শহীদ নোমানীর খুনীরা খালস পেয়েছে! আশা করি আখিরাতে ন্যায় বিচার হবে।
লিখেছেন লিখেছেন মৃনাল হাসান ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১২:০৩:২৪ রাত
আজকে রাজশাহী আদালত থেকে খালাস পেয়েছে ছাত্রলীগের সেই সব খুনীরা, যারা ২০০৯ সালের ১৩ই মার্চ ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাবি সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানীকে দিনে দুপুরে, প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে।দিনটি ছিল শুক্রবার, ২০০৯ সালের ১৩ই মার্চ। রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল ও পার্শ্ববতী এলাকাতে অভিযান চালায় পুলিশ। চলে গণগ্রেপ্তার। কোন মামলা নেই, হলের আবাসিক ছাত্র, রাজনীতির সাথে জড়িত নয়, তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে গণহারে। পুলিশের একই কথা উপরের নির্দেশ।হল এবং আশেপাশের এলাকা মিলে ঐ রাতে পুলিশ দেড়শো জনকে আটক করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের নির্দেশ- একটা শিবির যেন না থাকে, সবাইকে আটক করতে হবে। উদ্দেশ্য বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কাছে ইজারা দেয়া।সবকিছু মনিটরিং করে স্বয়ং সাহারা খাতুন নিজে, রাবির ততকালীন ভিসি আব্দুস সোবহান ও প্রোক্টর জাকারিয়া। রাতে পুলিশি অভিযানের পর সকালে শুরু হয় ছাত্রলীগের হামলা।দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাত্রলীগের কয়েকশত বহিরাগত সন্ত্রাসী একযোগে হামলা চালায় শিবিরের উপর। শেরে বাংলা হলের প্রাচীর টপকানোর সময়ে ছাত্রলীগের সভাপতি মুন, সেক্রেটারি আয়েনুদ্দিন, জয়, জিয়া, আসাদ সহ অনেক সন্ত্রাসী শরিফুজ্জামান নোমানীকে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই সময়ে পুলিশ কোন একশন না নিয়ে ছাত্রলীগকে খুনে এবং নিরাপদে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।রাজশাহীতে পুলিশ শহীদের কোন জানাজা পরতে দেয়নি। পুলিশের কঠোর পাহাড়ায় শহীদের লাশ তার নিজ বাড়ি ময়মনসিং এ পাঠিয়ে দেয়া হয়।
তার পর রাবি ক্যাম্পাসে খুনীদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। খুনীরা অনেক পদপদবী পায়। ক্যাম্পাস ইজারা নিয়ে ছাত্রলীগের খুনীরা এই পাচটি বছরে রাবিকে একটি মিনি ক্যান্টন্মেন্টে পরিনত করে। সর্বশেষ, আজ তারা খালাস পেয়েছে। এই খালাস পাওয়াতে খুনীরা আরো খুন করতে উতসাহ পাবে। দুনিয়ার বিচারে তারা পার পেয়ে গেলেও আলমে আখেরাতে যেদিন বিচার দিনের মালিক মহান আল্লাহ বিচার করবেন, সেদিন তারা খালাস পাবেনা এবং তাদের শাস্তি হবেই। এই বিশ্বাস আমরা রাখি।
বিষয়: বিবিধ
১২৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন