শয়তানের পদাংক অনুসরণ
লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ লুত্ফুল আনাম ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১০:০৭:২১ রাত
আমার এ লেখাটা সেই সব তরুন তরুণীদের উদ্দেশ্যে যারা মুসলমান হিসাবে পরিচয় দিতে হীনমন্যতায় ভুগে না। মুসলমান হিসাবে গর্ববোধ করাও ঠিক না। মুসলমান হওয়ার জন্য আমরা আমাদের প্রভুর প্রতি কৃতজ্ঞ তাঁর অনুগ্রহের জন্য।
ইসলামের দৃষ্টিতে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে, বিপদ ও ক্ষতি ঠেকাতে উপদেশ দেওয়া (নসিহত্ করা ) প্রশংসনীয় কাজ। অনেক সময় নিজের পিঠ বাঁচাতেও এটা করতে হয়।
শুনেছি আমাদের দেশের তরুণ তরুনীরা নাকি ভালবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে তাদের প্রেমিক প্রেমিকার ব্যাপারে আগে থেকেই অনেক কিছু পরিকল্পনা করে থাকে ৷ তারা যত গোপনে সে পরিকল্পনা করে থাকুক না কেন একজনের কাছ থেকে তো তা কখনই গোপন রাখা সম্ভব না । কুরআনে বহু জায়গায় এসেছে আল্লাহ্ সবকিছু দেখেন, সব কিছু শোনেন, কোন কিছুই আল্লাহ্ র অগোচর নয় ৷ আল্লাহ্ মানুষকে সাবধান করেছেন শয়তানের পদাংক অনুসরণ না করতে ৷ শয়তানের পদাংক অনুসরণ করলে শয়তান মানুষকে ধীরে ধীরে ছোট থেকে বড় পাপের দিকে নিয়ে যাবে, তাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস না করা পর্যন্ত ( সুরা ২, আয়াত ২০৮ : হে মুমিনগণ ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ করিও না ৷ নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু ৷ ) ৷
পশ্চীমা দেশ থেকে আমদানী করা প্রেমিক প্রেমিকার ধারণা ইসলাম অনুমোদন করে না কারণ ছেলে মেয়ের বিবাহ বহির্ভূত কোন সম্পর্কের স্থান ইসলামে নাই ৷ ইসলামের দৃষ্টিতে স্বামী স্ত্রীই প্রকৃত প্রেমিক প্রেমিকা ৷ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ব্যভিচার পর্যন্ত গড়ালে প্রমান সাপেক্ষে গুরুতর শাস্তির বিধান রয়েছে কুরআনে ( সুরা নুরের প্রথম কয়েকটা আয়াত দ্রষ্টব্য ) ৷
আল্লাহ মানুষকে, তাঁর দাস দাসীদেরকে মা তার সন্তানকে যেমন ভালবাসে তার চেয়ে বহুগুণ ভালবাসেন ৷ তা সত্ত্বেও তিনি ব্যভিচারের জন্য খুবই কঠিন শাস্তির বিধান রেখেছেন ৷ এতেই প্রমান হয় তিনি এটাকে কত অপছন্দ করেন ৷ আমাদের উচিত নয় কি আল্লাহ্ র এত অপছন্দের কাজ থেকে নিজেদের সযত্নে অনেক দুরে রাখা, আমরা যদি সত্যিই আল্লাহ্ কে বিশ্বাস করি, তাঁকে ভালবাসি ও ভয় করি ৷
বিষয়: বিবিধ
১০৯২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন