মৃগয়া হতে তিনি ফিরেছেন।দয়া করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রচার বন্ধ করুন।
লিখেছেন লিখেছেন মৃনাল হাসান ০১ অক্টোবর, ২০১৩, ১১:০২:২৬ রাত
প্রাচীনকালে রাজা বাদশাহরা যেত হরিন শিকারে। বহু লোকলস্কর সঙ্গে নিয়ে তারা চলে যেত বনে। তাবু ফেলে করত রাত্রিযাপন, থাকত বাইজি, হত নাচগানের উতসব। এখনকার যুগের রাজা-বাদশাহরা তা করেননা। পশুদেরও একটা অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইচ্ছে মত তাদের হত্যা করা যাবেনা। হরিন শিকার করা একটি অপরাধ পৃথিবীর অনেক দেশে, ভারতেও। যদিও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী হত্যা করা কোন অপরাধ নয়। এখনকার রাজা-বাদশাহরা হরিন শিকারে যাননা। মৃগয়ার স্থান দখল করেছে প্রমোদভ্রমন। বহু সংখ্যক সাগরেদ নিয়ে তারা ঘুরতে যান অন্যদেশে। বলাবাহুল্য, নিজের খরচে নয় তারা এসব প্রমোদভ্রমনে যান রাষ্ট্রের পয়সা খরচ করে। আর রাষ্ট্রের পয়সার যোগান দেয় সব শ্রেনী পেশার মানুষ, এমনকি রাস্তায় রাস্তায় কানা থালা নিয়ে বসে থাকা ভিক্ষুকেরাও এই অর্থের যোগান দেয়। উদ্দেশ্য রাষ্ট্র তার নাগরিকদের সেবা দেবে, কল্যানধর্মী কাজ করবে। কিন্তু এই অর্থ সংরক্ষিত থাকে শাসকের হাতে। জনগণের অর্থ হাতে পেয়ে শাসকেরা হয়ে পড়ে বেপরোয়া, নিজেদের খেয়ালখুশি মত খরচ করে সে অর্থ। সুযোগবুঝে আগের যুগের মৃগয়ার আদলে চলে যান বিলাস ভ্রমনে। সম্প্রতি, ১৪০ জন সঙ্গী নিয়ে এমনই এক বিলাসভ্রমন করে দেশে ফিরেছেন আমার দেশের ----।
জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদেওয়ার জন্য ১৪০ জন সফরসঙ্গী! এই ১৪০ জনের প্রায় ১৩০ জনই আমেরিকায় গিয়ে সরকারি খরচে দর্শনীয় স্থান ঘুরেছেন ও শপিং করেছেন। আত্মীয় স্বজনের সাথে সাক্ষাত করেছেন। রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে বিদেশে গিয়ে তারা দেশের কি করেছেন? তারা কিছুই করেননি। তাছাড়া করার কিছুই ছিলনা। শুধুমাত্র তার দলের নেতাদের রিফ্রেশমেন্টের জন্য দেশের অর্থ খরচ করে তাদের জন্য এই বিলাস ভ্রমনের ব্যাবস্থা করেছেন।
আওয়ামীলীগ এবং সরকারের কাছে প্রশ্ন, দেশের অর্থ ব্যায় করে বিনা প্রয়োজনে দলের নেতাদের প্রমোদভ্রমন করাতে আপনাদের বিবেকের কাছে বাধেনি? যদি বিবেকের কাছে না বাধে, অনুরোধ করি দয়া করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রচার বন্ধ করুন। কারন, আমার দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এতোটা নোংরা নয়। জনগণের অর্থ জনগণের কল্যানে ব্যয় না করে তা লূটপাট করা কখোনই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হতে পারেনা।
বিষয়: বিবিধ
১৭০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন