সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্যঃ বিকৃত মস্তিস্কের, নয়তো গোয়েবলসের।

লিখেছেন লিখেছেন মৃনাল হাসান ১৬ আগস্ট, ২০১৩, ১১:২৪:৪৫ রাত

আর কেউ হরতাল করলে তাদের বাড়িতে ঢুকে হত্যা করতে হবে। আব্দুল লতিফ সিদ্দিকি।

“বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না। শেখ হাসিনা

‘ মেজর জিয়া পাকিস্তানের চতুর্থ মীরজাফর। ইনু

‘ মেজর জিয়া পাকিস্তানের চর ছিলেন। শেখ সেলিম।

আব্দুল লাতিফ সিদ্দিকি কি সভ্য সমাজের কেউ? হরতাল মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। একসময় হাসিনা হরতাল করেছে, এখন খালেদা করছে। জামায়াত হরতাল করে, ছাত্রশিবির হরতাল করে, তেল গ্যাস বন্দর রক্ষা কমিটি হরতাল করে। সরকারের সহায়তায় হরতাল করে সি পি বি, বাসদ। একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর মুরগি সাপ্লায়ার শাহরিয়ার কবির, গণ জাগরণের বিরানী খাওয়া পার্টি ছুটির দিনে হরতাল করে।বিভিন্ন পেশাজীবি, শ্রমিক সংগঠন বিভিন্ন দাবীতে হরতাল ডাকে।গণতান্ত্রিক অধিকার, সবাই ভোগ করে। কিন্তু সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রি লতিফ সিদ্দিকি তার কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন-আর কেউ হরতাল করলে তাদের বাড়িতে ঢুকে হত্যা করতে হবে। তিনি কি সভ্য গণতান্ত্রিক দেশের মন্ত্রী ? না, ডাকাত সর্দার? মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী এই ডাকাত সরদার মুক্তিযুদ্ধের সময় বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর টাঙ্গাইলের বাড়িটি দখল করেছিলেন। আজীবন ডাকাত, দল আওয়ামীলীগ, ভোটের ডাকাত এখন মন্ত্রী!

খালেদা জিয়া এদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেননা। বলেছেন- স্বাধীনতার প্রতীক হাসিনা। এদেশের কোন কোন ব্যাক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে বা করেনা, তার সব জানেন হাসিনা। তার কাছে থেকে স্বাধীনতা বিশ্বাসের সনদ নিতে হবে!হাসিনা এক কাজ করতে পারে- তিনি স্বাধীনতা বিশ্বাসের সনদপত্র দিতে পারেন। সনদটি নিম্নোক্ত হতে পারে-

------------ ( শুণ্য স্থানে হবে ব্যাক্তির নাম), (সম্পুর্ন ঠিকানা) বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।

তার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করছি। জয় বাংলা।

শুভেচ্ছান্তে

শেখ হাসিনা।

--------- ( এখানে তিনি স্বাক্ষর করবেন)।

এই ফরমটি তিনি স্বাক্ষর করে ছাত্রলীগ, যুবলীগের কাছে দিলে তাদেরও পয়সা কামানোর একটা ব্যাবস্থা হবে।

১৫ ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইনু বলেছেন- জিয়া পাকিস্তানের চতুর্থ মীরজাফর। একই দিনে শেখ সেলিম বলেছেন- জিয়া পাকিস্তানের চর ছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের ২৭ শে মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ১ নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন। বীরত্বের স্বীকৃতি স্বরুপ বঙ্গবন্ধু সরকার তাকে বীরুত্তম উপাধী দিয়েছিলেন। ৭১ সালে ইনু, শেখ সেলিম কোথায় ছিলেন আমরা জানিনা। কিন্তু ৭১ সালে শহীদ জিয়ার অবদান আমাদের কাছে পরিষ্কার। আমরা এও জানি যে, ৭৫ এর ১৫ ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে ট্যাঙ্কের উপর চড়ে যিনি আনন্দ উল্লাস করেছিলেন, তিনি ইনু। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জাসদের ত্রিশ হাজার নেতা কর্মীকে আওয়ামীলীগ সরকার হত্যা করেছে, এমন দাবী ইনু বাদলরাই একসময় করেছে। এই ত্রিশ হাজার নেতা কর্মীর রক্তের সাথে বেইমানী করে ইনু আওয়ামীলীগের নৌকায় উঠে যখন মন্ত্রী হন, তখন ১৭৫৭ সালের মীরজাফরের সাথে কলি যুগের ইনুর কোন পার্থক্য খুজে পাওয়া যায়না।এই ইনুই যখন বলে মেজর জিয়া মীরজাফর, তখন বুঝতে হবে তার মস্তিষ্ক বিকৃত হয়েছে, নয়তো তিনি গোয়েবলস।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের তথ্যমন্ত্রী গোয়েবলস, খুবই আকর্ষনীয় করে যুদ্ধের মিথ্যা খবর গণমাধ্যমে প্রচার করত এবং জণগনকে বিভ্রান্ত করত। আর আমার দেশের বর্তমান তথ্যমন্ত্রী সেই গোয়েবলসকে অনুসরন করে মিথ্যা রচনা করছে এবং জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।

বিষয়: রাজনীতি

১৩২০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File