একটি অপরিকল্পিত জীবনের অগোছালো কাহীনী। (মিজানুর রহমান) পর্ব-০৬।
লিখেছেন লিখেছেন কিং মেকার ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১২:৫৯:৪৭ রাত
বিপদ আমার পিছু ছাড়ছেনা কিছুতেই !কারন লন্ডনে আমাকে কে রিসিব করবে ,কোথায় থাকব ?তা ঠিক না করেই আমাকে দেশ তাগ করতে হলো!এত সমস্যা নিয়ে মানুষ থাকে কেমনে !আমার মেঝ ভাই উনার সাবেক কমী শাকিল ভাইর নাম্বার সংগ্রহ করলেন আমার সাংবাদিক ফোরামের প্রশিক্ষণ সম্পাদকএবং আমার সহযোদ্বা নূরনবী রনি ভাইর কাছ থেকে।শাকিল ভাই একবছর হলো লন্ডনে আছেন ,নূরনবী রনি ভাইর বন্ধু।নূরনবী রনি ভাই বিদেশ আসার জন্য যে জিনিস ছাড়া বিদেশ আসা যায় না ,সেই পাসপোট তৈরীর সময় আমার অনেক বড় উপকার করেছেন ।যার জন্য আমি এ ভাইয়ের নিকট কৃতজ্ঞ।আরেকজন বড় ভাই অনেক দিন থেকে লন্ডনে থাকেন,উনার নামও কিন্তু শাকিল !আমার এলাকার শিক্ষকের ছেলে।এই শাকিল ভাইয়ের একমাএ ছেলে সানজিদ কে আমি পড়াতাম, ওদের বাসা ছিল গেন্ডারিয়াতে।আমি তখন সূএাপুর থানায় সংগঠন করতাম ।সেই সূএে শাকিল ভাই আমাকে চিনতেন।আর শিক্ষক হওয়ার সুবেদে উনাদের পরিবারের সদস্যর মতই হয়ে গেলাম।শাকিল ভাইর নম্বার সংগ্রহ করলাম।কিন্তু দুই শাকিল ভাইর কাউকেই আমাকে রিসিব করার জন্য বলা হয়নি।!এত বড় ভুল কেন হলো জানিনা !তবে আমার অসুস্হতাই দায়ী বলে মনে হচ্ছে এই ভুলের জন্য দায়ী !সবাই আপন মনে দুবাই বিমানবন্দর ঘুরে ঘুরে বিমানবন্দরের সৌনদয উপভোগ করছে ,আর কেউ কেউ সুন্দর সময় গুলো ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দি করে রাখছে।আর আমি শুধু অপলক দৃষ্টিতে বসে বসে সবার আনন্দ করার ধরন দেখছি !আর চোখে র পানিতে নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করছি।আমার একসময় নিজের সম্পকে ধারনা ছিল আমি বোধহয় প্রিয়জনর বিয়োগেও কাঁদতে পারবোনা।!কিন্তু আমার সে ধারনা যে ভুল ছিল তা দেশ ত্যাগ করার সময় বুঝতে পারলাম।আর বসে বসে বিভিন্ন দোয়া পড়তে লাগলাম আসন্ন নিশ্চিত বিপদের কথা মনে করে ।চিন্তার জগতে হারিয়ে গেলাম আমার সুন্দর একটা স্বপ্নের অপমৃত্যুর কথা ভেবে যা এখনো অন্কুরে রয়ে গেল!দেখতে দেখতে আবার বিমানে উঠার সময় হয়ে গেল।লন্ডন সময় সন্ধ্যা ০৬টায় বিমান অবতরণ করল পৃথীবীর অন্যতম ব্যাস্ত বিমানবন্দর হিথ্রো বিমানবন্দরে।বিমান থেকে বের হয়ে চললাম ইমিগ্রেশনের দিকে ,যেখানে আমার জন্য অপেক্ষা করছে সমূহ বিপদ !যতই সামনে পা বাড়াচ্ছি ততই আমার জ্বরের ডিগ্রী বাড়ছে বলে অনুভব করলাম !যাই হোক ইমিগ্রেশনের সামনে দেখলাম শতশত বাংলাদেশী।সবাই যার যার ইমিগ্রেশন শেষ করে বের হয়ে যাচ্ছে ।কিন্তু যখনই আমার পালা আসে ইমিগ্রেশনের জন্য ;তখন আমি আবার লম্বা লাইনের একদম পিছনে চলে যাই।এভাবে লুকোচুরি খেললাম ইমিগ্রেশন কমকতাদের সাথে !একসময় দেখি লাইনে আমি ছাড়া আর কেউ নেই !এবার আর পালানোর কোন পথ খুঁজে পেলাম না!আর কত ?তারপরও ভিতরে এদিক -ওদিক ঘুরা-ঘুরি করলাম কিছুক্ষণ।এরইমধ্যে দেখলাম একটা ছেলে আর একটা মেয়ে কান্নাকাটি করছে ইমিগ্রেশনের ভিতর এক সিকিউরিটি গাডের নিকট।আমি তাদের কাছে গিয়ে চুপচাপ দাঁড়ালাম এবং তাদের সমস্যার কথা শুনলাম।দেখলাম তাদের সমস্যার সাথে আমার সমস্যার মিল আছে !তাদের কাগজপএ গুলো লাগেজের মধ্যে ছিল ভুলবশত ,আর আমার কাগজপএ বাংলাদেশে আমার বাসায় রেখে আসলাম।!ব্যাবধান এখানেই।পরে সিকিউরিটি গাডের মনে দয়ার উদ্রেক হলো মেয়েটির কান্নার কারনে।মেয়েদের কান্না আমিও সহ্য করতে পারি না।!কান্না দেখলে আমার মধ্যে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর প্রবল আগ্রহ দেখা দেয় !আমি কারো কষ্ট সইতে পারি না।!!!
বিঃদ্রঃ-আমার লেখা অনেকর কাছে বেহুদা পেঁচাল মনে হতে পারে। তাদের কাছে বিনীত অনুরোধ আমার এই লেখা আপনার জন্য না।!!!চলবে..........বিপদ আমার পিছু ছাড়ছেনা কিছুতেই !কারন লন্ডনে আমাকে কে রিসিব করবে ,কোথায় থাকব ?তা ঠিক না করেই আমাকে দেশ তাগ করতে হলো!এত সমস্যা নিয়ে মানুষ থাকে কেমনে !আমার মেঝ ভাই উনার সাবেক কমী শাকিল ভাইর নাম্বার সংগ্রহ করলেন আমার সাংবাদিক ফোরামের প্রশিক্ষণ সম্পাদকএবং আমার সহযোদ্বা নূরনবী রনি ভাইর কাছ থেকে।শাকিল ভাই একবছর হলো লন্ডনে আছেন ,নূরনবী রনি ভাইর বন্ধু।নূরনবী রনি ভাই বিদেশ আসার জন্য যে জিনিস ছাড়া বিদেশ আসা যায় না ,সেই পাসপোট তৈরীর সময় আমার অনেক বড় উপকার করেছেন ।যার জন্য আমি এ ভাইয়ের নিকট কৃতজ্ঞ।আরেকজন বড় ভাই অনেক দিন থেকে লন্ডনে থাকেন,উনার নামও কিন্তু শাকিল !আমার এলাকার শিক্ষকের ছেলে।এই শাকিল ভাইয়ের একমাএ ছেলে সানজিদ কে আমি পড়াতাম, ওদের বাসা ছিল গেন্ডারিয়াতে।আমি তখন সূএাপুর থানায় সংগঠন করতাম ।সেই সূএে শাকিল ভাই আমাকে চিনতেন।আর শিক্ষক হওয়ার সুবেদে উনাদের পরিবারের সদস্যর মতই হয়ে গেলাম।শাকিল ভাইর নম্বার সংগ্রহ করলাম।কিন্তু দুই শাকিল ভাইর কাউকেই আমাকে রিসিব করার জন্য বলা হয়নি।!এত বড় ভুল কেন হলো জানিনা !তবে আমার অসুস্হতাই দায়ী বলে মনে হচ্ছে এই ভুলের জন্য দায়ী !সবাই আপন মনে দুবাই বিমানবন্দর ঘুরে ঘুরে বিমানবন্দরের সৌনদয উপভোগ করছে ,আর কেউ কেউ সুন্দর সময় গুলো ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দি করে রাখছে।আর আমি শুধু অপলক দৃষ্টিতে বসে বসে সবার আনন্দ করার ধরন দেখছি !আর চোখে র পানিতে নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করছি।আমার একসময় নিজের সম্পকে ধারনা ছিল আমি বোধহয় প্রিয়জনর বিয়োগেও কাঁদতে পারবোনা।!কিন্তু আমার সে ধারনা যে ভুল ছিল তা দেশ ত্যাগ করার সময় বুঝতে পারলাম।আর বসে বসে বিভিন্ন দোয়া পড়তে লাগলাম আসন্ন নিশ্চিত বিপদের কথা মনে করে ।চিন্তার জগতে হারিয়ে গেলাম আমার সুন্দর একটা স্বপ্নের অপমৃত্যুর কথা ভেবে যা এখনো অন্কুরে রয়ে গেল!দেখতে দেখতে আবার বিমানে উঠার সময় হয়ে গেল।লন্ডন সময় সন্ধ্যা ০৬টায় বিমান অবতরণ করল পৃথীবীর অন্যতম ব্যাস্ত বিমানবন্দর হিথ্রো বিমানবন্দরে।বিমান থেকে বের হয়ে চললাম ইমিগ্রেশনের দিকে ,যেখানে আমার জন্য অপেক্ষা করছে সমূহ বিপদ !যতই সামনে পা বাড়াচ্ছি ততই আমার জ্বরের ডিগ্রী বাড়ছে বলে অনুভব করলাম !যাই হোক ইমিগ্রেশনের সামনে দেখলাম শতশত বাংলাদেশী।সবাই যার যার ইমিগ্রেশন শেষ করে বের হয়ে যাচ্ছে ।কিন্তু যখনই আমার পালা আসে ইমিগ্রেশনের জন্য ;তখন আমি আবার লম্বা লাইনের একদম পিছনে চলে যাই।এভাবে লুকোচুরি খেললাম ইমিগ্রেশন কমকতাদের সাথে !একসময় দেখি লাইনে আমি ছাড়া আর কেউ নেই !এবার আর পালানোর কোন পথ খুঁজে পেলাম না!আর কত ?তারপরও ভিতরে এদিক -ওদিক ঘুরা-ঘুরি করলাম কিছুক্ষণ।এরইমধ্যে দেখলাম একটা ছেলে আর একটা মেয়ে কান্নাকাটি করছে ইমিগ্রেশনের ভিতর এক সিকিউরিটি গাডের নিকট।আমি তাদের কাছে গিয়ে চুপচাপ দাঁড়ালাম এবং তাদের সমস্যার কথা শুনলাম।দেখলাম তাদের সমস্যার সাথে আমার সমস্যার মিল আছে !তাদের কাগজপএ গুলো লাগেজের মধ্যে ছিল ভুলবশত ,আর আমার কাগজপএ বাংলাদেশে আমার বাসায় রেখে আসলাম।!ব্যাবধান এখানেই।পরে সিকিউরিটি গাডের মনে দয়ার উদ্রেক হলো মেয়েটির কান্নার কারনে।মেয়েদের কান্না আমিও সহ্য করতে পারি না।!কান্না দেখলে আমার মধ্যে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর প্রবল আগ্রহ দেখা দেয় !আমি কারো কষ্ট সইতে পারি না।!!!
বিঃদ্রঃ-আমার লেখা অনেকর কাছে বেহুদা পেঁচাল মনে হতে পারে। তাদের কাছে বিনীত অনুরোধ আমার এই লেখা আপনার জন্য না।!!!চলবে..........
বিষয়: বিবিধ
২২৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন