নারীর স্বাধীনতা এবং আমার অতি কথন
লিখেছেন লিখেছেন বাঘা ওসমান ২৯ আগস্ট, ২০১৩, ০৫:৫৫:৩২ সকাল
যারা নারী স্বাধীনতার পক্ষে আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই । কারণ তাদের কারনে আমি আজ বহু বন্ধনে আবদ্ধ । বাড়িতে , গাড়িতে , পার্কে , হোটেলে -মোটোলে, এমনকি অফিসেও নারীর অভাবনীয় ছোঁয়া । যা আমাকে প্রতিনিয়ত শিহরিত করে রাখে ।
নিজের চাহিদার পরিপূর্ন বিকাশ সাধন হচ্ছে , শুধুমাত্র ওদেরই কল্যানে । না হলে গোপনে আবডালে লুকোচুরির মত নিজের প্রবৃত্তির চাহিদা পূরণের জন্য নানা হয়রানি শিকার হতে হত ।
তবে এখনও পুরোপুরি নারীদের সর্ব স্বাধীনতা অর্জন হয়নি । তাই সময়ের চাহিদা অনুয়ায়ী ঐ মহান নারী নেত্রীরদের আরো খোলমেলা ভাবে এগিয়ে আসা উচিত ।
প্রশিক্ষণমূলক ভাবে নিজেরদেরকে সকলের মধ্যে সমভাবে প্রকাশ করুন , যাতে করে সমাজের বয়:বৃদ্ধ থেকে শুরু করে উঠতি তরুনরা সারা দিন আপনাদের দরজায় কড়া নাড়ে ।
প্রচার মাধ্যমগুলো নারীরদের ক্ষেত্রে কেমন জানি সেকেলে আচরন করে । এখনও তারা বাঙ্গালীয়ানা পোকাশে নারীদের উপস্থাপন করে যেটি সমকামী থুক্কু সমকালীন প্রগতিশীল নারীর জন্য অপমানজনক ।
এসব মিডিয়া যদি দিনের একটা রিরাট অংশ জুড়ে নারী মেলা , নারী খেলা , নারী আমি ও তুমি এবং নারীই আলো নামক প্রচার ধর্মী অনুষ্ঠান ব্যাপক ভাবে করত তাহলে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের চেয়েও নারী স্বাধীনতাকামীদের বেশি হত ।
আর একটা বিষয় হল ,যারা মুক্তিযুদ্ধের নব্য যোদ্ধা তাদেরকে উদ্যক্তা হিসেবে এ পথে আনাটা খুবই সহজ । কারণ স্বভাবতই তারা নারীদের প্রতিএকটু বেশি যত্নশীল । অল্পতেই সবাইকে আপন করে নিতে পারে । যার প্রমান আমরা শাহবাগ মোড়ে দেখিছি ।
তারা এতটাই নারী ভক্ত মনোভাবের ছিল যে থাকা-খাওয়া থেকে শুরু করে রাত্রি যাপন পর্যন্ত সব কিছুতেই নারীদেরকে সাথে সাথে রেখেছিল ।
তবে আশশ্চর্যের বিষয় হল শাহবাগ মোড়ে তাদের যে উন্মুক্ত সহবস্থান ছিল সেখানে আভ্যন্তরীন ভাবে কিছু মেয়েলী সমস্যার সৃষ্টি হলেও নারী স্বধীনতার প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার খাতিরে তা প্রকাশ করা হয়নি ।
যদিও বেনামি কয়েকেটি মিডিয়া তাদের সহজাতীয় ফুলশয্যা সম্পর্কে বিভ্রান্তীর দু:সাহস দেখিয়ে ছিল ।
ঐসব মিডিয়া দেশ , জাতি ও বিশেষ করে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার পথে যে বিরাট অন্তরায় তা আমাদের মাননীয় বর্তমান সরকার উপলব্ধি করতে পেরে অন্য একটি প্রেক্ষাপট সূচনার মাধ্যমে বাবার সুমহান আর্দশে উজ্জীবিত হয়ে বন্ধ করে দিল ,উন্নতির প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী চিহ্নিত কয়েকটি মিডিয়া । যদিও সমকালীন বাংলাদেশে বন্ধ হয়ে য়াওয়া ঐসব মিডিয়ার জনপ্রিয়তা সবার শীর্ষে ছিল ।
তবে আমাদের সরকার প্রধান যে বাবার গুনে গুন্বানিত তা তিনি সাক্ষাত প্রমান দিলেন । এটাও ঠিক যে তিনি নারী হিসেবে নারীর উন্নতির জন্য যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে বা প্রয়োগ কঠিন সিদ্ধহস্ত ।
বাংলাদেশে নারী স্বাধীনতার যেটুকু অর্জন তা এ সরকারের আমলেই অর্জিত হয়েছে । যেমন : ধর্মীয় নীতিকে উপেক্ষা করে শুধু মাত্র নারীর অধিকার ও স্বাধীনতার জন্য পত্তিৃক সম্পত্তির বিলি-বন্টনে নতুন রীতির বাস্তবায়ন ।
শিক্ষানীতিতে সেকেলে অধ্যায়ের বিলুপ্তি ঘোষনাপূর্বক যুগোপযোগী শিক্ষা তথা গান,নাচ, শিল্প-কলা, চারু-কলা ও অডিও-ভিডিও, পাইরেসী ,পর্নোগ্রাফি সহ মুক্তিযুদ্ধের বর্ণিল ইতিহাস অন্তরভুক্ত করা হয়েছে । এখানেও দেয়া হয়েছে নারীর সীমাহীন প্রাধান্য ।
শেখ হাসিনার তনয় সজীব ওয়াজেদ জয়ের পশ্চিমা সংস্কৃতির অভাবনীয় ভালবাসা ও অর্জনের অভিজ্ঞতার পূর্ন বাস্তবায়ন কল্পে পাশ্চত্য ধর্মী আধুনিকাতার মডেলে এদেশের নারীদেরকে
জাগিয়ে তুলতে আট-সাট বারো হাতি কাপড়ের এ কঠিন বন্ধন থেকে মুক্ত করার জন্য নানাবিধ পরিকল্পানা গ্রহন করা হয়েছে । যার প্রথম পদক্ষেপ হল , এদেশে বোরকা ব্রিক্রি বন্ধ করা ।
সুশীল বা বড় মাথার বুদ্ধিজীবীরাও এ মতের পক্ষে । এজন্যই জয়ের বক্তব্যের যথাযথ অনুসরণ মানসে উদয়ন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মাননীয় ভুমি মন্ত্রী রাজি উদ্দীন রাজুর (যিনি জনপ্রিয় মেয়র লোকমান হত্যার অভিযোগে কিছুটা বির্তকিত) স্ত্রী তার ছাত্রীদের ফুল হাতা কেটে হাফ হাতা বানিয়ে দিয়েছিলেন ।
অনেকেই এ বিষয়ের সমলোচনা করলেও আমি বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখেছি । কারণ ফুল হাতা মানে বেশি কাপড় আর বেশি কাপড় মানে বেশি অর্থ ব্যয় , তাই আমাদের অবিভাবকদের কথা চিন্তা করে এর বিরুদ্ধে কোন কথা বলা কারো উচিত ছিল না ।
আজ যদি সলোয়ার-কামিজের পরিবর্তে গেজ্ঞি ও হাফ প্যান্ট সকলে পড়ত তাহলে পড়াশুনার জন্য যে ব্যয়ভার তা অর্ধেকে নেমে আসত ।
এর ফলে প্রতিষ্টিত হত নারী অধিকার এবং বিকশিত হত নারী রুপ । ফলশ্রুতিতে নারীর উন্মুক্ত পদচারনায় পরিবর্তন হত বায়ান্ন হাজার বর্গ মাইলের এ ছোট্ট ভুমি ।
যেমনটির জন্য দেশের হাতে গোনা কয়েকজন নেত্রী দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে ।
আমরা যারা তরুন তারও স্বপ্ন দেখি কবে আমাদের দেশটা উন্নয়নের র্শীর্ষ শিখরে উন্নিত হবে । কবে এ দেশে নারীদের পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জিত হবে ।
তবে হতে পারে শাহবাগী ও তাদের অনুসরণীয় কিছু তরুনের কাছে নারীর স্বাধীনতা মজার উপজীব্য বিষয় । তারা মনে স্বপ্ন আঁকে এ অধিকার বাস্তবায়ন হলেই নারী আর পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ থাকবে না, তখন এক নারী হয়ে যাবে একশ জনের ।
নারী স্বাধীনতার অগ্রগতি যে হচ্ছে না এমনটি বললে বিরোধী পক্ষ আনন্দিত হয় । তাই আমরা বলব মন্তর গতিতেও হলেও এগিয়ে যাচ্ছে নারী । রমনা ও শিশু পার্ক ,সোহরাওয়ারর্দী উদ্যানসহ অভিজাত হোটল ,বার , ক্যাফে , ক্যাসিনোগুলোতে নারীদের সরব উপস্থিতি জানান দেয় তারা এগিয়েছে ।
আর বর্তমান সরকার পুত্র শুধু মাত্র নারী স্বাধীনতা সম্পর্কে বাংলাদেশী নারীদেরকে জাগ্রত করার জন্য ধর্মীয় অনুশাসনকে তুচ্ছ জ্ঞান করে ভিন দেশী অন্য ধর্মের এক নারীকে শাদী করেছে ।
এর দ্বারা তিনি বাঙ্গালী ললনাদেরকে বুঝাতে চেয়েছেন যে শুধু মানসিকাতা ও সৎ সাহস থাকলে জেগে ওঠা সম্ভব ।
ধীর গতিতেও হলেও নারী নেত্রীদের যে অদ্যম চেষ্টা তাতে একদিন না একদিন এ দেশ ইউরোপ-আমেরিকার মত নারী স্বাধীনতার দেশে পরিনত হবে । সেখানে থাকবে না কোন পারিবারিক বন্ধন , সামাজিক শৃংখলতা ও ধর্মীয় অনুশাসন । মুক্ত নারী তারা অঙ্কিত পাখনায় ভর করে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত চষে বেড়াবে ।
বর্তমানে নারীদের স্বাধীনতার পূর্ন বিকাশ না হওয়ার কারনে আজ জোর করে তাদের সম্ভ্রমহানি করা হচ্ছে । যদি স্বাধীনতা থাকত তাহলে হয়ত এমনটি হত না ।
নারীরা চাহিদা মত নিজের প্রবৃত্তি নিবারন করতে পারত যত খুশি তত বার । ফলে র্ধষন নামক শব্দটির মৃত্যু ঘটত ।
যার প্রমান স্বরুপ বলা য়ায় গত কয়েক দিন আগে ঐশির মনো বেদনার করুণ ইতিহাস । ঐ মেয়েটিকে যদি তার পূর্ন স্বাধীনতার মধ্যে বড় হওয়ার সুযোগ দেয়া হত , তাহলে হয়ত মাহফুজ দম্পতির জীবনকাল আরো দীর্ঘ হত ।
ধর্মীয় অনুশাসন অর্থ্যাৎ পর্দা মেনে চলা , একাই বের না হওয়া ইত্যাদি বিষয় মেয়েটার মনে যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিল , তা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় ছিল আমাদের নারী নেত্রীরদের বাতলানো কতিপয় সহজ নিয়ম ।
কিন্তু অধিকাংশ বাবা-মায়ের মত তারাও সন্তানের ভালো জন্য আরোপ করে কতিপয় নিয়ম তবে সেটিই যে কাল হবে তা কারো বোধগম্য হবার নয় ।
তাই নারী প্রগতিশীলদের মতে আপনার সন্তানদেরকে কখনও স্বীয় শাসন কিংবা ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে বড় করার মানসিকতা সৃষ্টি করবেন না । তাকে বড় হতে দিন নিজের মত করে । দেখবেন সে নিজে বিকশিত হয়েছে এবং জাতির একটা অংশকে সুখী করতে পেরেছে ।
তবে সংশয় জাগে নারী নেত্রীরা সংখ্যালঘু তারা কি পারবে ৯৩% ধর্মে বিশ্বাসী মুসলমানদের ঘর থেকে তাদের মেয়ে-বউকে তাদের অনুসারী বানাতে ।
আর এ দেশে বেশির ভাগ মানুষই ধর্মীয় অনুশীলনে দৃঢ় । যার প্রমান শাহবাগ মোড়ের নাস্তিক ব্লগাররা যখন একের পর এক আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরুদ্ধে কলম চালাল তখন এক আহমদ শফীর আহবানে লক্ষ কোটি মুসলিম তৌহিদি জনতা ঢাকা অবরোধ করল ।
দিয়ে দিল ১৩ দফার বিস্তর ফিরিস্তি । যারা বেশির ভাগ ধারাই আমাদের নারী নেত্রীদের বানানো সংবিধানের পরিপন্থি ।
তবে এ বৃহৎধর্ম প্রান তৌহিদি জনতা ধর্মীয় নিয়ম মেনেই নারীর স্বাধীনতার পক্ষে ।
ফলে আপমর জন সাধারন তাদের এ মতকে পূর্ন সমর্থন করেছে ।
যেটা আমাদের পরিচিত নারী স্বাধীনতার অগ্রপতিক রোকেয়া প্রাচী (শুধু মাত্র নারীদের পক্ষে কাজ করার জন্যই আসিফ নজরুল ইসলামের বিবাহ বিচ্ছেদ করেছেন) , খুশি কবির , হামিদা বানু , মিতা হক , নাচরিন জাহান , সুলতানা কামাল , অপু উকিল,কাবেরী গায়েন ও মুন্নি সাহারা আহমদ শফীর ১৩ দফাকে মধ্য যুগের অশুভ সূচনা বলে উল্লেখ করেছেন ।
পরিশেষে বলতে চাই আমি আমার মা-বোনকে এ স্বাধীনতার কাহিনী বলতেও চাই না পড়াতেও চাইনা । আপনাদের ইচ্ছা থাকলে রাস্তার মোড়ে মোড়ে মঞ্চ বানিয়ে তা প্রচার করুন ।
বিষয়: বিবিধ
১৫৯৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন