আপনার সন্তানকে শিবিরে ভর্তি করেছেনতো ? (পর্ব ২)
লিখেছেন লিখেছেন ঊর্মি ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৮:৩৮:৪০ রাত
তীব্র গোলযোগ সারাদেশে, জামায়াত শিবিরের মিছিলে নির্বিচারে গুলি ছুড়ছে পুলিশ, উদ্বিগ্ন হয়ে মামাকে ফোন করেছিলাম, ‘মামা আসিফ কোথায়?’ (মামাতো ভাইয়ের নাম আসিফ, একটাই ছেলে)।
আমাকে অবাক করে দিয়ে নিরুদ্বিগ্ন কন্ঠে মামা বললেন ‘ওতো মিছিলে গেছে!’
৬ষ্ট শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার পরেই মামাতো ভাইকে শিবিরের হাতে তুলে দিয়েছিলেন মামা।
এক শুভাকাঙ্খীর ছেলেকে বেশ কিছুদিন শিবিরের শিশুকল্যান বিভাগে দেখতে না পেয়ে দায়ীত্বশীলকে জিজ্ঞাসা করলাম ব্যাপার কি ও কোথায়?
দায়ীত্বশীল জানালেন, ওই শুভাকাঙ্খীর ধারণা (ভুল ধারনা) শিশুকল্যান বিভাগে তার ছেলের মান উন্নয়ন কঠিন হবে, তাই তার ছেলেকে শিশুকল্যান হতে ট্রান্সফার করে মূল সংগঠন ছাত্রশিবিরে দিয়ে দিয়েছেন।
অধ্যাপক গোলাম আযম এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, আমাকে সবাই জিজ্ঞাসা করে আমার ছেলে-পেলে কি? আমি জবাব দেই, ‘আমার হাফ ডজন ছেলে আছে, কিন্তু পেলে নাই’।
তিনি বলেন, আমার ছেলেকে শিবিরের হাতে তুলে দিয়ে বলে দিয়েছি, তুমি যদি শিবির করো তবে আমি তোমাকে পড়াশোনা করাবো, নয়তো তোমার পড়াশোনার খরচ বন্ধ। কারণ শিবির না করার কারনে তুমি যে গুনাহর সাথে জড়াবে, আমি তোমার খরচ প্রদান করে সেই গুনাহর ভাগ নিতে পারবোনা
উপরে উল্লেখিত তিনটি ঘটনাতেই দেখতে পাই সন্তানকে শিবিরের হাতে তুলে দিয়ে মা-বাবা কত নিশ্চিন্ত জীবন যাপন করছে! এর কারণ কি? অন্যান্য মা-বাবা যেখানে সন্তানের পড়াশোনা সহ নৈতিক ব্যাপার নিয়ে সারাক্ষণ দুশ্চিন্তায় নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দেয়, সেখানে এই অভিভাবক গুলো সন্তানকে একটি ছাত্র সংগঠনের হাতে তুলে দিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়, এটা কিভাবে সম্ভব?
হ্যা এই অসম্ভব কাজটিকেই সম্ভব করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। কয়েকটি ব্যাপার জানা থাকলে আপনিও আপনার সন্তানকে ছাত্রশিবিরের হাতে তুলে দিয়ে নিশ্চিন্ত মনে, নাকে শরিষার তেল দিয়ে ঘুমাতে পারবেন।
দেশের অন্যান্য ছাত্র সংগঠন যেখানে কলম ছেড়ে চাপাতী হাতে তুলে নিয়েছে, দুধের গ্লাসের পরিবর্তে মদের গ্লাস ঠোটে ঠেকিয়েছে, ঠিক সেই মূহুর্তে ছাত্রশিবির তার কর্মীদের জন্য তৈরী করেছে নৈতিকতাবোধে উজ্জীবিত একটি সিস্টেম।
আপনি যেসব কারনে আপনার সন্তানকে নিয়ে সর্বদা দুশ্চিন্তায় থাকেন তার সমাধান নিয়ে এসেছে ইসলামী ছাত্রশিবির।
মাদকতো দূরের কথা, ছাত্রশিবির একটি ধূমপান মুক্ত সংগঠন।
ছাত্রশিবির তার কর্মী-সমর্থকদের দৈনন্দিন পাঠ্যপুস্তক অধ্যায়নের বিষয়টি তত্বাবধান করে।
ছাত্রশিবির তার কর্মীদের নারীর ফিতনা হতে রক্ষা করতে ক্লাস সিক্সের উপর ছাত্রী পড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
ছাত্রশিবির তার কর্মীদের নৈতিক আধ্যাত্মিক উন্নয়নে কোরান-হাদীস-ইসলামী সাহিত্য অধ্যায়নের বিষয়টি তত্ত্বাবধান করে।
ছাত্রশিবির তার কর্মীদের জ্ঞানগত ঘাটতি পূরণের জন্য দৈনন্দিন পত্রিকা পাঠ এবং শারীরিক-মানসিক সুস্থতার লক্ষে খেলাধুলার ব্যবস্থা করে।
আপনার ছেলে যদি ছাত্রশিবির করে তবে সে পরিমল কিংবা পান্না মাস্টারের উত্তরসূরীতে পরিণত হবেনা, সে ধর্ষণে সেঞ্চুরী করে সহপাঠীদের মিস্টিমুখ করাবেনা, চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মানুষ হত্যা করবেনা।
আপনার সন্তান ইসলামী ছাত্রীসংস্থা করলে সে সুলতানানা কামাল চক্রবর্তী, রোকেয়া প্রাচী, প্রভা কিংবা ঐশীদের উত্তরসূরীতে পরিণত হবেনা। পাড়ার মাস্তান ছেলেটির হাত ধরে গভীর রাতে ঘর ছাড়বেনা।
সর্বশেষ একটি প্রশ্ন, আপনার সন্তানকে ছাত্রশিবির/ছাত্রীসংস্থায় ভর্তি করেছেনতো?
শামিম রেজা ভাই থেকে নেয়া
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন