হত্যার কুৎসিত আনন্দ
লিখেছেন লিখেছেন মৃনাল হাসান ১০ এপ্রিল, ২০১৫, ১০:৩৬:০০ রাত
দন্ডিতের সাথে, দন্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে, সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার। -রবীন্দ্রনাথ
যেসব কথিত প্রগতিশীলরা রবীন্দ্রনাথকে নিজেদের ধ্যানজ্ঞান করে নিয়েছে, তারাই আজ রবীন্দ্রনাথকে ভুলে মানুষ হত্যার কুৎসিত আনন্দে বিভোর। আর কিছুক্ষনের মধ্যেই কামারুজ্জমানকে ফাঁসি দেওয়া হবে । আজ সকাল থেকেই মিডিয়াগুলোর আনন্দ শুরু হয়ে গেছে। ধন্যবাদ তাদেরকে- এখনো তাদের বিবেক কিছুটা অবশিষ্ট আছে, তারা ফাঁসি কার্যকরের মুহুর্ত সরাসরি সম্প্রচারের দাবি জানায়নি। কিছু অনলাইন পত্রিকা ও বাম টেলিভিশন যেভাবে সংবাদ প্রচার করছে, তাকে সংবাদ বলা চলেনা, তা হচ্ছে প্রতিহংসা। বামপন্থীরা ও তাদের মিডিয়াগুলো আজ আনন্দ করতেই পারে। আজ তাদের একটা সফলতার দিন। ১৮ বছরের উচ্চমাধ্যমিক ক্লাসের একজন তরুনকে মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালিয়ে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা তাদের কম সাফল্য নয়। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বামপন্থী নকশালেরা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল। পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে মিলে তারা অনেক নারী ধর্ষণ করেছে। অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছে। তাদের অনেকে এম পি হয়েছে, মন্ত্রী হয়েছে। সেই সময়ের চীনপন্থী কমিউনিষ্টরা সবাই মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে পাক বাহিনীকে সহায়তা করেছে। এমনকি কমরেড আব্দুল হক বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তার দলের নাম বদল করেন নি, পুর্বপাকিস্তান কমিউনিষ্ট পার্ট নামেই তার দল চলেছে। তার বিরুদ্ধে কোন কথা নেই। তার জন্ম/মৃত্যু বার্ষিকীতে প্রথম আলো তাকে স্মরন করে প্রবন্ধ ছাপে। তার শিষ্যরা আজ অনেকেই রঙ পাল্টে ক্ষমতার স্বাদ আস্বাদন করছে। আর ফাঁসিতে ঝুলছে, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যার বয়স ছিল আঠারো বছর। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারি কমিউনিষ্টরাই আজ আনন্দ করছে। তাদের বিচার হয়না, বিচার হয় আঠারো বছরের তরুনের, যার কথায় নাকি নিয়াজি চলতেন। এখন থেকে আমরা আমাদের বাচ্চাদের এই রুপকথার কাহিনী শুনিয়ে ঘুমপাড়াব।
কমিউনিষ্টদের বিবেক বলে কিছুই নেই। তাদের প্রতিহিংসার মত কুৎসিত আর কিছু নেই। এই বিবেকহীন বাদরদের দৌরাত্ব শেষ হবে কবে?
বিষয়: বিবিধ
১৩০৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই বিবেকহিন হত্যাকারিদের থেকে সেই যোগ্যতা আশা করাই ভুল।
মন্তব্য করতে লগইন করুন