আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর মাঝে বিন্দুমাত্র লজ্জা খুজতে গিয়ে আমি বার বার নিজেই লজ্জিত হয়েছি।

লিখেছেন লিখেছেন কিং মেকার ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০২:৩৮:১৪ রাত



;

পুলিশের বুটের তলায় হাসিনা খুঁজে পেলেন বেহেস্ত(বিশ্বশান্তির মডেল)

শুনেছি নারীদের লজ্জা নাকি পুরুষের তুলনায় বেশী হয়ে থাকে। নারীরা প্রকৃতিগত ভাবেই নাকি একটু বেশী লাজুক। সমাজে এর বাস্তবরুপ ও আমরা দেখে থাকি। কিন্তু যদিও কতটুকু লজ্জা থাকলে কাউকে লজ্জাশীল কিংবা লজ্জাশীলা বলা যায় তা আমার জানা নেই। তবে আমি নিশ্চিত, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নির্লজ্জ যদি হাসিনাকে দেখে তাহলে দেখার পর লজ্জায় তার মাথা অবনত হয়ে যাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

মাননীয় শেখ হাসিনা জাতিসংঘে ৬৬ তম সাধারণ অধিবেশনে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ৬ দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন। জাতি হিসেবে নিঃসন্দেহে এই প্রস্তাব আমাদের জন্য গর্বের বিষয় । যদিও এমন গর্বের ভাগিদার আমরা কেউই হতে চাই না। যে গর্বে আমদের মাথা নত হয়ে যায়। পুরো বিশ্ব যখন আজ প্রত্যক্ষ করে পুলিশের বুটের তলায় পিষ্ট হয়ে ছটফটিয়ে মরে বাংলাদেশের গণতন্ত্র।

তখন তাদের মনে কি প্রশ্ন জাগেনা হাসিনা কোথায় পেলেন এই (বিশ্বশান্তির মডেল) ?। তিনি কি

পুলিশের পদতলে (বুটের তলায়) খুঁজে পেয়েছেন বেহেস্ত (বিশ্বশান্তির মডেল)। জাতি হিসেবে স্বাধীন দেশের একজন সাধারন নাগরিক হয়ে আমরাও তা জানতে চাই ?

বাংলাদের সমস্ত মানুষ যখন অশান্তির সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে, জীবনের কোন একটি ক্ষেত্রেও যখন শান্তির আর অবশিষ্ট নাই, তখন তার এই (বিশ্বশান্তির মডেল) উপস্থাপন পুরো জাতিসহ বাংলাদেশটাকে বিশ্বের সামনে আরেকবার লজ্জায় মাথা নত করে দিয়েছে।জাতি হিসেবে এ লজ্জা আমাদের কেউরই কাম্য ছিল না।

নির্লজ্জ হাসিনার লজ্জাবিহীন রাজনীতিতে পুরো দেশটা আজ আবদ্ধ হয়ে আছে। বিশেষ করে গলা বুটের তলায় পিষ্ঠ করে কি করে বিরোধী মতের সমর্থকদের কন্ঠ স্তব্ধ করে দেয়া যায়, কি করে নিরস্ত্র একজন বিরোধী মতের সমর্থককে গলির মাঝে অবরুদ্ধ করে চারিদিক থেকে ঘিরে পিটিয়ে পিটিয়ে মৃত্যুর দুয়ারে হাকিয়ে নেয়া যায় আর এভাবেই যেন পুলিশের বুটের তলায় পিষ্ট হয়ে ছটফটিয়ে মরে বাংলাদেশের গণতন্ত্র। আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভাড় অথবা ভারপ্রাপ্ত) সাজেদা চৌধুরী অতীতের মতো এবারো প্রকাশ্য জনসভায় বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। দলীয় ক্যাডারদের আহ্বান জানিয়েছেন দেশের প্রতিটি পাড়ায় মহল্লায় বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে। তার ভাষায় : “একাত্তরের পর জামায়াত-শিবিরকে আমরা ছেড়ে দিয়েছিলাম। এবার আর ছাড়ব না। যাদের ধরা হয়েছে, তাদের বিচার করা হবে। আর বাকিদের মানুষের হাতে ছেড়ে দেয়া হবে। রাজাকারদের ভর্তা করে না খেয়ে আমরা বাড়ি ফিরে যাব না আর তার এমন জঙ্গীমুর্তি দেখে আতংকিত হয়ে পড়ে দেশবাসী, প্রবীনদের চোখে ভেসে ওঠে স্বাধীনতা পরবর্তী বাকশালের পৈশাচিকতার বিভৎস্য দৃশ্য, ভেসে ওঠে রক্ষিবাহীনির বর্বরতায় ক্ষতবিক্ষত বাংলার মুখ।

ভয়ঙ্কর কালো মেঘে আজ ঢেকে আছে পুরোদেশ, হয়তো সামনে রয়েছে কঠিন সমর। ভূমিকম্পের পরে আসে সুনামী, কেড়ে নিতে চায় অপ্রস্তুত জনতার সম্বল। তাই এখন সময় দৃঢ়পায়ে ঘুরে দাড়াবার, এখন সময় ধাবমান প্রলয়ংকরী সুনামী প্রতিরোধের। কান্ডারী হুশিয়ার।

বিষয়: বিবিধ

১১২২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File