জিহাদ মানে কি শুধুই অস্ত্র হাতে প্রতিপক্ষের উপর হামলে পড়া?

লিখেছেন লিখেছেন ঊর্মি ১৫ আগস্ট, ২০১৩, ০৮:২৭:৫১ রাত

আপনার উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে শুধু এতোটুকুই বলব, এতো বছর কুরআন পড়েও আপনি ইসলামের কিচ্ছু বুঝেননি।

একটি কথা মনে রাখবেন, ১৯২৮ সালে প্রতিষ্টিত হওয়া ইখওয়ানুল মুসলিমিন এবং ১৯৪১ সালে প্রতিষ্টিত হওয়া জামায়াতে ইসলামী আজ ২০১৩ সাল পর্যন্ত যা করে আসছে তার সম্পূর্ণটুকুই জিহাদ, যার সার্থক বাংলা হচ্ছে ‘ইসলামী আন্দোলন’ ইখওয়ানুল মুসলিমিন এবং জামায়াতে ইসলামীর একজন সত্যিকারের নেতা বা কর্মী ঘুমালে সেটিও জিহাদ ইনশাল্লাহ। অর্থাৎ জীবনের প্রত্যেকটি মুহূর্ত তাদের জন্য জিহাদ তথা ইসলামী আন্দোলন।

‘অস্ত্র হাতে নিয়ে বাতিলের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ছে না কেন?’ ‘সেনাবাহিনী বা পুলিশকে অস্ত্রের মাধ্যমে প্রতিহত করছে না কেন?’

ভাইয়েরা, আপনাদের আবেগকে আমি অসম্মান করছি না, কিন্তু সমর্থনও করতে পারছি না। কারন মক্কা থেকে নির্যাতিত হয়ে রাসুল সাঃ এবং তাঁর সাহাবীরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে মদিনায় গিয়ে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্টা করেছিলেন কোন অস্ত্র দিয়ে? হযরত সুমাইয়া, খাব্বাব, খুবাইব রাঃ-দেরকে কাফির/মুশরিকরা যখন নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে শহীদ করেছিল, তখন রাসুলুল্লাহ সাঃ কি অন্যান্য সাহাবাদেরকে অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়তে বলেছিলেন? একটু নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন। ১৩টি বছর রাসুলুল্লাহ সাঃ সহ তাঁর সাহাবারা নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন, রাসুলুল্লাহ সাঃ চাইলে অস্ত্র বা সরাসরি ফেরেশতাদের সাহায্যে ইসলামকে বিজয়ী করতে পারতেন। কিন্তু আল্লাহ্‌র এই ফর্মুলা পছন্দ নয়। কেয়ামত পর্যন্ত ইসলামকে কোন ফর্মুলায় কায়েম করতে হবে আল্লাহ্‌ তাঁর প্রিয় রাসুল সাঃ-এর মাধ্যমে আমাদেরকে শিখিয়ে দিয়ে গেছেন। ইখওয়ানুল মুসলিমিন এবং এখানে জামায়াতে ইসলামী যে ফর্মুলার মাধ্যমে ইসলাম কায়েম করতে চাই সেটাই এই শতাব্দীর জন্য সবচেয়ে সেরা ফর্মুলা, সেটাই রাসুলুল্লাহ সাঃ এর ফর্মুলা। ইখওয়ান এবং জামায়াত কোন ফর্মুলায় ইসলাম কায়েম করতে চায়, তা জানার জন্য তাদের বই-পুস্তকগুলো পড়ুন, তাদের নিয়মিত কার্যক্রমগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখুন, ইনশাল্লাহ সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে এক কাতারে থেকে ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করার তৌফীক দিন, আমিন।

(কপি)

বিষয়: বিবিধ

১৫২১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File