"তোমরা যারা ককটেল ফুটাও" জাফর ইকবাল।
লিখেছেন লিখেছেন কিং মেকার ০১ নভেম্বর, ২০১৩, ০৯:৪৫:৫২ রাত
সেদিন এক ছাত্রীর সাথে বসে 'আশিকী ২ ' মুভিটা দেখছিলাম।সাথে সাথে ছাত্রীকে বাংলার আবহমান সংস্কৃতি,লৌকিক উৎকর্ষতা,বাঙ্গালিত্বের উপকরন ইত্যাদি বুজাচ্ছিলাম।
মুভিটা খুব একটা স্পর্শকাতর এসেছে এমন সময় 'টুশ্ִ করে গগন বিদারী আওয়াজ হলো।আমি ভয়ে ছাত্রীর উপর হুমড়ী খেয়ে পড়লাম।
পরে বারান্দায় বেরিয়ে দেখি কয়েক জন তরুণ ককটেল ফুটিয়ে দৌড়াচ্ছে।
আমি তরুণদের এই কাজে হতাশ হলাম।
আমি তরুণদের বলি তোমরা খাটি বাঙ্গালী হও।কিন্তু তোমরা যখন ককটেল ফুটাও তখন আমি অবাক হই।যেই হাতে প্রেমিকার হাত থাকার কথা,যেই হাতে প্রেমিকার চোখের অশ্রু মুছে দেবার কথা,সেই হাত দিয়ে তোমরা যখন ককটেল ফুটাও তখন আমি খুব কষ্ট পাই।
তোমরা এতটা বিপথে গেলে কীভাবে?
আমার এক কলিগের সাথে ভার্সিটিতে কথা হচ্ছিল।তিনি এক সময় ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন।তিনি বললেন যে তারা হরতালে এভাবে ককটেল ফুটাতেন না।তারা মূলত গান পাউড়ার দিয়ে বাস পুড়িয়ে মানুষ মারতো আর অফিসগামী কর্মচারীদের প্যান্ট খুলে উলঙ্গ করতো।
আমি এটা সমর্থন করি।কেননা মানুষ মেরে ফেললে অধ্যায় শেষ,তার আর কোন চিন্তা থাকে না।কিন্তু তোমরা যখন ককটেল ফুটাও,তখন ককটেলের আঘাতে চোখ হারানো,হাত হারানো মানুষদের বাকী জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে।
উফ! এত কষ্ট নিয়ে ওই মানুষরা কিভাবে বেচে থাকে।আমার নেত্র কোনায় অশ্রু এসে গেল। সেজন্যই আমি আওয়ামী লীগকে পছন্দ করি।তারা মানুষকে আহত না করে একেবারে কুপিয়ে মেরে ফেলে না হয় গান পাউড়ার দিয়ে পুড়িয়ে মেরে ফেলে কেননা আহত করলে বাকী জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে।
এরকম মানবিকতা জামাত-শিবিরের মৌলবাদীদেরও থাকা দরকার।
তাহাড়া ককটেল ফুটানোটা শব্দদূষন করে,বায়ু দূষন করে।(৫ মে হেফাজত কর্মীরা যেভাবে পরিবেশ দূষন করেছিল)
এসব অসভ্য সমাজের কাজ।আমরা সভ্য সমাজে বাস করি।
ছাত্রলীগ চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মানুষ মেরে ফেলে,এতে পরিবেশ দূষন হয় না।
তাই তো আমি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কিছু লিখি না,তারা অনেক বেশী পরিবেশ সচেতন।
তাছাড়া ককটেল ফুটানোর আওয়াজে প্রেমিক-প্রেমিকার একান্ত মুহূর্ত বাধাগ্রস্ত হয়।
এই যেমন আমি আর আমার ছাত্রীর একান্ত সময়ে ককটেলের আওয়াজ সমস্যার সৃষ্টি করলো,আশিকী ২ মুভিটাও শান্তিতে দেখতে দিল না।
বিষয়: বিবিধ
১৮২০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন