রবীন্দ্রনাথ থেকে মিতা হক কি শিখেছেন? মৃনাল হাসান

লিখেছেন লিখেছেন মৃনাল হাসান ১০ আগস্ট, ২০১৩, ১০:২০:৫৩ রাত

‘যারা মাথায় ঘোমটা দেয় তারা আর যাই হোক বাঙালী হতে পারেনা’ এই বক্তব্যটি মিতা হক নামক জনৈক রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পীর। বাঙ্গালী হতে হলে মাতায় ঘোমটা দেওয়া যাবেনা, দাড়ি রাখা যাবেনা, টুপি মাথায় দেওয়া যাবেনা।এগুলো হচ্ছে বাঙ্গালি হওয়ার শর্ত- ঐ শিল্পীর মতে।

মিতা হক ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা ওয়াহিদুল হকের ভাতিজি এবং রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী। তিনি ছায়ানটের ছাত্রী এবং ওয়াহিদুল হকের আদর্শে তিনি বড় হয়েছেন। ওয়াহিদুল হক মারা যাওয়ার পর তার কোন যানাযা হয়নি, তিনি তার পরিবারকে মৃত্যুর পর ধর্মীয় আনুষ্ঠিকতা করতে বারণ করেছিলেন। তিনি ধর্মে বিশ্বাস করতেন না। তাই তাকে কবরও দেয়া হয়নি। লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজে দান করা হয়েছিল।সেই গুরুর শিষ্য মিতা হক। অতএব তার মুখ থেকে এমন কথা শুনা অস্বাভাবিক নয়।

রবীন্দ্রসঙ্গীত আমার খুব ভালো লাগে, অসাধারন লাগে। রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত, বেগম আক্তার, আবাসউদ্দিনের গান শোনার জন্য বন্ধুদের অনেকেই আমাকে ব্যাকডেটেড বলে।যাই হোক, রবীন্দ্রনাথের গান ও কবিতা আমার কাছে সমভাবে প্রিয়।রবীন্দ্রনাথের মত এত বড় মাপের ব্যাক্তিত্ব শুধুমাত্র বাংলা সাহিত্য নয়, বিশ্ব সাহিত্যের একজন গৌরব। তার গান, কবিতা ও দর্শন আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রানিত করে।তার গানগুলো আমার কাছে আধ্যাত্বিক মনে হয় । এই আধ্যাত্বিক ( গীতাঞ্জলীর গান) গানগূলো কিভাবে আধুনিক বস্তুবাদী ইউরোপের নাগরিকদের মন জয় করে এবং নোবেল পুরষ্কার পায়, তা আমার কাছে আশ্চর্যের। যাহোক, বিশ্বমানের একজন শিল্পী হয়েও রবীন্দ্রনাথ তার স্বধর্মের প্রতি অনুগতই ছিলেন। তিনি হিন্দু ছিলেন এবং তিনি কখনো হিন্দু ধর্মের প্রতি তার আনুগত্য প্রত্যাহার করেন নি। বঙ্গমায়ের অঙ্গচ্ছেদের ধুয়া তুলে হিন্দুরা যখন বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল, সে আন্দোলনে তিনি পুর্ন সমর্থন দিয়েছিলেন। আর রবীন্দ্রনাথের গানের শিল্পী হয়ে মিতা হক কি শিখেছেন? তিনি বাঙ্গালী হওয়ার জন্য মুসলমানদের ধর্মত্যাগ করতে বলছেন। দাড়ি, টুপি, ঘোমটা এগুলো থাকলে বাঙ্গালী হওয়া যাবেনা-এটা তার থিসিস। এদেশের বেশীরভাগ মানুষ জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে দাড়ি রাখে টুপি পরে, মেয়েরা হিজাব পরে, মাথায় ঘোমটা দেয়। সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের সংস্কৃতি এটাই। এ বিবেচনায় মিতা হক সংখ্যালঘু।

মিতা হকের মত মহিলারা এদেশের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের সঙ্গে সম্পর্কহীন, পশ্চিমা নষ্ট-ভ্রষ্ট সংস্কৃতির লালনকারী। আর এই নষ্ট সংস্কৃতির এদেশীয় এজেন্ট ৭১ টিভির মত গার্বেজ টিভি ষ্টেশনগুলোই এরকম নষ্ট মহিলাদের বিচরনক্ষেত্র।

বিষয়: বিবিধ

১৯৭৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File