যাহারা মু'মিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে তাহাদের জন্য আছে দুনিয়া ও আখিরাতে মর্মন্তুদ শাস্তি এবং আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না৷ সুরা ২৪, আয়াত ১৯

লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ লুত্ফুল আনাম ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০১:১৭:৩৯ দুপুর

অল্প দিন পরেই ভালবাসা দিবস নামে একটা দিন পালিত হতে যাচ্ছে ৷ মাত্র কয়েক বছর আগেও এই দিবসের ব্যাপারে আমাদের দেশের মানুষ জানত না ৷ এটাকে পশ্চীমা দুনিয়া থেকে আমদানী করা হয়েছে ৷ ' ব্যাধি সংক্রামক, স্বাস্থ্য নহে ' কথাটা যে কত সত্য তার প্রমান পাওয়া গেল মাত্র কয়েক বছরে দেশের গ্রাম গঞ্জ পর্যন্ত এ দিবস পালনের উম্মাদনা দেখে ৷

এই দিবসের সম্পর্ক যদি থাকত সব বৈধ ও কাঙ্ক্ষিত ভালবাসা যেমন বাবা-মার প্রতি ভালবাসা, ভাই-বোন ও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসা, দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি ভালবাসা এবং সর্বপরি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলদের প্রতি ভালবাসা তাহলে তা হোত খুবই প্রশংসনীয় ৷

কিন্তু অতি পরিতাপের বিষয় এই দেশের মানুষের বিশ্বাস, ঐতিহ্য ও মূল্যবোধকে অসম্মান করে এই দিবসকে উপলক্ষ্য করে কিছু তরুণ-তরুণী এমন কি কিছু কিশোর- কিশোরী এমন সব অশালীন ও অনৈতিক কর্মকান্ডে নিজেদের জড়াচ্ছে যার পরিণতিতে তারা বড় পাপের দিকে পা বাড়াবে যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনকে বিপর্যস্ত করবে এবং তাদের পরিবারে বয়ে আনবে মহা অশান্তি ৷ অল্প বয়স হবার কারণে আবেগের তাড়নায় এটা তারা বুঝছে না ৷ কিন্তু এটা বুঝানোর দায়িত্বতো অভিভাবক, শিক্ষক, আলেম সমাজ, বুদ্ধিজীবি এবং যারা দেশ শাসনের দায়িত্বে আছেন তাদের ৷ আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এভাবে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যেতে দিতে পারি না ৷ রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটা প্রসিদ্ধ হাদীস আছে যার ভাবার্থ হচ্ছে : কেউ কোন পাপ কাজ হতে দেখলে তার উচিত হাত (শক্তি) দিয়ে থামানো, তা যদি সে না পারে তবে জিহ্বা (কথা) দিয়ে, তাও যদি না পারে তবে পাপ কাজটাকে মনে মনে ঘৃনা করা আর এটা (মনে ঘৃনা করাটা) ঈমানের সবচেয়ে নিচু স্তর ৷ আমরা কি সবাই ঈমানের সর্ব নিম্ন স্তরের কাজটাকেই পছন্দ করব? আমাদের অনেকেরতো শক্তি দিয়ে থামানোর যোগ্যতা আছে? আমরা এখন দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারি কিন্তু আল্লাহর সামনে জবাবদিহিতা এড়াবো কি ভাবে?

আর যারা এ দিবসের প্রচলন করার জন্য গর্ব বোধ করেন, যারা নানান আয়োজনে এর পৃষ্ঠপোষকতা করেন, সংবাদ মাধ্যমের জ্ঞানী গুণী ও বিজ্ঞজনেরা যারা লিখার দ্বারা এর প্রচার ও প্রসারে সহযোগিতা করেন এবং এই দিবসকে লক্ষ্য করে প্রস্তুত করা সকল পণ্যের ব্যবসায়ীরা আপনারা কি একবার ভেবে দেখেছেন এই দিবসকে ঘিরে যত দিন যত পাপের কাজ সংঘটিত হবে তার যোগফল আপনাদের উপর চাপবে ( সুরা নিসা, আয়াত ৮৫ : কেহ কোন ভাল কাজের সুপারিশ করিলে উহাতে তাহার অংশ থাকিবে এবং কেহ কোন মন্দ কাজের সুপারিশ করিলে উহাতে তাহার অংশ থাকিবে ৷ আল্লাহ সর্ববিষয়ে নজর রাখেন ৷ ) ৷ একজন মানুষ তার নিজের কৃত পাপের জবাবদিহিতা করতেই বিপর্যস্ত হবে, মহা সংকট ও বিপদের সম্মুখীন হবে । তার উপর আরও শত শত মানুষের পাপের বোঝা চাপালে কি অবস্থা হবে তার?

আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করেন ৷ ভালো মন্দের পার্থক্য করতে যে বিচার বুদ্ধি ও বিবেক দিয়েছেন তার সঠিক ব্যবহার করে সঠিক পথে চলার যোগ্যতা দেন ৷ আমাদের তরুনরা, যারা দেশের ভবিষ্যৎ তাদের জ্ঞানী গুণী ও চরিত্রবান হিসাবে নিজেদের গড়ে তুলতে আগ্রহী করেন৷ আল্লাহ আমাদের দেশটাকে রক্ষা করেন ৷

বিষয়: বিবিধ

১১৮৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

359305
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০৩:০৪
তট রেখা লিখেছেন : ভালবাসা দিবস না বলে ব্যাভিচার দিবস বলাই ভালো।
কোনো মুসলমান হৃদয়ে ঈমান আছে দাবী করলে এর বিরোধীতা করবে এবং ঘৃনা করবে।
আর যারা বাঙ্গালী ধর্মের অনুসারী এটা তাদের চেতনারও অপমান। আবহমান বাঙ্গালী সংস্কৃতির সাথেও এটা যায়না।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১০:৫০
297952
অপি বাইদান লিখেছেন :
359331
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৮:১৯
শেখের পোলা লিখেছেন : দেশ রক্ষার জন্য আল্লাহ ফেরেশ্তা পাঠাবেন না৷ আমাদেরই করতে হবে৷ তবে আমরা যাদের হাতে শাসনদণ্ডটি দিয়েছি তারা তাদিয়েই আমাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে,সেখানে আমরা অসহায়৷ আসুন লাঠিটা ছিনিয়ে নিয়ে যোগ্য হাতে দেবার চেষ্টা করি৷
359350
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১০:৫০
অপি বাইদান লিখেছেন :

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File