"প্রকৃত জঙ্গীরা কখনই ইসলামিস্ট নয় "
লিখেছেন লিখেছেন শারমিন হক ০৩ জুলাই, ২০১৬, ০৯:৩২:৩৮ রাত
গুলশানে প্রকাশিত জঙ্গীদের ছবির মানুষগুলোর সবাই কিন্তু এলিট শ্রেণী এবং শিক্ষিত পরিবারেরর।
প্রকাশিত পাচ জনের মধ্যে মীর সামেহ মুবাশ্বের নামে এক তরুণ রয়েছে যার বাবা আ্যলকাটেল -লুসেন্ট বাংলাদেশের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মীর হায়াত কবির এবং মা খালেদা পারভীন সরকারি তিতুমীর কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাই কানাডায় স্টাডি করছেন।
অথচ,বাবা -মা শিক্ষিত এবং আভিজাত্যের বড় হয়ে ওঠা মুবাশ্বের হয়েছে জঙ্গী।
এছাড়া নিহত পাচ জঙ্গী নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ত।
কিছুদিন আগে ও জঙ্গী ইস্যুতে সাড়াশি অভিযান চলে আর এতে কাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেক্ষেত্রে সবাই অবগত।
অবাক লাগে তখন,
যখন দেখি নিরাপরাধ মানুষগুলো শুধুমাত্র দলীয় কারণে গ্রেফতার তথা ক্রসফায়ারের শিকার হচ্ছে কিন্তু জঙ্গীরা এসি রুমে ঘুমাচ্ছে।
আশ্চর্য হই তখন
যখন খেটে খাওয়া মানুষগুলো গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে রমজান মাসেও ঠিকমত সেহরী খেয়ে সিয়াম পালনে বাধা পাচ্ছে কিন্তু জঙ্গীরা পুলিশের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
মিডিয়া কর্মীরা কিছু হতে না হতেই মাদ্রাসার স্টুডেন্টদেরকে প্রতিনিয়ত দোষারোপ করে নিউজ ছাপছেন।
রাজনৈতিক নেতারা তো মুখের লাগাম ছেড়ে শুধু বিবৃতি তে ব্যস্ত থাকেন নানা ধরণের অবান্তর সূচক মন্তব্যতে। অথচ তাদের সেই বিবৃতি সমূহের কোন ভিক্তিই খুজে পাওয়া যায় না।
গুলশানের জঙ্গী ঘটনায় নিহত একজন জঙ্গী ও কিন্তু মাদ্রাসায় পড়ুয়া স্টুডেন্ট নয়!!!
ইসলাম কখনও কাউকে অন্যায় ভাবে হত্যা করতে নির্দেশ করে নি।
মাদ্রাসায় কোরআন হাদিস সম্বলিত বই পড়ানো হয়।ইসলামকে সঠিকভাবে জানশোনার বিষয়ে জ্ঞাণ দেয়া হয়। আজ পর্যন্ত কোথায় ও শুনিনি চাদার টাকা নিয়ে মাদ্রাসার ছাত্ররা দাঙ্গায় লিপ্ত যেটি স্কুল,কলেজের শিক্ষাব্যবস্থার ছাত্ররা প্রতিনিয়ত করে থাকে।
যারা সবকিছুতেই মাদ্রাসার গন্ধ খুজে পায় তাদের জন্য গুলশানের ঘটনাটি যথেষ্ট নয়কি!
ন্যায় ও সত্যের পথে চলে প্রকৃত জঙ্গী ধরাই হোক সরকার প্রধান দের কাজ।আপনাদের মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন হোক সকল অপশক্তি।
বিষয়: বিবিধ
১২৭৭ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন