ধর , ধ্বংস কর ।

লিখেছেন লিখেছেন বাঘা ওসমান ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০১:০২:২০ রাত

দোষ আমরা মুসলিম । সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে অর্থ-সম্পদ , জ্ঞান-বিজ্ঞান ও বুদ্ধিতেও পিছিয়ে । সংখ্যার দিক থেকে বিরাট অংশের হলেও অনেক ক্ষেত্রে কৃত্রিম ভাবে আমাদেরকে দুর্বল করা হয়েছে । এ ছাড়াও নানাবিধ কারণে প্রতিনিয়ত সারা বিশ্বে মুসলমান মারার মহোৎসব চলছে ।

তবে যে বিষয়টি সাধারন মুসলমানের সহজে দৃষ্টিগত হয় তা হল , আজ সারা বিশ্বে যে মুসলিম নিধন পর্ব চলছে তার বেশির ভাগই নামদারী কিছু মুসলমান দ্বারা সংগঠিত হচ্ছে । তারা পশ্চিমা বিধর্মীদের কেনা গোলাম হয়ে স্বীয় ঈমান-আকিদা বিক্রি করে অপর মুসলমান কিংবা মুসলিম দেশে এরকম ভয়ানক হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে । যেমনটি চলছে সারা বিশ্বে মুসলিম নিধন , তার সংক্ষিপ্ত একটি বিবরণ :

নিজের দেশ দিয়ে শুরু । বর্হিবিশ্বের ডিজিটাল মডেলে সুজলা-সুফলা এই বাঙলাদেশে বাকশালী নায়ক মুজিব নেতার সুযোগ্য কণ্যা হাসিনার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সাঙ্গপাঙ্গ শাফলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের কর্মী বাহিনীকে যেভাবে রাতের আধাঁরে বাতি নিভিয়ে হত্যা করল তা ইসলামের ইতিহাসে আরেকটি কালো অধ্যায় । এ হত্যাকান্ডের কারণ হল , হাসিনা নামধারী মুসলিম সেজে র্পাশ্ববর্তী নমদের অনুসরনে যখন একের পর এক ইসলাম বিরোধী আইন পাশ করতে আরাম্ভ করল তখন ইসলাম প্রিয় সাধারণ মুসলামানরা হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা আহমদ শফী সাহেবের ডাকে প্রতিবাদের জন্য শাফলা চত্বরে মহাসমাবেশ করে ।

ইসলামী এ মহা জাগরণরই হাসিনা ও তার বকরী মার্কা রাম-বাম সম্প্রদায়ের টনক নড়ে য়ায । তাই খারাপ আত্মার ডাইনির মত হাসিনা ঐসকল ইসলাম প্রিয় সাধারন মুসলমানদের প্রতিহত করার মানসে ভাড়া করা বিএসএফ সহ দেশীয় সব বাহিনীর সমন্বয়ে “অপারেশন ফ্লাশ লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়ে স্বরণযোগ্য এ হত্যাকান্ডের সমাপ্তি ঘটায় ।

ঠিক হাসিনার মত মিশরের বর্তমান সেনা প্রধান । যিনি সেনা ক্ষমতার জোর ও ইসলাম বিরোধী পশ্চিমা বিশ্বের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে নির্বাচিত সরকার প্রধান মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে অবৈধভাবে একটি প্রতিষ্টিত গনতন্ত্রকে গলা টিপে মারছে প্রায় ।

এর প্রতিবাদে যখন গনতন্ত্রকামী সাধারণ মুসলিম রাজপথে নেমে আসল , তখন দেখা গেল সিসির ভয়ানক ও বিধ্বংসী এক রুপ ।

একের পর এক সামরিক অভিযান প্রেরণ করে প্রতিনিয়ত হাজারো সাধারণ মুসলমানের জীবন কেড়ে নিচ্ছে ।

এক্ষেত্রেও জাতিসংঘ সহ গনতন্ত্রের বিশ্ব দালালরা ঘাপটি মেরে এ নিধনযজ্ঞ অবলোকন করছে ।

এবার , র্বমা । অং সান সুচি দেশ । যিনি সারা বিশ্বে গনতন্ত্রের মানস কন্যা হিসেবে নিজেকে প্রমানিত করেছে । ঠিক তারই দেশে যখন উগ্র পন্থি ভিক্ষু সম্প্রদায় সংখ্যালঘু মুসলিমদের বাড়ি-ঘর , মসজিদসহ হাজারো মুসলমানদেরকে নির্বিচারে হত্যা করল ,তখন ঐ মহাজন নিশ্চুপ থেকে এ হত্যাকান্ডে মদদ দিয়েছে ।

এভাবে ফিলিস্তিন, লেবানন , ভারতের কাশ্মীর , আফগানিস্তান , ইরাক , বসনিয়া , চেচনিয়াসহ যেখানে মুসলিম বসতি সেখানেই মুসলিম নিধন কার্যক্রম ধারাবাহিক ভাবে চলছে ।

সম্প্রতি বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানা যায় নাইজেরিয়ার একটি মসজিদে গুলি করে অন্তত ৪৪ জনকে মুসুল্লিকে হত্যা করেছে বন্ধুকধারীরা। এখানেও শিকার মুসলমান ।

এরপর ফ্রান্সের গ্রোনদে এলাকার একটি মসজিদে উগ্র খ্রিস্টান নাতসিবাদীরা হামলা চালায়। এতে নিহতের ঘটনা না ঘটলেও মসজিদের একটি বিরাট অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় । উগ্র খ্রিস্টান নাতসিবাদীরা মসজিদের ভাঙ্গা অংশে ক্রুশের ছবি আঁকে এবং তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায়।

এরপরেও মানবাধিকারের দালালরা সাক্ষী গোপালের মত ভূমিকা পালন করছে । কারণ অন্য কোন ধর্মেরতো ক্ষতি হয়নি , হয়েছে শুধু মুসলমানের ।

এভাবে প্রতিনিয়ত মুসলিম ও ইসলামী ঐতিহ্য ধংসের মহড়া ও পরিকল্পনা চলছে । তাই আর সময় নেই আমাদের জাগতে হবে । নইলে অদুর ভবিষ্যতে মুসলিম অস্তিত্ব সংকটে পড়বে ।

বিষয়: বিবিধ

১৬০৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File