বাকশালী মুরতাদ সরকারের হস্তক্ষেপ : ধ্বংসের মুখে মেধাবী তৈরীর কারখানা আমার প্রিয় তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা।
লিখেছেন লিখেছেন কিং মেকার ২১ আগস্ট, ২০১৩, ০২:০৭:৩৭ রাত
দেশ ও জাতিকে আলোর পথ দেখানোর জন্য একজন আদর্শ , দক্ষ দা'য়ী তৈরীর উদ্দেশ্যে ১৯৬৩ সনে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের মাদ্রাসা জগতের শিরমনি তা'মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা ।
তামীরুল মিল্লাত ট্রাষ্ট কতৃক পরিচালিত এ মাদ্রাসার মূল ক্যাম্পাস অবস্থিত রাজধানীর উপকন্ঠ যাত্রাবাড়ির মীরহাজিরবাগে ।
বিগত ৫০ বছর ধরে এ মাদ্রাসা থেকে বের হচ্ছে হাজারো দেশ প্রেমিক আলেমে দ্বীন । তারা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অসংখ্য দেশে ছড়িয়ে রয়েছে ।
আর ইসলামী আন্দোলনের ঢাকার অন্যতম শক্ত ঘাটি এটি । যার কারণে বর্তমান সরকারের কুদৃষ্টি পড়েছে এ মাদ্রাসার উপর ।
বাংলাদেশে ইসলাম,মুসলমানিত্ব ও ইসলামী আন্দোলন রক্ষার জন্য প্রত্যেক মুসলমান যখন ঈমানী দায়িত্ব নিয়ে রাজপথে ঝাপিয়ে পড়ে ঠিক তখনই নেতৃত্বে আসে মিল্লাতের ছাত্ররা ।
এ দেখে বাকশালী ইসলাম বিরোধী সরকারের মাথা নষ্ট হয়ে যায় ।
সরকারের শুরু থেকেই চাপের
মাধ্যে রাখা হয় এ মাদ্রাসাটিকে ।
একের পর এক অভিযান চালিয়ে
ঐতিহ্যবাহী দারুল আমান,
তীতুমীর,মিল্লাত ট্রাষ্ট ছাত্রাবাস সহ বিভিন্ন
বাসা বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট
করে সরকারের পেটুয়া বাহিনী ।
মিল্লাতের ইতিহাসে প্রথমবারের
মতো গত ৩১মার্চ সকাল ১১টায়
ক্লাস চলাকালীন সময়ে পাঁচ শতাধিক পুলিশ দিয়ে অভিযান
চালিয়ে ছাত্র সংসদের
শিক্ষা বিভাগে পরিচালক এম
তোহিদুর রহমান ও
আলিম পরীক্ষার্থীসহ
৬জনকে গ্রেফতার করে । এ সময়
তারা মাদ্রাসা হোস্টেলে তালা ঝুল
হতাশা নিয়ে হোস্টেল
ছেড়ে চলে যেতে হয় নিরীহ
ছাত্রদের ।চরম বিপাকে পড়েন
আলিম পরীক্ষার্থীরা । দীর্ঘ দেড় মাস পর হোস্টেল খুললেও
প্রশাসনের চাপে আবার ও বন্ধ
করতে বাধ্য হয় কতৃপক্ষ ।
গত ১৫ জুন আবার ও অভিযান
চালিয়ে ১০৩ জন ছাত্রকে গ্রেফতার
করে পুলিশ । ২০জনকে পুরাতন মামলায় গ্রেফতার
দেখিয়ে মোটা আংকের টাকার
বিনিময়ে বাকিদেরকে ছেড়ে দেওয়া
।
এভাবে গ্রেফতার
করে পুরো যাত্রাবাড়ি এলাকাকে আত করে রেখেছে যাত্রাবাড়ি থানা পুল
।
আজ চরম হাতাশায় ভুগছেন
এখানে অধ্যায়নরত হাজার হাজার
শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা ।
বিষয়: বিবিধ
১৪৩১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন