কি দিয়ে কি ঢাকে

লিখেছেন লিখেছেন বাঘা ওসমান ০৭ আগস্ট, ২০১৩, ০৬:০৩:০৬ সন্ধ্যা

বাংলাদেশে যখন শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি , সাগর-রুনি হত্যাকান্ড , পিলখানা বিদ্রোহ ,সাভার ট্রাজেডি , তত্ত্বাবধায়ক সরকার, পদ্মা সেতু , হাজারো খুন ও গুমের সচিত্র ঘটনা , বিরোধী দলকে নিচিহ্ন করতে দমন-নিপীড়নের স্টীম রোলার ,কিংবা হলমার্কের মতো পাহাড় সমান ইস্যু সেগুলোর কোন সুষ্ঠ কিংবা নিরপেক্ষ বিচার ছাড়াই ক্ষমতাশীল বাকশাল সম্প্রদায় নিজেদের এ মহান অর্জনগুলো পাথরচাপ দেয়ার জন্য তাদের বন্ধু প্রতিম মা ভারতীর নির্দেশে গঙ্গা স্নান শেষে ফের বীর হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার জন্য একাত্তরের শত্রু নিধন নামে নয়া ধারাবাহিক নাটক জাতির সামনে শাহবাগ থেকে সরাসরি সম্প্রচার শুরু করল । এ মহতী পর্বে অভিনয়ের সুযোগ পেল ডাণ্ডাবাজ ও টেন্ডার খেকো ছাত্রলীগ, কুখ্যাত ব্যাংক লুটকারীর প্রতিষ্টিত যুবলীগ এবং নিজ আড়তে পালিত সাংস্কৃতিক ও সুশীল কর্মীরা। আর সরকারী অর্থে লালন-পালন করার শর্তে কিছু নেশাগ্রস্ত তরুণ-তরুনীকে যতেচ্ছা ব্যবহার করা হল দিন-রাত । শুরু হল বেহুলার মহা কীর্তন ।

তবে যে কারনে আফসোস হয় , তাহল এই মেগা ভারতীয় সিরিয়াল যাদের প্রযোজনা ও নির্দেশনায় মঞ্চত্ব হল সেই শাহরিয়ার কবির কিংবা মুনতাসির মামুনরা কিন্তু যুদ্ধে অংশ নেননি এবংএদের পূর্ব পুরুষ শহীদ মুনির চৌধুরী, কবির চৌধুরী, সরদার ফজলুল করিমের মতো চিহ্নিত ব্যক্তিরাও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছিলেন।

কিন্ত ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস দেশের জন্য যারা সর্বশক্তি নিয়োগ করে সর্বস্ব বিলীন করে এ বাংলা আমাদেরকে উপহার দিয়েছিল তারা আজ নব্য দালাল স্বরুপ মুক্তিযোদ্ধাদের ভয়ানক দাপটে হয়ত কোন নির্জন কঠোরে বা নিভৃত পল্লীতে নির্বাসিত জীবন-যাপন করছে । সত্যিকারের এ মুক্তিযোদ্ধারা কখনও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুঁজি করে বিভেদ ও হানাহানিতে লিপ্ত হননি।বরং ঐ চোরেরা আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দলীয় সম্পত্তি বানিয়ে ফেরি করে পাড়ায়-পাড়ায় বিক্রি করতেছে , এদের সত্যিকার স্বরুপ উন্মোচন করতে হবে । যদি এই শক্তির স্বরূপ উদঘাটন করতে আমরা তরুণরা ব্যর্থ হই তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা থাকবে না। বাংলাদেশ পরিণত হবে ভারতের একটি প্রদেশ । যা হবে ক্ষমতাশীল নেত্রীর চাওয়ার পূর্নতা । আর এ জন্যই বাকশালী শাসকদল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নাম করে বাক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অঘোষিত আন্দোলন শুরু করেছে । যার ফরশ্রুতিতে বন্দ করে দেয়া হল আমার দেশ সহ দিগন্ত ও ইসলামিক টিভি ।

তবে এই বাকশালীদের ভয়ানক কবল থেকে যদি এখনই এ সোনার বাংলাকে উদ্ধার না করা হয় তাহলে বিপর্যয় ও গৃহযুদ্ধ অনিবার্য ।

শাহবাগের এ মোটা ফসল শেখ হাসিনা ঘরে তুলতে ব্যতি ব্যস্ত । তবে এ নাটকের শেষ দৃশ্যগুলো যে দেশকে সহিংসতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে বেশ অনুমেয় ।

তাই ঐ দুঃসময় আসার আগেই আমরা যারা দেশপ্রেমিক আমাদের করণীয় হল সুদৃঢ় ঐক্য ও সংহতির মধ্য দিয়ে দেশ রক্ষার কাজটি ঠিকমত সম্পাদন করা ।

বিষয়: বিবিধ

১১০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File