জ্ঞানী-গুনীর জন্মস্হান আর প্রাকৃতিক সৌন্দয্য ও সম্পদের অপর নাম রামগতি-কমলনগর।ছবি ব্লগ। (মিজানুর রহমান)
লিখেছেন লিখেছেন কিং মেকার ০৮ নভেম্বর, ২০১৩, ০২:১৬:৫৩ রাত
আপন জন্মভুমি কে নিয়ে সবাই গব করে।কারন নিজ জন্মস্হান সবার নিকট সবসময় অতি পবিএ ও মযাদার ।যখন সেই পবিএ ভূমি রাতারাতি মেঘনা নামক রাক্ষসী নদীর পেটের খোরাক হয়ে যায়।আর নিঃস্ব ও অসহায় করে দেয় খেটে খাওয়া আর শ্রমজীবি মানুষের শেষ সম্বল বসত-ভিটাটুকু।এই অসহায় মানুষ গুলির করুণ আতনাদে আমার প্রিয় রামগতি-কমলনগরের আকাশ বাতাস ভারী হয়ে গেছে !কিন্তু রামগতি-কমলনগরের গভে জন্ম নেয়া বিওশালীদের কণকুহুরে খেটে খাওয়া মানুষদের এই অসহায় আতনাদ পৌছে না !কারণ তারা তাদের গভধারীনি মাকে বৃধ্বাশ্রমে দিয়ে দিয়েছেন।যদি তাই না হয় তাহলে কেন ছাএ-জনতা নদীর হাত থেকেরামগতি-কমলনগর কে বাঁচানোর জন্য দিন-রাত অনেক কষ্ট করে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছে ?উপরুন্ত তাদেরকে মামলা-হামলার ভয় দেখিয়ে আন্দোলন থেকে বিরত রাখার ব্যাথ চেষ্টা করা হচ্ছে !কিন্তু তারা ভুলে গেছে আজকের এই বাংলাদেশে ছাএ-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমেই সব দাবী-দাওয়া আদায় করা হয়েছে।রামগতি-কমলনগরকে মেঘনার ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করার যে আন্দোলন শুরু হয়েছে সে আন্দোলনের সফলতা না নিয়ে আমরা ঘরে ফিরে যাবনা যাবনা ইনশাআল্লাহ।প্রয়োজনে নিজ মাতৃভূমির জন্য নিজের জীবন দিতেও কুন্ঠাবোধ করবোনা।
পরিশেষে রামগতি-কমলনগরের খেঁটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষদের জন্য এবং রামগতি-কমলনগর উপজেলা রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহানূভুতির হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য রামগতি-কমলনগরবাসীর পক্ষ থেকে বিনীতঅনুরোধ রইল।
আমার রামগতি- কমলনগর ।আমার গর্ব।
মৌসুমী শ্রমিকদের সারিবদ্ধ ভাবে ধানের পুটলি মাথায় করে আনার দৃশ্য।
রামগতি-কমলনগর উপজেলার একমাত্র স্বয়ংসম্পূর্ন ফ্যাক্টরী এটি।
ছবিতে মহিষ ও এর বাচ্চা দুধ পানরত।
রানী ভবানী সাহার মঠ।
রামগতির দ্বিতীয় গর্বের নদী ভুলুয়া। নতুন করে খনন করায় এখন তার পূর্ন যৌবন চলছে।
রামগতির ঐতিহ্য শীতল পাটি। নিজ বাড়িতে বোনা সেই শীতল পাটিই বেড়ী'র উপর বিক্রি করছেন এক বিক্রেতা। আছেন কয়েকজন ক্রেতাও।
রামগতি উপজেলার অতি পরিচিত ভুলুয়া নদী। উপজেলার দক্ষিন ও পুর্ব পাশ দিয়ে বয়ে গেছে এটি।
রামগতি উপজেলার অতি পরিচিত পুষ্টিকর খাবার কাঠ বাদাম।
কাঠ বাদাম কে আপনী ফল বলবেন না শস্য বলবেন কিংবা মসলা বলবেন তা আপনার ব্যাপার।
খালে পাতানো বিন্দি জাল। ফেলার অপেক্ষায় জেলে।
রামগতি-কমলনগরের প্রাকৃতিক সৌন্দয্য ।
রামগতি-কমলনগর উপজেলার প্রধান সড়ক।
মাছ ধরে আসা নৌকায় অলস সময় কাটাচ্ছে জেলে। মেঘনার বুকে এরকম হাজারো দৃশ্য দেখা মেলে রোজই।
প্রচুর ভিটামিন ও পুষ্টিকর সবজি করলা চাষ হয় উপজেলার সবএ।
আগুন ও আলকাতরা দিযে় নৌকা সারাইযে় ব্যস্ত মাঝিরা। ছবিটি মেঘনা নদীর তীর থেকে তোলা।
রামগতি উপজেলার মেঘনা নদীতে এক জেলের মাছ ধরার অসাধারন ছবি।
মেঘনার তীর।
মেঘনার রুপালী ইলিশ খাওয়ার আমন্ত্রন রইল সবাইকে।
নদীর কূল নাই কিনারা নাই।
নদীতে জাল ফেলা অবস্থায় ভাসমান একটি ইঞ্জিনচালিত নৌযান।
রাস্তা থেকে নদীর বর্তমান দূরত্ব।
পরকালীন জীবনে একজন মানুষের শেষ ও চিরস্থায়ী আবাস্থল হলো কবর। এ এক চরম সত্য চিরস্থায়ী শেষ ঠিকানা কবরটাও অবশেষে ভাঙ্গনের মুখে।
রামগতি বিশ শয্যা বিশিষ্ট্য হাসপাতালটির কথা একবার ভাবুন তো! আপনার কাছে কেমন লাগে বা লাগছে? যে হাসপাতালটি পূর্নাঙ্গ চালু হওয়ার মাত্র তিন বছরের মাথায় রাক্ষুসে মেঘনার পেটে যাওয়ার জন্য অপেক্ষমান। নদী থেকে এর দূরত্ব মাত্র কযে়ক গজ। যে কোন সময় মিশে যেতে পারে মেঘনা গর্ভে।
https://www.facebook.com/profile.php?id=100000138098402
https://www.facebook.com/rahman.mizu?ref=tn_tnmn
বিষয়: বিবিধ
২৩১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন