ভারতে ধষন হলে কোন দোষ মনে করি না।
লিখেছেন লিখেছেন কিং মেকার ২২ আগস্ট, ২০১৩, ১১:৩৯:১১ রাত
সকাল বা সন্ধে৷ দক্ষিণ কলকাতার ব্যস্ততম বাজার৷ সেখানে রিক্সা চড়ে বাজার করতে যান টালিউড অভিনেত্রী ঋ৷ যাঁর আগের ছবি ‘গান্ডু’ নিয়ে শহর জুড়ে উত্তেজনা, আর আগামী ছবি ‘তাসের দেশ’ নিয়ে শহর জুড়ে আগ্রহ, কিছুটা এক্সপেকটেশনও৷
ঋ বলছেন, ‘যে রিক্সওয়ালার রিক্সায় চড়ে বাজার যাচ্ছি, সে হয়তো ‘গান্ডু’ দেখেছে৷ আমাকে ন্যুডও দেখেছে৷ আর সে কথা ভেবেই আমার মজা লাগতে শুরু করে৷ মনে হয় আমি আমার কাজের প্রতি এতটাই সত্, যে এ কথা ভেবেও আমার কোনও অস্বস্তি হচ্ছে না৷ আমি সবচেয়ে বেশি এনজয় করি সেই জায়গাটা যেখানে একজন নায়িকা হয়েও আমি রিক্সা চড়ে বাজার যেতে পারি, আবার পাঁচতারা হোটেলে কফি খেতেও যেতে পারি ইচ্ছে হলে৷’
টলিউডের এক-এক নায়িকার ইমেজ এক-একরকম৷ আর এই নায়িকার কথা ভাবলেই দর্শকমনে ‘সেক্সচুয়ালিটি’ শব্দটি কড়া নাড়ে, শুনে ঋ বলছেন, ‘কারণ আই লাভ মাই বডি৷ সেক্সচুয়ালিটি৷ অভিনেতা হিসেবে ফিজিক্যালিও আমি নিজেকে উজাড় করে দিতে চাই৷’ খাঁটি কথা, আগের ছবি তার প্রমাণ৷ যে ছবি মুক্তি পায়নি শহরের হলে৷
কিন্ত্ত ‘তাসের দেশ’ মুক্তি পাচ্ছে৷ শহরের বিভিন্ন হলে ছবি মুক্তির আনন্দ কোথাও বিশেষভাবে নাড়া দিচ্ছে কি? ‘কিউয়ের সব ছবিই আমার কাছে খুব বিশেষ৷ যখনই কোনও ছবি হয়, একটা সাইকোলজিক্যাল এক্সপেরিমেন্টের মধ্যে দিয়ে যাই৷ ‘তাসের দেশ’ ব্যতিক্রম নয়’ বলছেন ঋ৷
অভিনেত্রীর কথার সূত্র ধরেই বলা যায়, কিউয়ের ছবি তৈরির পদ্ধতিতে নিজস্বতা আছে৷ প্রি-প্রোডাকশন হোক, বাজেট হোক, প্রোমোশন হোক বা বিশাল ইউনিটের ছবিতে ইনভলভমেন্ট সব জায়গাতেই এই ছবি কোথাও আলাদা৷ ঋ বলছেন, ‘আমার মনে হয় ছবি তৈরির যত্নতে এই ছবি কোথাও এগিয়ে৷ যে পরিমাণ আর্টওয়ার্ক এই ছবিতে আছে, সেটার পিছনে অসম্ভব পরিশ্রম লাগে৷ ছবি দেখে কিছুটা বিনোদন মাত্র, সে সুযোগ এখানে নেই৷ বরং নতুন করে মাথা খাটাতে শুরু করবেন দর্শক, সেটাই মনে হয় আমার৷’ একটু নিঃশ্বাস৷ যোগ করছেন ঋ, ‘আমিও অভিনেতা হিসেবে কী করলাম তারচেয়ে বেশি ইনভলভড হয়ে যাই ছবি তৈরির পদ্ধতির সঙ্গে, যে পলিটিক্স রয়েছে এর মধ্যে তার সঙ্গে৷’
কিউয়ের ছবি বলেই কি স্বাভাবিক নিয়মে এই ছবির নায়িকা তিনি? ঋ বলছেন, ‘একদম না, এর মধ্যে কোনও রোম্যান্টিক অ্যাঙ্গেল নেই৷ কিউ আমার লিভ ইন পার্টনার বলেই ওঁর ছবিতে আমি আছি এমন নয়৷ আমার কিন্ত্ত এমন কোনও ডিপ্রেশন নেই যে আমি ডিভা, কোনও পরিচালক আমায় নায়িকা ছাড়া ভাবতে পারবেন না৷ তাই অন্য কেউ যদি আমায় ভালো চরিত্র অফার করেন, নিশ্চয়ই করব৷’
কিছুদিন আগেই আবার নিছকই বিনোদন, এমনই এক রিয়্যালিটি শো-এ দেখা গিয়েছিল তাঁকে৷ শুনেই হাসছেন ঋ, প্রশ্ন শেষ করার আগেই বলছেন, ‘আমায় যখন ‘ঝলক দিখলা যা’ অফার করা হল, মনে হল, বেশ মোটা হয়ে যাচ্ছি, নাচলে ওজন কমানো যাবে৷ তাই হ্যাঁ করলাম৷’
নিছক বিনোদনের অংশ হয়ে উঠলেও ‘তাসের দেশ’-এর মতো ছবি তাঁর মন-মস্তিষ্ককে নাড়া দেয় অনেক বেশি৷ ঋ বলছেন, ‘আমার কিন্ত্ত মনে হয় এই ছবি সকলেই খুব উপভোগ করবেন৷ কোনও ব্যাগেজ না নিয়ে এলে এটা ফেয়ারিটেলের মতো, সোজা গল্প৷’
আর সেই ছবি নায়িকা হিসেবে অভিনেত্রীকে পৌঁছে দেবে কোথায়? ঋ বলছেন, ‘ভবিষ্যত্ দেখতে পাই না৷ নতুন কিছু শিখতে চাই৷ কখনও নাচ, কখনও মার্শাল আর্ট৷ এক্সপেরিমেন্টের নেশায় বুঁদ, ভবিষ্যত্ দেখতে চাই-ও কি আমি?’
বিষয়: বিবিধ
৩০৩২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন