ফাডারেশন --------- ফাটবে

লিখেছেন লিখেছেন বাঘা ওসমান ০৪ নভেম্বর, ২০১৩, ০২:১১:৫৪ রাত

নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিবন্ধিত ছোট রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন এখন অস্তিত্ব সংকটে। এ দলের রাজপথে নেই কোনো কর্মসূচি। বাসার ফোন দিয়েই চলছে দলীয় কার্যক্রম। মূলত অধিকাংশ ছোট রাজনৈতিক দলের একই অবস্থা। অফিস থাকলে ফোন নেই। আর ফোন থাকলেও তা বাসায় ব্যবহার করেন দলীয়প্রধান। এসব নামসর্বস্ব দলের কোনো কর্মকাণ্ড নেই বললেই চলে। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৩৮টি। এর মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি রাজনৈতিক দল ছাড়া অধিকাংশ দলের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। নিবন্ধনের শর্ত অনুযায়ী এসব দলের কোনোরকম স্থায়ী ঠিকানা থাকলেও সেল ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে ব্যক্তিগত। আবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়গুলোকে কেউ কেউ বাসা হিসেবে ব্যবহার করছেন বলে জানা গেছে। জানা গেছে, শর্ত পূরণ করে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হলেও বর্তমানে অধিকাংশ দল ইসির সেই বিধি মানছে না। নিবন্ধন বিধি অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর দেশের এক-তৃতীয়াংশ জেলা কার্যালয় থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে বেশিরভাগ দলেরই তা নেই। এমনকি ওই দলগুলোর ২০০ উপজেলা পর্যায়ে কোনো কমিটি নেই। আবার এমন অনেক দল রয়েছে যাদের এ পর্যন্ত কোনো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হননি। কিন্তু এসব দল নিবন্ধিত হওয়ার স্বার্থে ইসিতে একটি দায়সারা গোছের সাংগঠনিক রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। ইসি সঠিকভাবে তদন্ত করলেই এ দলগুলোর নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিবন্ধিত ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে রয়েছে_ জাতীয় পার্টি জেপি (মঞ্জু), বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক পার্টি (জেএসডি), জাকের পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ ভাসানী), ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি প্রমুখ। এ সব দলের মধ্যে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই বললেই চলে। তবুও দলের একজন সিনিয়র নেতা দাবি করেছেন, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের শর্ত পূরণে ৪০টির বেশি জেলা কমিটি উল্লেখ করা হয়েছিল। এখন জেলা কমিটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০টিতে। আবার ১০০টির বেশি উপজেলা কমিটি রয়েছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে তরিকত ফেডারেশন কি কাজ করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে আমাদের সংগঠন জাতীয় ইস্যুতে কাজ করছে। রমজান মাসের ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। জানা গেছে, কাকরাইলের ভিআইপি রোডের ৮০/১নং বাসাতে চেয়ারম্যানের কার্যালয় অবস্থিত। চেয়ারম্যান আলহাজ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী ।

এই হল বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের অবস্থা । ঘর-বাড়ি নাই , কর্মী নাই , জনপ্রিয়তা নাই , কর্মসূচি নাই ।

এমন একটি দলের বেনামী এক কুত্তার দায়ের করা রীটে আজ তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করা হল ।

আফসোস যে সমস্ত আইনজীবি ও বিচারক এ রায়ের ব্যাপারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে কাজ করেছে তারা সব আন্দা গোলম ।

এই জারজ সন্তানরা এ দেশ থেকে ইসলামের নাম নিশানা মুছে দেয়ার প্লানে একের পর এক ইসলাম বিধ্বংসী রায় প্রদানের মাধ্যমে গোটা জাতিকে দু ভাগে বিভক্ত করে দিচ্ছে ।

আজ হোক কাল হোক ওই গোলামদের কঠিন বিচার হবে , তখন টাক্কু ছিলা , মাতাল আশরাফ , চোরা বাবু কি করে তোদের বাচায় রাখে তা বাংলার জনগন দেখবে ।

ইসলাম ও ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করার মানসে মুনাফিক সাদৃশ্য ফাডারেশনকে ব্যাবহার করে বাংলার মুসলমানদের বিরুদ্ধে দাড় করে দিয়েছে ।

তাই মাঝে মাঝে মৃগী রোগীর মত ফাডারেশন সরকারি মদদে কেমন জানি আলগা লাফ মারে ।

কুত্তার সহযোগী আর কত ভালো হতে পারে তা বাংলার তৌহিদি জনতা জেনে গেছে ।

তাই ভুটি কুত্তার মত ঘেউ ঘেউ না করে নিজেদের ঘটি-বাটি নিয়ে হাসিনার গুদামে ভর্তি হয়ে যান ।

না হলে যে পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছেন তাতে যদি ফেডারেশনের মা হাসিনা এলেও নেড়ী কুত্তা তরিকতের কোন প্রান জীবিত ফিরে যাবে না ।

কারণ হেফাজত মরতে শিখেছে , তাই তারা মারতেও পারবে ।

বিষয়: বিবিধ

১৬০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File