জগতের নিকৃষ্ট জানোয়ার ছাত্রলীগ।দুষিত রক্ত সৎ চিন্তার অন্তরায়।

লিখেছেন লিখেছেন মৃনাল হাসান ২৩ আগস্ট, ২০১৩, ০২:৪২:৪১ দুপুর

এমন কোন অপকর্ম নেই যা আওয়ামীলীগ এর ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ করে নাই। হত্যা, ধর্ষণ, ঈভ টিজিং, রাহাজানি, চুরি, ডাকাতি,বাটপারি, ছিনতাই, হাট দখল, ঘাট দখল, জমি দখল, সরকারি জম দখল, বালু মহাল দখল, হল দখল, সিট দখল, টেন্ডারবাজি, চাদাবাজি,ফাও খাওয়া, বাকি খেয়ে টাকা না দেওয়া, বহুগামিতা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, মাদক নেওয়া, মাদক বানিজ্য ইত্যকার বহু অপরাধের সাথে জড়িত এই ছাত্রসংগঠনটি। ছাত্রের চেয়ে পেশাদার অপরাধীরা এই সংগঠনে সংখ্যাগুরু। বন্দুক, রাইফেল, কাটা রাইফেল, এল এম জি, এস এম জি, এ কে ৪৭, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, হাসুয়া, ছোরা, বোমা, ককটেল প্রভৃতি ইহাদের ব্যাবহার্য সামগ্রি। হালাল কামাই ইহাদের নাই। তাতে তাদের পেটও ভরেনা। হারামেই তাদের তৃপ্তি। এই হারাম খেতে খেতে তাদের রক্তই দুষিত হয়ে গেছে। এই দুষিত রক্তের প্রতিক্রিয়া এমন যে, তাদের কাছে ভালকে ভালো মনে হয়না, সত্যমিথ্যার পার্থক্য বোঝার মত ক্ষমতা এরা হারিয়ে ফেলেছে।নীতি –নৈতিকতা প্রভৃতি শব্দগূলো এদের কাছে অর্থহীন। নিজদলকে বিভিন্ন গ্রুপ উপগ্রুপে বিভক্ত করে ফেলে এরা। নিজ দলের লোকদের বুকে গুলি চালাতে এরা আনন্দ বোধ করে, নিজের পথ পরিষ্কার করার জন্য। এমনই এক উপদলীয় ক্রোন্দলে রক্তাক্ত হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সেক্রেটারী তুহিন।এই তুহিন কতটুকু ছাত্র তা আমরা জানিনা, তবে সে যে একজন পুরোমাত্রায় সন্ত্রাসী এবং ডাকাত সে সম্পর্কে আমরা সবিশেষ অবগত। রাজশাহী উপশহরের একবাড়িতে সে ডাকাতি করেছিল, তার নামে ডাকাতির মামলা আছে এবং এজন্য সে জেলও খেটেছে। পদ্মা সেতুর চাদাবাজির টাকা ভাগাভাগির দ্বন্দ্বে তার পিস্তলের গুলিতে ছাত্রলীগ কর্মী সোহেল নিহত হয়েছিল। শিবিরের বিরুদ্ধে তার অস্ত্র মহড়া বাংলা মার-দাঙ্গা ছবির একশনকেও হার মানিয়েছে। ছাত্রলীগের গত কাউন্সিলে তার অনেক প্রতিদ্বন্দীকে পরাজিত করে তিনি সাধারন সম্পাদকের পদ লাভ করেন। সুতরাং, নিজ দলের মধ্যেও তার শত্রু সংখ্যা কম নয়। এদেরই কারো আঘাতে রক্তাক্ত হতে পারে এই ছাত্রলীগ নেতা। কিন্তু তাদের চিরাচরিত অভ্যাস অনুসারে তারা যথারীতি ছাত্রশিবিরের উপর দোষ চাপিয়ে সারা রাজশাহী শহরে তান্ডব শুরু করেছে। মিডিয়ায় খবর এসেছে ৫-৬ জন সন্ত্রাসী তাকে আক্রমন করেছে। কিন্তু আমাদের করিতকর্মা পুলিশ ইতোমধ্যে ১৩ জন শিবির কর্মীকে আটক করেছে। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা রাজশাহী শহরের সোনাদিঘীর মোড়ে ইসলামী ব্যাংকের এটিএম বুথে আগুন দিয়েছে।

ইসলামী ব্যাংক কোন দলের ব্যাংক নয়। সব দলের, সব ধর্মের, সব বর্ণের, সব গোত্রের মানুষের আমানত রয়েছে এই ব্যাংকে। দলমত নির্বিশেষে সবাই ইসলামী ব্যাংকের সেবা নিয়ে থাকে। কিন্তু কোন ঘটনা ঘটলেই ছাত্রলীগ যুবলীগের সন্ত্রাসীরা ইসলামী ব্যংকে আক্রমন করে। তারা ভাবেনা , এ ব্যাংকটা তো কোন দলের নয়, সাধারন মানুষের। এরকম সৎ চিন্তা তারা করতে পারেনা। কারন, তারা হারামের মধ্যে ডুবে আছে। হারাম খেতে খেতে তাদের রক্ত দুষিৎ হয়ে গেছে। আর দুষিৎ রক্ত সৎ চিন্তার অন্তরায়।

বিষয়: রাজনীতি

১৬১৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File