দিয়ে শুরু করি । আমার বাবা এ কাজের যোদ্ধা। ফলে, আমিও বাবার মত অস্বাভাবিক খেলোয়ার হয়ে উঠেছিলাম প্রাথমিক পর্যায় থেকেই ।
[৯]হাজার তরুনকে সুখ দিয়েছেন শাহবাগে –বলবেন স্মৃতিচারণ করে কিছু?
এত মানুষের সঙ্গে বিরতিহীন ভাবে খেলা করা যেকোন মাগীর পক্ষে অসম্বভ । কিন্ত আমি সেটা করেছি । আমার মনে হচ্ছিল, এ অন্য রকম ভালো লাগা। আর মনের মধ্যে ইচ্ছা জাগত ইশ যদি সমগ্র বাংলাদেশের সব তরুনকে যদি গ্রুপ করে এ রকম আনন্দ দিতে পারতাম তাহলে আমি ব্যশ্যার ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে স্থান পেত ।তবে যেটুকু ছিল তা সবটুকু দিয়েছি তাই নিজেকে স্বার্থক মনে হয়।
[১০]পরিবারে হাত দিলাম , আপনারা ভাইবোন কজন?
তিন বোন, তিন ভাই। আমিই সবার ছোট।
[১১] এ পেশা ছাড়া কীছু করা হয়?
আমি 24 ঘন্টার মধ্যে 18 ঘন্টা এ কাজ নিয়ে আছি বাইরে কিছু করার সময় কই ।
[১২]গ্রামে যাওয়া হয়েছিল কবে?
যখন বুঝতে পারলঅম শাহবাগের বড় একটা ট্রিপ পাব তখন মনে হল এর আগে গ্রাম থেকে একবার ঘুরে আসা যাক । আর ওমনি চলে গেলাম গ্রামে ।
[১৩]নিশ্চয় গান শোনেন
হ শরীফ উদ্দীনের ল্যংটা বাবার গান আর ময়ূরীর বা বাংলা গরম মসলা ভালো লাগে । তবে আমাদের পাড়ায় মাঝে মাঝে গানের আসর বসে তাতে আমি নাছরীরেন লাহান ড্যাস্চ মারি
[১৪]পরিবারের বাধা দেয়ার কেউ নেই ?
কিজন্য , আমরা সবাই একই পথের পথিক । কোথায় যদি ধরা খাই তাহলে পরিবার সবার আগে সাপোর্ট দেয় ।
[১৫]সামনের দিনের প্লান কী ?
আমৃত্যু এ পেশায় থাকতে চাই । আর প্রতিটা ঘরে ঘরে আমার মত একজন মাগী বানাতে চাই । আর্শীবাদ করুন যাতে আমার চাওয়া পুরন হয় ।
বিষয়: বিবিধ
৫৫৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন